এখনও উত্তেজনা স্থিমিত হয়নি বার্সেলোনায়। বরং তা ধিকিধিকি জ্বলছে। বড় আকার ধারণ করতে পারে যে কোনও মুহূর্তে। কারণ কাতালুনিয়ার বাইশ লক্ষ ষাট হাজার জনতার নব্বই শতাংশ-ই নাকি স্বাধীনতার পক্ষে। যা নাকচ করে দিয়ে স্পেনের ক্ষমতাসীন সরকার জানিয়ে দিয়েছে, এই গণভোটের কোনও ভিত্তি নেই।
সব দেখে মর্মাহত বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা স্পেনের রাফায়েল নাদাল। কাতালান না হয়েও যিনি বলছেন, ‘‘দেশের পরিস্থিতি দেখে কান্না পাচ্ছে আমার।’’
উল্টোদিকে, স্বাধীনতার জন্য গণভোট রুখতে স্পেনের ক্ষমতাসীন সরকারের শক্তিপ্রয়োগে মর্মাহত বার্সেলোনার ডিফেন্ডার জেরার পিকে। তিনি আবার বলছেন, ‘‘আগামী বছরেই স্পেন ছাড়তে চাই।’’ সব মিলিয়ে কাতালুনিয়ায় উত্তেজনা বহাল পূর্ণমাত্রায়। এ দিনই কাতালুনিয়ার স্বাধীনতার পক্ষে নিজের মত ব্যক্ত করেছেন ম্যাঞ্চেস্টার সিটির কোচ পেপ গুয়ার্দিওলা। যিনি অতীতে খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে জড়িয়েছিলেন বার্সেলোনার সঙ্গে।
রবিবার দর্শকশূন্য গ্যালারিতে খেলতে হয়েছে মেসিদের। যা নিয়ে ক্ষোভের অন্ত নেই বার্সেলোনা কর্তাদের। রবিবার সকালে পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধের পর কেন কাম্প ন্যু-তে লাস পালমাস-এর বিরুদ্ধে ম্যাচ বাতিল করা হল না, তা নিয়ে ফিফার কাছে প্রতিবাদপত্রও পাঠিয়েছেন তাঁরা। জেরার পিকে যে প্রসঙ্গে প্রচারমাধ্যমের কাছে বলেছেন, ‘‘পেশাদার ফুটবলার জীবনে এত খারাপ দিন দেখিনি। একটা মহল চেয়েছিল আমাদের খেলা যাতে পণ্ড হয়। সমস্যায় পড়ে বার্সেলোনা। কিন্তু টিমের কয়েকজন সিনিয়র ফুটবলার এবং কর্তারা মিলে ঠিক করি মাঠে নামবো। দর্শকহীন গ্যালারির সামনে খেলার কষ্ট বোঝাতে পারব না।’’
আরও পড়ুন: ক্যাটালনিয়ার গণভোট ভন্ডুল
একই দিনে মাদ্রিদে কাতালুনিয়ার অপর ক্লাব এস্প্যানিয়ল-এর বিরুদ্ধে ম্যাচ ছিল রিয়াল মাদ্রিদের। সান্তিয়াগো বের্নাবাও স্টেডিয়ামে যে ম্যাচ চলাকালীন স্পেনের হয়ে স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছে রিয়াল সমর্থকদের। কিন্তু নিরাপত্তরক্ষীরা তৎপর থাকায় বড়ড কোনও ঘটনা ঘটেনি।
কাতালুনিয়ার গণভোট রুখতে পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধে রবিবার গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি শতাধিক মানুষ। জখম প্রায় হাজারের কাছাকাছি। যা দেখে স্পেনের তারকা টেনিস খেলোয়াড় রাফায়েল নাদাল মর্মাহত। বলেছেন, ‘‘শুধু কাতালুনিয়া নয়, গোটা দেশের পরিস্থিতি দেখেই কান্না পাচ্ছে আমার। এক সঙ্গে এত বছর থেকে এসেছি আমরা। যা গোটা বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত। কিন্তু রবিবার অনৈক্যের যে ছবি দেখলাম তা নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে মনে।’’
নাদালের চেয়েও গোটা বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়েছে রবিবারের ঘটনার পর বার্সা ডিফেন্ডার জেরার পিকে-র মন্তব্য। য়েখানে তিনি বলেন, ‘‘স্বাধীনতার পক্ষে হোক বা বিপক্ষে ভোট দিতেই হবে। যা আমি সমর্থন করি। চুপ করে বসে থাকার কোনও মানে হয় না। জেনারেল ফ্রাঙ্কোর সময়েও এ ভাবে মুখ বন্ধ করে রাখা হয়েছিল আমাদের। এ বার মুখ খোলার সময় এসেছে। গণভোটের জন্য জমায়েত নিরীহ জনতার উপর আক্রমণ করেছে পুলিশ।’’
পিকে আরও বলেন, ‘‘আমার এই মন্তব্যের জন্য যদি স্পেনের ফুটবল ফেডারেশন বা জাতীয় কোচের সমস্যা হয়, তা হলে ২০১৮-র আগেই জাতীয় দল থেকে সরে দাঁড়াবো।’’
পিকের পাশে দাঁড়িয়েই এ দিন গুয়ার্দিওলা বলেন, ‘‘আর কত দিন চুপ করে থাকবে কাতালুনিয়ার মানুষ। এ বার কথা বলার সময় এসেছে। আর তার জন্য ব্যালট বাক্সের চেয়ে বড় অস্ত্র নেই। আমি স্বাধীনতার জন্য পোস্টাল ভোট পাঠিয়ে দেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy