দুরন্ত চামারো জয় এনে দিল মোহনবাগানকে। ছবি: পিটিআই।
জয় দিয়েই ডুরান্ড কাপ শুরু করল মোহনবাগান। ম্যাচ ঘিরে আগে থেকেই উত্তেজনার পারদ চড়ছিল। সবুজ-মেরুনের বিরুদ্ধে সুব্রত ভট্টাচার্যের মহমেডান কেমন লড়াই দিতে পারে তার দিকেই নজর ছিল ফুটবলপ্রেমীদের।
শুক্রবারের বৃষ্টিভেজা যুবভারতীর মাঠে মহমেডানের বিরুদ্ধে ২-০ গোলে জয়লাভ করল কিবু ভিকুনার দল। ম্যাচ শুরুর দু’মিনিটের মাথায় বেইতার ফ্রি-কিক থেকে নিজেকে শূন্যে ছুড়ে দিয়ে মহমেডানের জালে বল জড়িয়ে দেন দলে সালভাদর মার্টিনেজ ওরফে চামারো। ম্যাচের শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণ আছড়ে পড়তে থাকে মহমেডানের পেনাল্টি বক্সে। উইং বরাবর বেইতা, সালভাদরের পর পর আক্রমণে কার্যত অসহায় দেখায় মহমেডান রক্ষণকে।
প্রথমার্ধের ২৩ মিনিটের মাথায় উইং ধরে উঠে আসা আশুতোষ মেহতার নির্ভুল ক্রস থেকে দুরন্ত হেডে দলকে দুই গোলে এগিয়ে দেন সালভাদর মার্টিনেজ ওরফে সালভা চামারো।
দুই গোলে পিছিয়ে থাকা মহমেডানের কাছে গোল করার প্রথম সুযোগ আসে ম্যাচের ৩২ মিনিটের মাথায়। তবে সেই আক্রমণ সহজেই রুখে দেন অভিজ্ঞ গোলকিপার শিল্টন পাল।
প্রথমার্ধে মোহনবাগান মাঠ জুড়ে দাপিয়ে বেড়ালেও দ্বিতীয়ার্ধে পাল্টা আক্রমণ শুরু করে সুব্রত ভট্টাচার্যের দল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আমির হুসেনের পরিবর্তে মহম্মদ আমিরকে মাঠে নামান মহমেডান কোচ।
৭৫ মিনিটের মাথায় তীর্থঙ্করের জোরালো শট রুখে দেন ‘মেরিনার্স’-এর শেষ প্রহরী। ৮৩ মিনিটে মহমেডানের হয়ে বড় সুযোগ হাতছাড়া করেন তীর্থঙ্কর। বেইতাকে টপকে বাগানের পেনাল্টি বক্সের খুব কাছে তীর্থঙ্করকে বল বাড়িয়ে দেন মুসা কিন্তু মোহনবাগানের রক্ষাকর্তা হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে তা রুখে দেন শিল্টন।
এর পর আর ম্যাচে ফিরতে পারেননি সুব্রত ভট্টাচার্যের ছেলেরা। ম্যাচ শেষে বাড়তি তিন মিনিটে দুই দলই বার বার আক্রমণে গেলেও গোল আর হয়নি। মাঝমাঠ থেকে বার বার উঠে এলেও বিপক্ষের পেনাল্টি বক্সের সামনেই এলোমেলো হয়ে পড়ে মহমেডানের আক্রমণ। ডুরান্ড কাপের প্রথম ম্যাচই ২-০ গোল দিয়ে শুরু করায় আগামী ম্যাচগুলোয় পালতোলা নৌকো তরতর করে এগোয় কি না সেটাই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy