n সান্ত্বনা: ম্যাচ জিতে আলকারাসকে আলিঙ্গন রাফার। বুধবার। ছবি: রয়টার্স।
কার্লোস আলকারাস। তাঁকে বলা হচ্ছে স্পেনের টেনিসের নতুন তারা। যিনি ছেলেবেলা থেকেই রাফায়েল নাদালের ভক্ত। তাঁর খেলা দেখেই নিজেকে তৈরি করছেন আগামী দিনগুলির জন্য। বুধবার নিজের ১৮তম জন্মদিনে আলকারাস মুখোমুখি হলেন তাঁর আদর্শ রাফার। জীবনে প্রথম বার। যে ম্যাচ নিয়ে ২৪ ঘণ্টা আগেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আঠারোয় পা দেওয়ার মুহূর্তটা নাকি বিশেষ একটা ঘটনা। কিন্তু আমার কাছে, সেটা তার চেয়েও বেশি। কারণ আঠারোয় পা দিয়েই আমি বিশ্বসেরা খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে নামার
সুযোগ পাচ্ছি।’’
‘বিশ্বসেরা’ খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে নামার অভিজ্ঞতাটা অবশ্য খুব বেশি সুখের হল না। মাদ্রিদ ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ডে আলকারাসকে কার্যত উড়িয়ে দিলেন রাফা। জিতলেন ৬-১, ৬-২। যদিও টেনিস বিশ্লেষকেরা মন্তব্য করলেন, এত কম বয়সে রাফার বিরুদ্ধে তিনটি গেম জেতাও কম কিছু ব্যাপার নয়!
আগামী ১৫ বছর কে স্পেনের টেনিসকে নেতৃত্ব দেবেন জাতীয় প্রশ্নে এখনই অনেকে আলকারাসের নাম বলছেন। তাই জীবনে প্রথম বার ২০টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক নাদালের বিরুদ্ধে নেমে এই কিশোর কী করেন, তা নিয়ে প্রবল আগ্রহ ছিল টেনিস মহলে। হালফিলে তিনি বেশ কিছু এটিপি প্রতিযোগিতায় নামার ওয়াইল্ড কার্ডও পেয়েছেন। এবং সবাইকে চমকে দিয়ে স্পেনের মার্বেলায় সেমিফাইনালে ওঠেন। বার্সেলোনা ও অস্তোরিলে অবশ্য প্রথম রাউন্ডেই আলকারাস হেরে বিদায় নেন। কিন্তু কেউ ভাবেননি আদ্রিয়ঁ ম্যানারিনোর বিরুদ্ধে জিতে তিনি নাদালের মুখোমুখি হবেন। অবশ্য তার খেসারতও দিতে হল স্পেনের টেনিসে এই মুহূর্তের বিস্ময় কিশোরকে। মাদ্রিদ ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে ছিটকে গেলেন ।
বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর খুয়ান কার্লোস ফেরেরো এখন আলকারাসের কোচ। এই ম্যাচ নিয়ে পেরেরো বলেছিলেন, ‘‘রাফা ভাল করেই আলকারাসকে চেনে। অস্ট্রেলিয়াতে ওরা দু’জন একসঙ্গে অনুশীলনও করেছিল এ’বছর। শুধু চেনে না, রাফা এটাও জানে যে আমার ছাত্র যে কোনও সময় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু ক্লে কোর্টে খেলা বলেই জানতাম লড়াইটা রাফার সঙ্গে আলকারাসের মানসিক শক্তিরও। ছেলেটা কতটা চাপ নিতে পারবে, সেটাই দেখার ব্যাপার ছিল।’’ ফেরেরা আশার কথা শোনালেও, চাপ অবশ্য নিতে পারলেন না আলকারাস!
এ দিকে, মার্চের পরে প্রথম বার কোর্টে নেমেই মাদ্রিদ ওপেনের প্রথম রাউন্ডে সহজে জিতলেন ডমিনিক থিম। তিনি ৬-১, ৬-৩ হারিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মার্কোস গিরনকে। পাশাপাশি মেয়েদের বিভাগে বেলজিয়ামের এলিসে মার্টেন্সের কাছে সিমোনা হালেপের হার নিয়েও আলোচনা চলছে মাদ্রিদে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পরে মার্টেন্স জেতেন ৪-৬, ৭-৫, ৭-৫ সেটে। কে বলবে হালেপ এখানে প্রথম দু’রাউন্ডে একটি সেটও হারাননি! কোয়ার্টার ফাইনালে মার্টেন্স খেলবেন নিজেরই ডাবলস জুটি বেলারুশের আরিনা সাবেলেঙ্কার বিরুদ্ধে। যিনি মাত্র ৫২ মিনিটে ৬-১, ৬-২ সেটে হারিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জেসিকা পেগুলাকে। অন্য কোয়ার্টার ফাইনালে পেত্রা কুইতোভাকে ৬-১, ৩-৬, ৬-৩ হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেলেন বিশ্বের এক নম্বর মহিলা টেনিস তারকা অ্যাশলে বার্টি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy