হায়দরাবাদে ভুবনেশ্বর কুমারের সুইং আর ‘নাক্ল বল’-এর মুখোমুখি হওয়ার অনেক আগে অন্য এক প্রতিপক্ষের মুখে পড়েছে রোহিত শর্মার মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। উপ্পলের রাজীব গাঁধী আন্তর্জাতিক মাঠে অনুশীলনে গিয়েই তাঁদের পালানোর মতো অবস্থা মশার অত্যাচারে।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স আজ, বৃহস্পতিবার তাদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবারই রোহিত শর্মারা পৌঁছে গিয়েছিলেন উপ্পলের মাঠে। সেখানে ড্রেসিংরুমে ঢুকে তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। মশায় ভর্তি হয়ে আছে ড্রেসিংরুম। বসার উপায় নেই। তাঁদের দলের পক্ষ থেকে মাঠের কর্মীদের কাছে মশা মারার র্যাকেট চেয়ে পাঠানো হয়। কয়েকটি র্যাকেটের ব্যবস্থাও হয়ে যায় দ্রুত। তা দিয়ে মশা মারতে নেমে পড়েন রোহিতরা।
দুর্দশার এখানেই শেষ নয়। এর পর মাঠে নেমেও মশার অত্যাচারে পালিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয় ক্রিকেটারদের। কেউ একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে পর্যন্ত থাকতে পারেননি। অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এমন পরিস্থিতি দেখে। ‘‘মশার কামড় থেকে নানা রকম রোগ হচ্ছে সারা দেশে। কিছু একটা হয়ে গেলে কে দায়িত্ব নেবে,’’ ফোনে বললেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের এক কর্তা। ফিজিওর সঙ্গে কথা বলে মুম্বই কর্তারা দ্রুত মশা থেকে রক্ষা পাওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছেন। ‘‘ওডোমস আনতে বলে দিয়েছিলাম কালই। সেটা ফিজিওর ব্যাগে থাকছে। সারা গায়ে মেখে নামছে আমাদের ক্রিকেটাররা,’’ বলছেন মুম্বই কর্তা।
এমন অব্যবস্থার জন্য হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার দিকেই অভিযোগের আঙুল উঠছে। এমনিতেই আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে হায়দরাবাদ সংস্থার একাধিক কর্তাকে বহিষ্কৃত করা হয়েছে। এই মুহূর্তে কারা যে সংস্থার কাজ পরিচালনা করছেন, তা নিয়েই ধোঁয়াশা রয়েছে। তাই হায়দরাবাদের কর্তাদের কাউকেও পাওয়া যায়নি এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য। তবে কেউ কেউ আবার বলছেন, সানরাইজার্স কর্তৃপক্ষই বা মাঠের পরিচর্যার দায়িত্ব নেবেন না কেন? তারাই তো আইপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজি এবং এই মাঠ সানরাইজার্সেরই ঘরের মাঠ।
হায়দরাবাদে ফোন করে জানা গেল, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের তরফে মৌখিক ভাবে প্রতিবাদ জানানোর পরে বুধবার গোটা স্টেডিয়ামে মশা তাড়ানোর স্প্রে করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও আর এক বিপত্তি। মশা মারতে গিয়ে কামানই দেগে ফেলেছেন মাঠের কর্মীরা। ‘‘ড্রেসিংরুমে এত বেশি স্প্রে করে দিয়েছে যে, ভিতরে কেউ বসে থাকতে পারছে না। নাক আটকে যাচ্ছে সকলের,’’ বললেন এক জন।
প্রশ্ন উঠছে আইপিএলের মতো নামী এবং ধনী ক্রিকেট লিগে এমন অব্যবস্থা কেন দেখা দেবে? যেখানে প্রত্যেকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি কোটি কোটি টাকা খরচ করছে, তারা কেন মাঠের তদারকির দিকে নজর দেবে না? আইপিএলের আয় থেকে মোটা টাকা অনুদানও পেয়ে এসেছে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলি। তারাই বা পরিকাঠামোর দিকটা দেখবে না কেন? শুধু ক্রিকেটারদের জন্যই নয়, গ্যালারিতে যে রকম মশার উপদ্রবের খবর পাওয়া গিয়েছে, তা দর্শকদের জন্যও যথেষ্ট ভয়ের কারণ।
ভিডিও: পারফর্ম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy