প্রত্যয়ী: বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের মতোই এ বার অলিম্পিক্সে সোনা না জেতার খেদ মেটাতে চান পি ভি সিন্ধু। পিটিআই
ব্যাডমিন্টন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে বারবার ফাইনালে হারের হতাশা কেটেছে। এখন পি ভি সিন্ধু স্বপ্ন দেখছেন অলিম্পিক্স সোনার। পাখির চোখ পরের বছর টোকিয়োয়। এই মুহূর্তে ভারতীয় ব্যাডমিন্টনের সেরা তারকা মজা করে জানাচ্ছেন, তাঁর ট্রফি ক্যাবিনেটে জায়গা ফাঁকা রাখা আছে অলিম্পিক্স সোনার জন্যই।
টানা তৃতীয় বার ফাইনালে খেলে গত মাসে বাসেলে জাপানের নজ়োমি ওকুহারাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন সিন্ধু। বিশ্বের পাঁচ নম্বর খেলোয়াড়ের এখন লক্ষ্য অলিম্পিক্স সোনা। রিয়ো অলিম্পিক্সে ফাইনালে ক্যারোলিনা মারিনের কাছে হেরে রুপোয় সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল সিন্ধুকে। পরিষ্কার বললেন, এ বার তিনি সোনার লক্ষ্যেই ঝাঁপাবেন।
সিন্ধুর মন্তব্য, ‘‘আগে অনেক ফাইনালে হারের দুঃখ ভুলিয়ে দিয়েছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের সোনা। লোকে ফাইনাল নিয়ে আমার আতঙ্কের কথাই বলত। ভাবত, ফাইনালের চাপটা কী ভাবে আমি সামলাব। উত্তরটা আমি আমার র্যাকেটের মাধ্যমে দিয়েছি।’’ বাসেলে জিতলেও সিন্ধু তার আগে রিয়ো অলিম্পিক্সে, দু’বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে, ২০১৭-র দুবাই সুপার সিরিজ ফাইনালে, ২০১৮-র কমনওয়েলথ গেমস ও জাকার্তা এশিয়ান গেমসে ছিটকে যান। তাঁর ফাইনালে হারের প্রসঙ্গ তাই ঘুরে-ফিরে আসে। এ বার কি অলিম্পিক্স সোনাও জিতবেন? এমন প্রশ্নে সিন্ধুর জবাব, ‘‘অলিম্পিক্সের অনুভূতিটা সম্পূর্ণ অন্যরকম। রিয়ো গেমস আর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের স্মৃতিটা আলাদা রকমের। হ্যাঁ, অবশ্যই এই একটা সোনা আমার সংগ্রহে নেই। তাই অবশ্যই সেই সোনাটার জন্য কঠোর পরিশ্রম করব। ভীষণ খুশি হব টোকিয়োয় অলিম্পিক্স সোনাটা জিততে পারলে।’’ হেসে যোগ করেছেন, ‘‘ওই সোনাটার জন্যই আমার ক্যাবিনেটে একটা ফাঁকা জায়গা রয়েছে। অলিম্পিক্সে যোগ্যতা অর্জনের খেলা তো চলছেই। তবে বাসেলের সোনাটা অবশ্যই আমাকে আরও এগিয়ে যেতে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।’’
সিন্ধু অবশ্য স্বীকার করেছেন, টোকিয়ো অলিম্পিক্সে সোনা জেতাটা বেশ কঠিন। কারণ এখন থেকে প্রতিপক্ষেরা তাঁর দুর্বল জায়গা খুঁজে বার করার চেষ্টা করবেন। এবং বৃহস্পতিবার আবার তিনি বললেন, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সাফল্যের ধারাহিকতা অব্যাহত রাখতে তাঁকে কোর্টে নেমে নতুন কিছু করতে হবে। ‘‘রিয়োতে প্রথম বার অলিম্পিক্সে নামি। সে বার সে ভাবে কেউ আমার কথা জানত না। আর পাঁচ জনের এক জন ছিলাম। কিন্তু এখন সব কিছু বদলে গিয়েছে। বিশেষত বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের পরে সবাই চেষ্টা করবে আমার বিরুদ্ধে নতুন কিছু করতে। তাই আমাকে প্রত্যেকটা টুর্নামেন্টের জন্য অন্য রকম অনেক কিছু শিখতে হবে। কারণ আমার বিরুদ্ধে সবাই বিশেষ কিছু স্ট্র্যাটেজি নিয়ে খেলতে নামবে,’’ বলেছেন সিন্ধু। ভারতীয় তারকার আরও মন্তব্য, ‘‘কিম ম্যাডামের (সিন্ধুর নতুন কোচ দক্ষিণ কোরিয়ার কিম জি হিউন) সঙ্গে এখন প্রস্তুতি নিচ্ছি। আগেই আমার খেলায় উনি বেশ কিছু পরিবর্তন করেছেন এবং তার সুফল পেয়েছি। কিন্তু আমাকে এখন আরও নতুন অনেক কিছু শিখতে হবে। সঙ্গে নেটে নিজের খেলায় উন্নতি করতে হবে।’’
বিশ্বের পাঁচ নম্বর সিন্ধুর অলিম্পিক্সে যোগ্যতা অর্জন করা এক রকম নিশ্চিত। র্যাঙ্কিংয়ে উপরের দিকে থাকতে পারলে অলিম্পিক্সে শুরুর ম্যাচগুলোয় সেরা খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে খেলতে হবে না। সিন্ধু অবশ্য র্যাঙ্কিং নিয়ে ভাবতে রাজি নন। তাঁর কথায়, ‘‘অবশ্যই র্যাঙ্কিং একটা ব্যাপার। কারণ তার উপরে সূচি কী হবে নির্ভর করে। কিন্তু সত্যি কথা বলতে, আমি এটা নিয়ে ভাবতে চাই না। তার কারণ ভাল খেলতে পারলে এমনিই সাফল্য আসবে। শেষ পর্যন্ত সোনা জিততে হলে সেরা খেলোয়াড়দের তো হারাতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy