Advertisement
E-Paper

ডোপ পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ, তবু নির্বাসিত নন টেনিস খেলোয়াড় সিনার! ক্ষুব্ধ দুই সতীর্থ

ডোপ পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি সিনার। কিন্তু তার পরেও নির্বাসিত হতে হল না বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকাকে। তা মেনে নিতে পারছেন না কিরিয়সেরা।

Jannik Sinner

ইয়ানিক সিনার। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২৪ ১৮:১৪
Share
Save

রেগে গেলেন নিক কিরিয়স এবং ডেনিস শাপোভালভ। ইটালির টেনিস তারকা ইয়ানিক সিনার নির্দোষ প্রমাণিত হতেই রেগে গেলেন তাঁরা। ডোপ পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি সিনার। কিন্তু তার পরেও নির্বাসিত হতে হল না বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকাকে। তা মেনে নিতে পারছেন না কিরিয়সেরা।

মার্চে ইন্ডিয়ান ওয়েলস প্রতিযোগিতায় খেলার সময় সিনারের শরীরে ক্লোস্টেবল নামে একটি পদার্থ পাওয়া গিয়েছিল। টেনিস তারকার টেস্টস্টেরনে ওই পদার্থ ছিল। বিশ্ব অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (ওয়াডা) ক্লোস্টেবল পদার্থটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক টেনিস ইন্টিগ্রিটি এজেন্সি (আইটিআইএ) সিনারের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তারা জানিয়েছে, ইটালির টেনিস তারকা ইচ্ছাকৃত ভাবে ডোপিং করেননি। তাঁর ফিজিয়োথেরাপিস্ট না জেনে কোনও একটি ওষুধ দিয়েছিলেন, সেটার মধ্যে ক্লোস্টেবল ছিল।

কিরিয়স মনে করেন সিনারকে অন্তত দু’বছরের জন্য নির্বাসিত করে দেওয়া উচিত। ২০২৩ সালে স্টুটগার্ট ওপেনে শেষ বার খেলতে দেখা গিয়েছিল কিরিয়সকে। তিনি বলেন, “জঘন্য বিষয়। জেনে হোক বা না জেনে। দু’বার পরীক্ষা করা হয়েছে। এবং সেখানে স্টেরয়েড জাতীয় নিষিদ্ধ পদার্থ পাওয়া গিয়েছে। অন্তত দু’বছরের জন্য নির্বাসিত করা উচিত ছিল। ওই ওষুধের ফলে সিনারের খেলতে সুবিধা হয়েছে।” শাপোভালভ ২০২১ সালে উইম্বলডনের সেমিফাইনাল খেলেছিলেন। তিনি বলেন, “আমার খারাপ লাগছে সেই সব খেলোয়াড়দের জন্য যাঁরা ডোপিংয়ের জন্য নির্বাসিত হয়েছেন।”

সিনার পাশে পেয়েছেন তাঁর কোচকে। সিনারের শরীরে ওই পদার্থ নাকি ঢুকেছে মালিশ করার স্প্রের মধ্যে দিয়ে। কোচ ড্যারেন কাহিল বলেন, “সিনার বুঝতে পেরেছিল কী ভাবে ওর শরীরে ওই নিষিদ্ধ পদার্থ ঢুকেছে। সেই কারণে পাঁচ মিনিটের মধ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। সব নিয়ম মানা হয়েছিল বলেই সাময়িক নির্বাসন উঠে গিয়েছে।”

২০২২ সালের ইউএস ওপেনের সময় ডোপ করার জন্য নির্বাসিত হয়েছিলেন সিমোনা হালেপ। তাঁকে চার বছরের জন্য নির্বাসিত করা হয়েছিল। পরে তা কমিয়ে ন’মাসের করা হয়। এর পরেই সিনারের ছাড় পাওয়ার ঘটনা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। কাহিল বলেন, “দুটো ঘটনা আলাদা। যদিও পুরো বিষয়টা সম্পর্কে আমি খুব ভাল করে জানি না। কিন্তু হালেপ বুঝতেই পারেনি ওর শরীরে কী ভাবে নিষিদ্ধ পদার্থ ঢুকেছিল। সেটা বুঝতে সময় লেগে যায়। কিন্তু সিনারের বিষয়টা আলাদা।”

সিনারের কোচের দাবি, হালেপের ক্ষেত্রে সময় বেশি লেগেছিল বলে ওরা দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারেনি। সেই কারণেই হালেপকে নির্বাসিত করা হয়েছিল। যদিও কাহিল স্বীকার করে নিয়েছেন যে, তিনি হালেপের পুরো বিষয়টা জানেন না।

১৫ অগস্ট সিনারের ডোপিং নিয়ে শুনানি ছিল। সেখানে টেনিস খেলোয়াড় বুঝিয়েছেন, তাঁর এক ফিজিয়ো মালিশ করার সময় একটি স্প্রে ব্যবহার করেছিলেন। একটি চোট সারানোর জন্য ওই স্প্রে ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই স্প্রের মধ্যে ক্লোস্টেবল ছিল। সেটাই সিনারের শরীরে ঢুকে যায়। সিনারের সেই দাবি মেনে নেয় আইটিআইএ। সেই কারণে তাঁকে কোনও শাস্তি দেওয়া হয়নি।

Jannik Sinner Tennis Doping Dope Test

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

ক্যানসেল করতে পারবেন আপনার সুবিধামতো

Best Value
প্রতি বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
প্রতি মাসে

৪২৯

১৬৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।