রজার ফেডেরার। ছবি: রয়টার্স
ফের খেতাব রজার ফেডেরারের। আবার তিনি হারালেন রাফায়েল নাদালকে। মায়ামি ওপেন ফাইনালে। একেবারে সরাসরি সেটে। ৬-৩, ৬-৪। এই নিয়ে পরপর চারবার নাদালের বিরুদ্ধে জিতলেন তিনি। এই বছর রাফাকে হারানোর হ্যাটট্রিক করলেন তিনি। ট্রফি নেওয়ার সময় ফেডেরার তাঁকে বললেন, ‘‘আমি খুশি যে আবার আমরা একই জায়গায় চলে এলাম।’’
এই মায়ামি ওপেন থেকেই শুরু হওয়া দু’জনের ১৩ বছরের পেশাদারি প্রতিদ্বন্দিতায় যদিও ফেডেরার নাদালকে টানা চারবার হারিয়েছেন, এমন পরিসংখ্যান নেই। তবে মায়ামিতে ফাইনালে মুখোমুখি হয়ে তাঁরা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের চার ও পাঁচ নম্বরে উঠে এলেন। তাই আবার শুরু হল তাঁদের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই । যে খবরে টেনিসবিশ্ব উল্লসিত। হারিয়ে যাওয়া সেই ঐতিহাসিক প্রতিদ্বন্দিতা ফিরে পাওয়া যে বড় ব্যাপার।
ছ’মাস বাইরে থেকে চোট সারিয়ে সার্কিটে ফেরা ৩৫ বছর বয়সি ফেডেরার যেন এখন আরও ধারালো। রবিবার সেটাই তাঁর চিরপ্রতিদ্বন্দীকে বুঝিয়ে দিলেন ফেডেরার। ছ’মাসের বিশ্রামে যে তিনি নিজেকে বছর দুয়েক পিছিয়ে নিয়ে গিয়েছেন, এ দিন ফাইনালে নাদালকে তাও বুঝে নিলেন নাদাল। মায়ামি ওপেনে এই বয়সে কেউ চ্যাম্পিয়ন হননি। যদিও তাঁদের মুখোমুখিতে সব মিলিয়ে নাদাল ২৩-১৪-য় এগিয়ে, কিন্তু সে তাঁর ক্লে কোর্টে আধিপত্যের জন্য। হার্ডকোর্টে ফেডেরার এ দিনই নাদালকে পিছনে ফেলে দিলেন। আপাতত পরিসংখ্যানটা ১০-৯।
তবে এ দিন ট্রফি হাতে তোলার পর ফেডেরার নাদালের উদ্দেশে বলেন, ‘‘এই তো ক্লে কোর্টের মরশুম শুরু হতে চলেছে। এ বার তো তুমিই রাজত্ব করবে বন্ধু।’’ অবশ্য এ বছর ফেডেরারের যা পারফরম্যান্স (১৯-১) তা আর কারও নেই। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে নাদালকে পাঁচ সেটের লড়াইয়ে হারিয়েছিলেন তিনি। ইন্ডিয়ানা ওয়েলসেও হারিয়েছেন। কিন্তু এ দিন ক্র্যান্ডন পার্কে সেই ল়ড়াইয়ের অর্ধেকও দিতে পারলেন না স্প্যানিশ তারকা। বিশেষ করে দ্বিতীয় সেটে।
প্রথম সেটে দশবার ব্রেক পয়েন্ট এসেছিল। আটটাই প্রথম দশ গেমে। ফেডেরার-নাদাল দ্বৈরথের উত্তাপ তখন থেকেই টের পাওয়া যাচ্ছিল। নাদাল দু’বার ব্রেক পয়েন্টে এসেও তা কাজে লাগাতে পারেননি। ফেডেরার অবশ্য আরও বেশি সুযোগ পেয়েছেন। তার মধ্যে একটা কাজে লাগিয়ে নিয়ে ৫-৩-এ এগিয়ে যান ফেডেরার। দ্বিতীয় সেটে অবশ্য রাশ নিজের হাতে নিয়ে নেন সুইস তারকা। এই সেটে ৪-৪ অবস্থায় তিনি নাদালের সার্ভিস ভেঙে দেওয়ার পর আর স্প্যানিশ তারকার কিছু করার ছিল না। শেষ গেমে ফেডেরারের একটা মারণ ব্যাকহ্যান্ডেই নাদালের লড়াই শেষ হয়ে যায়। জয়ের পর ফেডেরার বলেন, ‘‘স্বপ্নের দৌড় চলছে। গত দুটো সপ্তাহ ছিল অসাধারণ। বছরটা কি অসাধারণ শুরু হল! আমার টিমকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ওরা আমাকে প্রচুর সাহায্য করেছে। বিশেষ করে দুঃসময়ে।’’
অন্য দিকে হতাশ নাদাল বলেন, ‘‘আমি এখানে যখনই এসেছি, ছোট ট্রফিটা আমার ভাগ্যে জুটেছে। দুটো সপ্তাহ আমারও ভাল কেটেছে। রজারের কাছে পরপর তিনটে ম্যাচে হারলেও বছরটা খারাপ যায়নি। তিনটে ফাইনাল তো খেললাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy