ইয়ানিক সিনার। —ফাইল চিত্র।
রেগে গেলেন নিক কিরিয়স এবং ডেনিস শাপোভালভ। ইটালির টেনিস তারকা ইয়ানিক সিনার নির্দোষ প্রমাণিত হতেই রেগে গেলেন তাঁরা। ডোপ পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি সিনার। কিন্তু তার পরেও নির্বাসিত হতে হল না বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকাকে। তা মেনে নিতে পারছেন না কিরিয়সেরা।
মার্চে ইন্ডিয়ান ওয়েলস প্রতিযোগিতায় খেলার সময় সিনারের শরীরে ক্লোস্টেবল নামে একটি পদার্থ পাওয়া গিয়েছিল। টেনিস তারকার টেস্টস্টেরনে ওই পদার্থ ছিল। বিশ্ব অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (ওয়াডা) ক্লোস্টেবল পদার্থটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক টেনিস ইন্টিগ্রিটি এজেন্সি (আইটিআইএ) সিনারের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তারা জানিয়েছে, ইটালির টেনিস তারকা ইচ্ছাকৃত ভাবে ডোপিং করেননি। তাঁর ফিজিয়োথেরাপিস্ট না জেনে কোনও একটি ওষুধ দিয়েছিলেন, সেটার মধ্যে ক্লোস্টেবল ছিল।
কিরিয়স মনে করেন সিনারকে অন্তত দু’বছরের জন্য নির্বাসিত করে দেওয়া উচিত। ২০২৩ সালে স্টুটগার্ট ওপেনে শেষ বার খেলতে দেখা গিয়েছিল কিরিয়সকে। তিনি বলেন, “জঘন্য বিষয়। জেনে হোক বা না জেনে। দু’বার পরীক্ষা করা হয়েছে। এবং সেখানে স্টেরয়েড জাতীয় নিষিদ্ধ পদার্থ পাওয়া গিয়েছে। অন্তত দু’বছরের জন্য নির্বাসিত করা উচিত ছিল। ওই ওষুধের ফলে সিনারের খেলতে সুবিধা হয়েছে।” শাপোভালভ ২০২১ সালে উইম্বলডনের সেমিফাইনাল খেলেছিলেন। তিনি বলেন, “আমার খারাপ লাগছে সেই সব খেলোয়াড়দের জন্য যাঁরা ডোপিংয়ের জন্য নির্বাসিত হয়েছেন।”
সিনার পাশে পেয়েছেন তাঁর কোচকে। সিনারের শরীরে ওই পদার্থ নাকি ঢুকেছে মালিশ করার স্প্রের মধ্যে দিয়ে। কোচ ড্যারেন কাহিল বলেন, “সিনার বুঝতে পেরেছিল কী ভাবে ওর শরীরে ওই নিষিদ্ধ পদার্থ ঢুকেছে। সেই কারণে পাঁচ মিনিটের মধ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। সব নিয়ম মানা হয়েছিল বলেই সাময়িক নির্বাসন উঠে গিয়েছে।”
২০২২ সালের ইউএস ওপেনের সময় ডোপ করার জন্য নির্বাসিত হয়েছিলেন সিমোনা হালেপ। তাঁকে চার বছরের জন্য নির্বাসিত করা হয়েছিল। পরে তা কমিয়ে ন’মাসের করা হয়। এর পরেই সিনারের ছাড় পাওয়ার ঘটনা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। কাহিল বলেন, “দুটো ঘটনা আলাদা। যদিও পুরো বিষয়টা সম্পর্কে আমি খুব ভাল করে জানি না। কিন্তু হালেপ বুঝতেই পারেনি ওর শরীরে কী ভাবে নিষিদ্ধ পদার্থ ঢুকেছিল। সেটা বুঝতে সময় লেগে যায়। কিন্তু সিনারের বিষয়টা আলাদা।”
সিনারের কোচের দাবি, হালেপের ক্ষেত্রে সময় বেশি লেগেছিল বলে ওরা দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারেনি। সেই কারণেই হালেপকে নির্বাসিত করা হয়েছিল। যদিও কাহিল স্বীকার করে নিয়েছেন যে, তিনি হালেপের পুরো বিষয়টা জানেন না।
১৫ অগস্ট সিনারের ডোপিং নিয়ে শুনানি ছিল। সেখানে টেনিস খেলোয়াড় বুঝিয়েছেন, তাঁর এক ফিজিয়ো মালিশ করার সময় একটি স্প্রে ব্যবহার করেছিলেন। একটি চোট সারানোর জন্য ওই স্প্রে ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই স্প্রের মধ্যে ক্লোস্টেবল ছিল। সেটাই সিনারের শরীরে ঢুকে যায়। সিনারের সেই দাবি মেনে নেয় আইটিআইএ। সেই কারণে তাঁকে কোনও শাস্তি দেওয়া হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy