অশ্বিনী পোনাপ্পা। ছবি: এক্স (টুইটার)।
প্যারিস অলিম্পিক্স থেকে বিদায় নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন ভারতের অশ্বিনী পোনাপ্পা। ৩৪ বছরের ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়ের এটাই শেষ অলিম্পিক্স ছিল। মহিলাদের ডাবলসে একটিও ম্যাচ জিততে পারেনি তাঁর এবং তনিশা ক্রাস্তোর জুটি। শেষ অলিম্পিক্সে ব্যর্থতা মেনে নিতে পারছেন না তিনি।
ভারতের অন্য ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়েরা প্যারিসে অপরাজিত রয়েছেন। অথচ পোনাপ্পা-ক্রাস্তো জুটি গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচই হেরে গিয়েছে। এই ব্যর্থতায় হতাশ অভিজ্ঞ পোনাপ্পা। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন তিনি। সব ম্যাচ হেরে বিদায় নেওয়ার পর পোনাপ্পা বলেছেন, ‘‘আমার এটাই শেষ অলিম্পিক্স। তনিশা আরও অনেক দিন খেলবে। ওর জন্য শুভেচ্ছা থাকল।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘বড় প্রতিযোগিতা সব সময় চাপের। মনে হয় না আমার পক্ষে মানসিক ভাবে এই চাপ আর নেওয়া সম্ভব। ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিক্স খেলার কথা ভাবছি না। ব্যাপারটা মোটেও সহজ নয়। কম বয়সে এই চাপ নেওয়া যায়। দীর্ঘ দিন ধরে আন্তর্জাতিক পর্যায় খেলছি। চাপ নেওয়া আর সম্ভব হচ্ছে না।’’
২০০১ সালে প্রথম বার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন পোনাপ্পা। ২০১৭ পর্যন্ত ডাবলস খেলতেন জোয়ালা গুট্টার সঙ্গে। পোনাপ্পা-গুট্টা জুটিকে এক সময় বিশ্বের অন্যতম সেরা হিসাবে গণ্য করা হত। গুট্টা অবসর নেওয়ার পর সঙ্গী বদলাতে হয় পোনাপ্পাকে। বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ-সহ বহু আন্তর্জাতিক পদক রয়েছে তাঁদের জুটির। ২০১২ এবং ২০১৬ সালের অলিম্পিক্সে তাঁদের জুটি দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।
এ বার ক্রাস্তোর সঙ্গে জুটি নিয়েও আশাবাদী ছিলেন পোনাপ্পা। তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা শেষ ম্যাচটা জিততে চেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম অন্য রকম কিছু করতে পারব। জিততে পারলে আমাদের দু’জনের জন্য একটা বড় প্রাপ্তি হত। অলিম্পিক্সের লড়াই সহজ হয় না। তবু আর একটু ভাল হতেই পারত।’’
শেষ অলিম্পিক্স এমন হতাশাজনক ফলাফলের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি পোনাপ্পা। সামলাতে পারেনি চোখের জল। শুধু শেষ অলিম্পিক্স নয়, হয়তো দেশের হয়েই শেষ ম্যাচ খেলে ফেললেন প্যারিসে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy