Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Suresh Raina

ধোনির অসহায় মুখই বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে দলকে জেতাতে উদ্বুদ্ধ করেছিল, দাবি রায়নার

২৬১ রানের জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এক সময় ১৮৭ রানে পাঁচ উইকেট পড়ে গিয়েছিল ভারতের। ধোনি যখন ফিরছেন, তখন ৭৫ বলে দরকার ছিল ৭৪ রান। সেই টানটান পরিস্থিতিতে ক্রিজে যুবরাজ সিংহের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন রায়না।

ভারতকে ২০১১ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে তোলার পর যুবরাজ ও রায়না। ছবি: এএফপি।

ভারতকে ২০১১ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে তোলার পর যুবরাজ ও রায়না। ছবি: এএফপি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২০ ১৭:৪৫
Share: Save:

হতাশ মুখে ড্রেসিংরুমে ফিরে আসছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। তাঁর সেই অসহায় মুখই নিজের সেরাটা দিতে উদ্দীপ্ত করেছিল সুরেশ রায়নাকে।

২০১১ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নাটকীয় ম্যাচের স্মৃতিচারণে এই কথা জানিয়েছেন বাঁহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। আগের বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া প্রথমে ব্যাট করে ছয় উইকেটে ২৬০ রান তুলেছিল। ২৬১ রানের জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এক সময় ১৮৭ রানে পাঁচ উইকেট পড়ে গিয়েছিল ভারতের। ধোনি যখন ফিরছেন, তখন ৭৫ বলে দরকার ছিল ৭৪ রান। সেই টানটান পরিস্থিতিতে ক্রিজে যুবরাজ সিংহের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন রায়না।

আরও পড়ুন: গেলকে বল করতে কোনও দিনই সমস্যা হয়নি, দাবি হরভজনের

আরও পড়ুন: ‘ক্রিকেটের সব ম্যাচই ফিক্সড, সৎ ভাবে খেলা হয় না একটিও’

আকাশ চোপড়ার সঙ্গে আলাপচারিতায় সুরেশ রায়না বলেছেন, “সাজঘরে আমার ডান পাশে বসেছিল বীরেন্দ্র সহবাগ। বাঁদিকে ছিল সচিন তেন্ডুলকর। সচিন আমাকে বার তিনেক টোকা দিয়ে বলল যে, ‘আজ তুমিই ভারতকে জেতাবে।’ সচিন তার পর সাই বাবার ব্রেসলেট পরে ফেলল। আমার মনে হতে লাগল যে, আজ দিনটা আমারই হতে চলেছে। আমিই জেতাব দলকে। যখন মাঠে ঢুকছি, দেখলাম বিষাদমাখা মুখ নিয়ে ফিরছে ধোনি। সঙ্গে সঙ্গে আমি ঠিক করে ফেললাম যে, এই সুযোগ কিছুতেই নষ্ট করা যাবে না। যে কোনও মূল্যে দলকে জেতাব। অস্ট্রেলিয়া তখন আক্রমণ থেকে অফস্পিনারদের সরিয়ে ফেলেছে। ওই অফস্পিনাররাই বিপজ্জনক হয়ে উঠেছিল। ব্রেট লি-কে ছয় মারার পর নিশ্চিত হয়ে গেলাম যে আমরাই জিতছি। খেলার ধারা তখন আমাদের দিকে এসে গিয়েছিল।”

৪৭.৪ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়েই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত। ১৪ বল বাকি থাকতে জয় আসে পাঁচ উইকেটে। সুরেশ রায়না ২৮ বলে অপরাজিত থাকেন ৩৪ রানে। মারেন দুটো চার ও একটা ছয়। অন্য দিকে, যুবরাজ সিংহ অপরাজিত থাকেন ৫৭ রানে। বল হাতেও দুই উইকেট নিয়েছিলেন। ফলে, ম্যাচের সেরা হন যুবরাজ।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy