বাগান প্র্যাকটিসে সঞ্জয় সেন। শুক্রবার। ছবি: উৎপল সরকার।
রবীন্দ্র সরোবরে নয়। আই লিগের প্রথম ম্যাচ খেলতে কাতসুমিদের যেতে হচ্ছে বারাসতে! এবং সেটা ঠিক হল ম্যাচের মাত্র ৪৮ ঘণ্টা আগে। মজার বিষয়, সরোবরে ম্যাচ হবে ধরে নিয়ে শুক্রবার সকালে সেখানে প্র্যাকটিসও করে ফেলেছিল সঞ্জয় সেনের টিম।
ফেডারেশনের কাছে গত এক মাস ধরে রবীন্দ্র সরোবরকে নিজেদের মাঠ হিসেবে দেখিয়ে আসছিল মোহনবাগান। কিন্তু সরোবরে খেলতে গেলে পরিবেশ আদালতের যে ছাড়পত্র দরকার ছিল তার জন্য সবুজ-মেরুন আবেদন করেনি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। শুক্রবার বাগান কর্তারা সেই আবেদন করলেও পরিবেশ আদালত তা খারিজ করে দেওয়ায় সঞ্জয় সেনের দলের ম্যাচ সরে যায় বারাসতে। রবিবার সেখানেই চার্চিল ব্রাদার্সের মুখোমুখি হবে বাগান।
চলতি বছরে আদৌ সবুজ-মেরুন ব্রিগেড সরোবরে খেলতে পারবে কি না তার নিশ্চয়তাও পাওয়া যায়নি এ দিন রাত পর্যন্ত। পরিবেশ আদালতে মামলার মূল আবেদনকারী পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত বলছেন, ‘‘রাতে রবীন্দ্র সরোবরে বাগানের আই লিগ খেলার সম্ভাবনা হিমঘরে পাঠিয়ে দিয়েছে পরিবেশ আদালত। বাগান কর্তারা যদি এর পরেও ফ্লাডলাইটে রবীন্দ্র সরোবরে খেলতে চান তা হলে তাঁদের আবেদন করতে হবে এ বার সুপ্রিম কোর্টে।’’
যা শুনে মোহনবাগান সচিব অঞ্জন মিত্র যুদ্ধং দেহি মেজাজে বলে দিলেন, ‘‘রবিবার ম্যাচ না খেলতে পারলে আমাদের পাঁচ পয়েন্ট কাটা যেত। তাই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ম্যাচ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বারাসতে।’’ সঙ্গে তিনি এটাও বললেন, ‘‘আমরা রবীন্দ্র সরোবরেই খেলতে চাই। পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে সোমবারই আদালতে যাচ্ছি আমরা। প্রয়োজন পড়লে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হব।’’
অন্য দিকে মামলার মূল আবেদনকারী এ দিন রাতেও বললেন, ‘‘দিন পনেরো আগে মোহনবাগান সচিব আমাকে ফোন করলে তাঁকে পরিবেশ আদালতে আবেদন করতে বলেছিলাম। কিন্তু এত দিন ওদের কর্তারা সেই আবেদন করেননি কেন?’’ যা শুনে অঞ্জনের পাল্টা, ‘‘কে বলল আমরা কোনও উদ্যোগ নিইনি? এ ব্যাপারে মিডিয়ার কাছে বেশি কিছু বলব না।’’
এ দিন রবীন্দ্র সরোবরে বাগান অনুশীলনে হাজির ছিলেন সবুজ-মেরুন সভাপতি স্বপনসাধন বসু এবং অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত। সকালেও তাঁরা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন রবিবার রাতে সরোবরে ম্যাচ খেলতে কোনও না কোনও সমাধানসূত্র বেরিয়ে যাবে।
যদিও বেলার দিকে পরিবেশ আদালতে বিচারপতি পি জ্যোতিমণির এজলাসে সুভাষবাবুর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রবীন্দ্র সরোবরে ফ্লাডলাইটে বাগানের ম্যাচ আয়োজন করা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করে পরিবেশ আদালত। বাগান কর্তারা আইনজীবী নিয়ে হাজির হলে বিকেলের দিকে ফের শুনানি শুরু হয়। এক ঘণ্টা শুনানি চলার পর আদালত বাগানের সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।
হঠাৎ করে বাগানের ম্যাচ বারাসতে সরে যাওয়ায় প্রস্তুতি ব্যাহত হতে পারে কি না তা জানতে চাইলে বাগান কোচ কোনও মন্তব্য করতে চাননি। যদিও সঞ্জয় সেনের অন্যতম অস্ত্র জেজে বলছেন, ‘‘ম্যাচ তো বন্ধ হয়নি। আমাদের যেখানে খেলতে বলবে সেখানেই খেলব। অসুবিধে নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy