কোচ যশপাল রানার (ডান দিকে) সঙ্গে মনু ভাকের। —ফাইল চিত্র।
টোকিয়ো অলিম্পিক্সের আগে যশপাল রানার সঙ্গ ছেড়ে দিয়েছিলেন মনু ভাকের। এ বারের অলিম্পিক্সের আগে আবার পুরনো কোচের কাছে ফিরে যান মনু। তাঁর অধীনে থেকেই প্যারিস অলিম্পিক্সে শুটিংয়ে জোড়া ব্রোঞ্জ জিতেছেন তিনি। ছাত্রীর সাফল্যের পরে গুরু মুখ খুলেছেন। যশপালের অভিযোগ, মনুর কেরিয়ার শেষ করার চেষ্টা করা হয়েছিল।
সংবাদমাধ্যমে যশপাল বলেন, “আমরা আবার নতুন করে জুটি বাঁধার আগে আমরা একে অপরকে একটা কথা দিয়েছিলাম। আমরা ঠিক করেছিলাম, অতীত নিয়ে কোনও দিন কথা বলব না। কী হয়েছিল, সে সব ভুলে গিয়ে নতুন করে শুরু করব। সেটাই কাজে লেগেছে। ওরা মনুকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। ওরা জাতীয় সম্পদ নষ্ট করার চেষ্টা করেছিল। মনু তো শুধু আমার ছাত্রী নয়। ও দেশের এক জন খেলোয়াড়।”
অভিযোগ করলেও এই ‘ওরা’ বলতে যশপাল কাদের কথা বলেছেন তা অবশ্য খোলসা করেননি তিনি। তবে তাঁর কথা থেকে স্পষ্ট, তাঁর ও মনুর ভুল বোঝাবুঝির নেপথ্যে কেউ বা কারা ছিল। তাঁরা চাননি মনু যশপালের অধীনে থাকুক। সেই অভিযোগই এ বার প্রকাশ্যে করলেন যশপাল।
টোকিয়ো অলিম্পিক্সের আগে যশপালের সঙ্গে প্রকাশ্যে বিবাদ হয়েছিল মনুর। তাতে যশপাল এতটাই দুঃখ পেয়েছিলেন যে অলিম্পিক্সই দেখেননি। মনুর কোচ বলেন, “টোকিয়োয় কী হয়েছিল, আমি জানতাম না। আমি পাহাড়ে চলে গিয়েছিলাম। কোনও ম্যাচ দেখিনি।” সে বার টোকিয়ো থেকে খালি হাতে ফিরেছিলেন ভারতীয় শুটারেরা। মনুও কিছু করতে পারেননি। বন্দুক খারাপ হয়ে যাওয়ায় নিজের ইভেন্টে ফাইনালে উঠতে পারেননি তিনি।
এ বার মনুর সঙ্গে প্যারিসে গিয়েছেন যশপাল। কিন্তু তাঁর যাওয়া নিয়ে অনেক সমস্যা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ভারতীয় অলিম্পিক্স সংস্থার হস্তক্ষেপে সমস্যা মেটে। সেই বিষয়ে যশপাল বলেন, “ভারতের অলিম্পিক্স সংস্থার জন্যই আমি প্যারিসে আসতে পেরেছি। সেই কারণে সংস্থার প্রধান পিটি ঊষা ও শেফ দ্য মিশন গগন নারংকে ধন্যবাদ। আমাকে আটকানোর চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু কারও বিরুদ্ধে আমার অভিযোগ নেই। কারণ, মনু দেশকে গর্বিত করেছে। এর থেকে বড় পুরস্কার আমার জন্য কিছু হতে পারে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy