Advertisement
১৮ নভেম্বর ২০২৪

নেমার না-থাকাটা বড় ক্ষতি, মেনে নিচ্ছেন তিতে

২০১৪ সালে ব্রাজিলে বিশ্বকাপ হয়েছিল। সে বার আয়োজক দেশ সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে ১-৭ গোলে হেরে যায়। যে কারণে সংগঠকদেরও প্রচুর আর্থিক ক্ষতি হয়।

তিতে।— ছবি রয়টার্স।

তিতে।— ছবি রয়টার্স।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৯ ০৪:৩৮
Share: Save:

বারো বছর পরে কোপা আমেরিকা জিততে মরিয়া ব্রাজিল। নিজেদের দেশে টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হতে যাঁর উপর সবেচেয়ে বেশি ভরসা করেছিল তিতের দল, সেই নেমার দা সিলভা স্যান্টোস জুনিয়র চোটের জন্য ছিটকে গিয়েছেন। তার উপর প্যারিস সাঁ জারমাঁর নায়কের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন এক মহিলা। যা নিয়ে এখনও নাটক চলছে। ব্রাজিলীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, জাতীয় দলে এটা নিয়ে মারাত্মক আফসোস রয়েছে। ফুটবলারেরা তাঁদের কাছের মানুষদের বলছেন, এ সবের জন্য ফুটবল খেলাটাই আলোচনার কেন্দ্র থেকে সরে যাচ্ছে।

২০১৪ সালে ব্রাজিলে বিশ্বকাপ হয়েছিল। সে বার আয়োজক দেশ সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে ১-৭ গোলে হেরে যায়। যে কারণে সংগঠকদেরও প্রচুর আর্থিক ক্ষতি হয়। তিতে অবশ্য অতীত নিয়ে পড়ে থাকার পক্ষপাতী নন। তাঁর কথায়, ‘‘যেখানে যাই ঘটুক আমার দলের সব ফুটবলার খোশ মেজাজে আছে। আশা করছি ফাইনাল খেলব। চ্যাম্পিয়নও হব।’’ ২০০৭ সালে ফাইনালে লিয়োনেল মেসির আর্জেন্টিনাকে ৩-০ চূর্ণ করে ব্রাজিল শেষ বার কোপা আমেরিকা জিতেছিল। ফাইনালে অসাধারণ খেলেছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ ও এসি মিলানের প্রাক্তন তারকা রবিনহো। কিন্তু এ বারের ব্রাজিল দলে নেমারের উচ্চতার তারকা নেই। যা নিয়ে তিতের আফসোস আছে, ‘‘বিশ্বের সেরা তিন জন। রোনাল্ডো (ক্রিশ্চিয়ানো), মেসি আর নেমার। আমাদের হয়ে খেলার কথা ছিল এই তিন জনের একজন নেমারের। দলটার দুর্ভাগ্য যে, ওকেই পাচ্ছি না।’’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘‘এই তিন জনের খুব কাছাকাছি রাখব অ্যাজ়ারকে (এডেন)। কিন্তু নেমার মাঠে ওর থেকেও দ্রুত সব কিছু করে। সন্দেহ নেই, এমন একজনকে কোপার মতো টুর্নামেন্টে না পাওয়াটা দলের বিরাট ক্ষতি।’’

তিতে অবশ্য নেমার না থাকার আফসোস নিয়ে পড়ে থাকতে চান না। তাঁর মন্তব্য, ‘‘যারা আছে তারাও কম যায় না। প্রতিটি ছেলে পরিশ্রমী। নিজেদের দেশে কোপা জিততে প্রত্যেকে পরিশ্রম করছে। কাউকে দেখে মনে হচ্ছে না ক্লাব ফুটবল খেলে এসে ক্লান্ত।’’ কোপার জন্য শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে ব্রাজিল ৭-০ হারিয়েছে হন্ডুরাসকে। নেমারের অভাব অনুভূতই হয়নি। তাঁর জায়গায় এই ম্যাচে তিতে খেলিয়েছিলেন দেভিদ নেরেসকে। গোল করেন ম্যাঞ্চেস্টার সিটির গ্যাব্রিয়েল জেসুস ও লিভারপুলের রবের্তো ফির্মিনো। আর বেশির ভাগ গোলের পাস বাড়ান এভার্টনের রিচার্লিসন। ‘‘কোপার আগে সব ক’টা প্রস্তুতি ম্যাচে আমরা ভাল খেলেছি। যা দলের আত্মবিশ্বাস অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে,’’ মন্তব্য পেপ গুয়ার্দিওলার অন্যতম প্রিয় ফুটবলার জেসুসের।

শনিবার কোপার উদ্বোধনী ম্যাচ ব্রাজিল খেলবে এই টুর্নামেন্টে ১৯৬৩ সালের চ্যাম্পিয়ন বলিভিয়ার বিরুদ্ধে। খেলা শুরু হবে ভারতীয় সময় সকাল ছ’টায়। নেমার না থাকায় এ বারের কোপায় সবচেয়ে বড় তারকা মেসি। আর্জেন্টিনা তাদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবে কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে রবিবার। শেষ দু’বার আর্জেন্টিনা কোপায় ফাইনালে হেরে যায় চিলের কাছে। মেসিদের কোচ লিয়োনেল স্কালোনির আশা, এ বার চাকা ঘুরবে। ‘‘প্রস্তুতি ম্যাচগুলোয় আমরা বুঝিয়ে দিয়েছি দল কতটা তৈরি। একটা সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে আমরা খেলছি। ফুটবলারেরাও ফর্মে আছে,’’ বলেছেন স্কালোনি। এ বারের আর্জেন্টিনা দলে অনেকেই নতুন ও অনভিজ্ঞ। ফুটবল বিশ্লেষকেরা তাই মেসিদের নিয়ে দারুণ কিছু আশাবাদী নন। তবে মেসি ছাড়া এই দলটার ‘অক্সিজেন’ সের্খিয়ো আগুয়েরো এবং আঙ্খেল দি মারিয়া। যে কারণে স্কালোনি বলতে পেরেছেন, ‘‘আমাদের আক্রমণে কারা থাকছে ভাবুন। ডিফেন্সও শক্তিশালী। আমার দলের অনেকে নতুন হলেও তাই ভাল ফল আশা করছি,’’

বলেছেন স্কালোনি।

অন্য বিষয়গুলি:

Football Brazil Copa America Tite Neymar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy