নোভাক জোকোভিচ। —ফাইল চিত্র।
টেনিসে ভিডিয়ো রিপ্লে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তুললেন নোভাক জোকোভিচ। সিনসিনাটি মাস্টার্সে জ্যাক ড্রাপার এবং ফেলিক্স অ্যাগার-আলিয়াসিমের ম্যাচ বিতর্কিত ভাবে শেষ হয়। টেনিস প্রেমীদের একাংশের দাবি। যে ভলিতে ড্রাপার ম্যাচ জিতেছেন, তাতে বল মাটিতে পড়ার পর উঠেছিল। এই বিতর্কের পর ভিডিয়ো রিপ্লের দাবি তুলেছেন ২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক।
বিভিন্ন খেলায় ব্যবহার করা হয় ভিডিয়ো রিল্পে। কোনও বিষয় স্পষ্ট ভাবে বোঝা না গেলে, রিপ্লে দেখে নিশ্চিত হয়ে সিদ্ধান্ত নেন আম্পায়ার বা রেফারিরা। কিন্তু টেনিসে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় না। সিনসিনাটি মাস্টার্সের কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রিটেনের ড্রাপার ৫-৭, ৬-৪, ৬-৪ ব্যবধানে হারিয়েছেন কানাডার অ্যাগারকে। হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে ড্রাপারের জয়ের পয়েন্ট নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। অ্যাগার দাবি করেন, বল ড্রাপারের র্যাকেটে লাগার পর মাটিতে পড়েছিল। ড্রপ খেয়ে তাঁর দিকে এসেছে। রিপ্লে প্রযুক্তি না থাকায় চেয়ার আম্পায়ার গ্রেগ অ্যালেনসওর্থ খতিয়ে দেখার সুযোগ পাননি। ড্রাপার জানান, তিনি বুঝতে পারেননি। তবে অ্যাগার রিটার্ন না দেওয়ায় আম্পায়ার পয়েন্ট দিয়ে দেন ড্রাপারকে। এই পয়েন্ট পেয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জয় পান ব্রিটিশ খেলোয়াড়।
বিতর্কিত পয়েন্ট নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন একাধিক টেনিস খেলোয়াড়। স্তেফানো চিচিপাস সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘‘মনে হয় না আগে এ রকম কোনও শট দেখেছি।’’
তাঁর কথার সূত্র ধরে জোকোভিচ সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘টেনিস কোর্টে রিপ্লে দেখার কোনও সুযোগ না থাকাতেই এই বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আরও হাস্যকর হচ্ছে, কোর্টের বাইরের ভিডিয়ো দেখেও আম্পায়ার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারেন না।’’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘টেলিভিশনে এ রকম ক্ষেত্রে রিপ্লে দেখার সুযোগ থাকে। অথচ খেলোয়াড়েরা কোর্টের মধ্যে সম্পূর্ণ অন্ধকারে থাকে। হক আই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় টেনিসে লাইন কলের জন্য। আমরা প্রযুক্তি উন্নত একবিংশ শতাব্দী রয়েছি। অথচ আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করছি না। এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে, তা নিশ্চিত করা উচিত।’’
ড্রাপার-অ্যাগার ম্যাচের শেষ পয়েন্ট নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কে যোগ দিয়েছেন টেনিসপ্রেমীদের একাংশও। অনেকে জোকারের দাবিকে সমর্থন করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy