টস হেরে বল করে নেমে নিউজিল্যান্ডকে পেস আক্রমণ দিয়ে বিধ্বস্ত করলো টাইগাররা। যার নেতৃত্বে ছিলেন 'বিস্ময় বালক' মুস্তাফিজুর রহমান। বলা যায় এদিন এই কাটার বিশেষজ্ঞ'র বোলিংয়ের সামনে অসহায় আত্মসমর্পন করেছে কিউইরা। ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে পাঁচটি উইকেট তুলে নিয়েছেন মুস্তাফিজ। সব মিলিয়ে কিউইরা সংগ্রহ করতে পারলো ১৪৫ রান।
১৪৬ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়লো বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। সর্বোচ্চ ১৬ রান এসেছে শুভাগত হোমের ব্যাট থেকে। মিথুন করেছেন ১১ রান। সাব্বির করেছেন ১২ রান। আর কোনও টাইগার ব্যাটসম্যান রানের অঙ্ক দশকের ঘরে নিয়ে যেতে পারেননি। ১৫.৪ ওভারে ৭০ রানে অলআউট বাংলাদেশ।
ফলশ্রুতিতে একই দিনে মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ দেখা হয়ে গেল টাইগারভক্তদের। মুস্তাফিজ এই বিশ্বকাপের সেরা বোলিং করলেও ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় লজ্জাজনকভাবে ৭৫ রানে ম্যাচ হারলো বাংলাদেশ। কোনও জয় ছাড়াই বিশ্বকাপ মিশন শেষ করলো টিম মাশরাফি।
এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কিউই অধিনায়ক উইলিয়ামসন। নিউজিল্যান্ডের ৪ ওভারের ওপেনিং জুটিতে আসে ২৫ রান। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন মুস্তাফিজ। এই বিস্ময় বালকের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান হেনরি নিকোলস। ১১ বলে ৭ রান করে আউট হন তিনি। এরপর হাল ধরে কেন উইলিয়ামসন ও রস টেলর। দলীয় ৫৭ রানে উইলিয়ামসনকে বোল্ড করেন মুস্তাফিজ। ৩২ বলে সর্বোচ্চ ৪২ রান করে আউট হন তিনি।
এরপর হাল ধরেন টেলর ও কলিন মুনরো। ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই মুনরোকে (৩৫) বোল্ড করেন আল আমিন। ১৪.৫ ওভারে দলীয় ৯৯ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। পরের ওভারে আঘাত হানেন অধিনায়ক মাশরাফি। দলীয় ১০০ রানের মাথায় কোরি অ্যান্ডারসনকে বোল্ড করেন তিনি। রানের খাতা না খুলেই বিদায় নিতে হয় তাকে।
দলীয় ১২২ রানের মাথায় গ্রান্ট ইলিংটকে শুভাগত'র হাতে ক্যাচে পরিণত করেন মুস্তাফিজ। ৭ বলে ৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। পরের ওভারে আঘাত হানেন আল আমিন। ভয়ংকর হয়ে উঠতে যাওয়া রস টেলরকে মিথুনের হাতে ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। ১২৭ রানে ৬ উইকেট হারায় কিউইরা। আউট হওয়ার আগে ২৪ বলে ২৮ রান করেন টেলর।
শেষ ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে মাইকেল স্যান্টনার ও নাথান ম্যাককালামকে সাজঘরে ফিরিয়ে নিজের পঞ্চম উইকেট পূরণ করেন মুস্তাফিজ। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান সংগ্রহ করে কিউইরা।
১৪৬ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে দুভার্গ্যজনক রানআউটের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন তামিম (৩)। তিনি। ৫.৪ ওভারে ম্যাকক্লেনঘানের বলে বোল্ড হন মোহাম্মদ মিথুন। আউট হওয়ার আগে ১৭ বলে ১১ রান করেন তিনি।
এরপর ফিরে যান সাকিব আল হাসানও (২)। ৭.১ ওভারে স্যান্টনারের বলে ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফেরেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। পরের ওভারে সাজঘরে ফেরেন ইনফর্ম ব্যাটসম্যান সাব্বির। নাথান ম্যাককালামের বলে স্যান্টনারের হাতে ক্যাচ তুলেন তিনি। আউট হওয়ার আগে ১৮ বলে ১২ রান করেন তিনি।
৩৮ রানে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে টাইগাররা। সোধীর বলে স্ট্যাম্পড হয়ে সৌম্য (৬) আউট হলে রীতিমতো ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। এরপর ১০.৪ ওভারে দলীয় ৪৪ রানে বোল্ড হন মুশফিকুর রহিম। তবে তখনও আশা কিছুটা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১২তম ওভারের শেষ বলে সোধীর বলে রিয়াদ (৫) আউট হলে বাংলাদেশের জয়ের আশা একদম শেষ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত মাত্র ১৫.৪ ওভারে অলআউট হয় বাংলাদেশ। কিউইদের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন ইশ সোধী ও গ্র্যান্ট ইলিয়ট।
সৌজন্যে: বাংলা ট্রিবিউন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy