হতাশা: বিষ্ণোইয়ের আচরণে বিরক্ত প্রাক্তনেরা। ফাইল চিত্র
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ফাইনাল শেষে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দু’দেশের ক্রিকেটারেরা। আইসিসি সেই ভিডিয়ো খতিয়ে দেখার পরে পাঁচ জন ক্রিকেটারের শাস্তি ঘোষণা করে। তার মধ্যে বাংলাদেশের রয়েছেন তিন জন। শরিফুল ইসলাম, তৌহিদ হৃদয় ও শামিম হোসেন। ভারতীয় দল থেকে উঠে এসেছে লেগস্পিনার রবি বিষ্ণোই ও বাঁ-হাতি পেসার আকাশ সিংহের নাম।
আইসিসি-র নিয়ম অনুযায়ী পাঁচটি সাসপেনশন পয়েন্ট ও সাতটি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয়েছে বিষ্ণোইয়ের নামের পাশে। একটি সাসপেনশন পয়েন্ট মানে একটি ম্যাচ নির্বাসিত। বিষ্ণোইকে বাইরে বসতে হবে পাঁচটি ম্যাচ। বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকের (১৭টি) এই ব্যবহার কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি তাঁর পরিবার। বাবা মাঙ্গিলাল বিষ্ণোই স্তম্ভিত। তিনি জানিয়েছেন, বিষ্ণোইয়ের মা মঙ্গলবার থেকেই খাবার মুখে তুলছেন না।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাঙ্গিলাল বিষ্ণোই বলেছেন, ‘‘জানি না আমার ছেলের কী হয়েছিল! পরিবারের সব চেয়ে শান্ত সদস্য ও। আমাকে বলছিল, ওর এক সতীর্থকে বাংলাদেশি ক্রিকেটারেরা আক্রমণ করেছিল। তাকে বাঁচাতে গিয়েই হয়তো হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছে।’’
শুধু হাতাহাতিই নয়, বিষ্ণোইয়ের বিরুদ্ধে আরও এক অভিযোগ উঠেছে। অভিষেক দাসকে আউট করে কিছু অঙ্গভঙ্গি করেছেন যা আইসিসি-র বিধি সম্মত হয়নি। আইসিসি-র ২.৫ ধারা অমান্য করার জন্যও শাস্তি দেওয়া হয়েছে ভারতীয় লেগস্পিনারকে। মাঙ্গিলাল বলছিলেন, ‘‘গত কাল এই খবর পাওয়ার পর থেকে খাবার মুখে তোলেনি আমার স্ত্রী। কোনও ভাবেই ওকে খাওয়ানো যাচ্ছে না।’’
মাঠের মধ্যে হাতাহাতির এই দৃশ্যের সমালোচনা করেছেন প্রাক্তন ক্রিকেটারেরা। বিরক্ত বিষাণ সিংহ বেদী থেকে কপিল দেবরা। ভারতীয় অধিনায়ক প্রিয়ম গর্গ বলেই দিয়েছিলেন, ‘‘আমরা শান্তই ছিলাম। হার-জিত খেলারই অঙ্গ। কিন্তু ওরা প্রচণ্ড নোংরামি করেছে। একজন ক্রিকেটারের থেকে এটা কখনওই কাম্য নয়।’’
বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর আলি যদিও দলের হয়ে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন। আকবর বলেছিলেন, ‘‘ঠিক কী হয়েছিল আমি জানি না। কিন্তু যাই হয়ে থাকুক না কেন, তা হওয়া উচিত ছিল না। দলের হয়ে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy