আলোচনায়: আইপিএলের আগে নজরে পৃথ্বী শ। ফাইল চিত্র
তিনি বিশৃঙ্খল? এই অভিযোগ কার্যত উড়িয়ে দিলেন পৃথ্বী শ। বলে দিলেন, ‘‘ও সব গুজব।’’
জীবনের প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি করার পরে তাঁকে নিয়ে যখন স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা, তখনই বিপর্যয় নেমে আসে পৃথ্বীর ক্রিকেট জীবনে। মুম্বইয়ের ১৯ বছর বয়সি প্রতিভাবান ওপেনারকে অস্ট্রেলিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল টেস্ট সিরিজে খেলানোর জন্য। কিন্তু প্রস্তুতি ম্যাচে ফিল্ডিং করতে গিয়ে পা মচকে গিয়ে মারাত্মক ভাবে জখম হন তিনি।
ভারতীয় দলের পক্ষ থেকে তখন জানানো হয়েছিল, পৃথ্বী সম্ভবত সেই সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ফের মাঠে নামতে পারবেন। কিন্তু পারেননি। অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ খেলার স্বপ্ন তাঁর চুরমার হয়ে যায় ভারতীয় দল তাঁকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়ায়। কোনও কোনও মহলে অভিযোগ ছিল, সেরে ওঠার জন্য যা যা করা প্রয়োজন ছিল, সে সবে ঠিকমতো মনোনিবেশ করতে পারেননি তরুণ ক্রিকেটার। কিন্তু শনিবার দিল্লি ক্যাপিটালস দলের সাংবাদিক বৈঠকে পৃথ্বী বলে দিলেন, ‘‘এগুলো গুজব। এ সব নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
পৃথ্বীকে নিয়ে শোনা গিয়েছিল, রিহ্যাবের সময় তিনি যথেষ্ট পরিশ্রম করেননি। ফলে ক্রিকেটে ফিরতেও অনেক দেরি হয় তাঁর। কিন্তু এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘যথেষ্ট পরিশ্রম করিনি, এমন কিছু আমাকে কখনও কেউ বলেনি। আমি (অস্ট্রেলিয়ায়) খেলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু চোট পেয়ে যাই। ভেবেছিলাম মেলবোর্নে তৃতীয় টেস্টে খেলতে পারব। কিন্তু চোটটা খুব ধীরে ধীরে সেরে ওঠে। তখন যদি কেউ গোড়ালির অবস্থাটা দেখতেন, তা হলে বুঝতে পারতেন। অসম্ভব ব্যথা হচ্ছিল তখন। চোটটা দ্রুত সারছিল না বলেই আমাকে দেশে ফিরতে হয়।’’
দেশে ফিরে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে (এনসিএ) রিহ্যাব করে প্রায় তিন মাস পরে জাতীয় টি-টোয়েন্টি মুস্তাক আলি ট্রফিতে মাঠে ফেরেন পৃথ্বী। কিন্তু গোয়ার বিরুদ্ধে ৭১ রানের একটা ইনিংস ছাড়া আর তেমন ভাল কিছু করতে পারেননি। এনসিএ-তে তাঁর রিহ্যাব নিয়ে পৃথ্বী বলেন, ‘‘ওখানে সব কিছুই ভাল হয়েছে। মুস্তাক আলি ট্রফির আগে মাঠে ফেরাটাই ছিল আমার উদ্দেশ্য। যাতে আইপিএলের আগে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে নিতে পারি। দু’মাসের রিহ্যাবে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়েছি।’’
ওপেনার হিসেবে টেস্টে খেললেও সীমিত ওভারের ক্রিকেটে মাঝের দিকেও ব্যাট করতে রাজি পৃথ্বী। ভারতীয় দলে জুনিয়র ও সিনিয়রে কোনও ফারাক না থাকার যে সংস্কৃতি এনেছেন কোচ রবি শাস্ত্রী ও অধিনায়ক বিরাট কোহালি, তার প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘‘ভারতীয় ড্রেসিংরুমে অভিজ্ঞ তারকাদের সামনে খুব উদ্বিগ্ন থাকতাম। কিন্তু কোচ ও অধিনায়ক যখন বলে দিলেন, সিনিয়র-জুনিয়র বলে কিছু নেই, তার পর থেকে খোলামনে কথা বলতে পারলাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy