হতাশ: চ্যাম্পিয়ন বেইওয়েনের সঙ্গে পি ভি সিন্ধু (বাঁদিকে)। ছবি: এএফপি।
ইন্ডিয়ান ওপেন ব্যাডমিন্টনে চ্যাম্পিয়নের মুকুট ধরে রাখতে পারলেন না পি ভি সিন্ধু। ফাইনালে বিশ্বের চার নম্বর সিন্ধুকে ১৮-২১, ২১-১১, ২০-২২-এ হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেইওয়েন ঝ্যাং।
এক ঘণ্টা ন’মিনিটের লড়াইয়ে গত বারের চ্যাম্পিয়ন সিন্ধুকে প্রথম গেমে হারিয়ে দেওয়ার পরে ভিড়ে ঠাসা নয়াদিল্লির সিরি ফোর্ট কমপ্লেক্সে পিন পড়লেও শব্দ পাওয়া যেত, এমন অবস্থা তৈরি হয়েছিল। সেখান থেকে দুরন্ত ভাবে ম্যাচে ফেরেন চিনা বংশোদ্ভূত মার্কিন খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে সিন্ধু। কিন্তু বিশ্বের এগারো নম্বর এবং টুর্নামেন্টের পঞ্চম বাছাই ঝ্যাং তৃতীয় গেমে মাথা ঠান্ডা রেখে ম্যাচ এবং কেরিয়ারে প্রথম বড় জয় তুলে নেন।
কোয়ার্টার ফাইনালে ঝ্যাংয়ের বিরুদ্ধেই হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যান আর এক ভারতীয় তারকা সাইনা নেহওয়াল। এ বার সিন্ধুকেও ঘরের মাঠে হারালেন তিনি। ২৭ বছর বয়সি ঝ্যাং জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার সুযোগ খুব কম দেখে চিন থেকে পরিবারের সঙ্গে সিঙ্গাপুরে চলে এসেছিলেন। ন’বছর সিঙ্গাপুরের প্রতিনিধিত্ব করার পরে কোচের সঙ্গে ঝামেলায় তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। এখন লাস ভেগাসে থাকেন। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় টুর্নামেন্টে একাই যান। কোচ সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার মতো আর্থিক সামর্থ্য নেই বলে। তাঁর এত দিনের পরিশ্রম নতুন মর্যাদা পেল সিরি ফোর্ট কমপ্লেক্সে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করলেও কোনও কোচ বা ম্যানেজার নেই কেন তাঁর? ‘‘কারণ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনও ব্যাডমিন্টন টিম নেই।’’ কিন্তু কোচ ছাড়া তিনি কী ভাবে প্রস্তুতি নেন? টুর্নামেন্টের জন্য কী ভাবে নিজেকে তৈরি করেন? ‘‘কোচের সঙ্গে আমার ই-মেলে যোগাযোগ থাকে। টুর্নামেন্টের আগে কী ভাবে প্রস্তুতি নেব সে ব্যাপারে তিনি পরামর্শ দেন,’’ বলেছেন ঝ্যাং।
এ বার দেখার ইন্ডিয়ান ওপেনের মুকুট তাঁকে ভবিষ্যতে আরও খেতাব জিততে কতটা সাহায্য করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy