কোন খেলা কবে, ঠিক হয়ে গিয়েছে তা। —নিজস্ব চিত্র
ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া নয়, জলপাইগুড়িতে ফুটবল জ্বর! একটি ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে মোনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গলের ফুটবল অ্যাকাডেমির খেলোয়াড়েরা। আর তাতেই কাঁপছে জলপাইগুড়ি। বড়দের ম্যাচ হয়নি তো কী, ছোটদের ম্যাচ ঘিরেই ডার্বির স্বাদ নিতে চাইছে শহর।
নয়ের দশকে একবার চার দলীয় একটি টুর্নামেন্টে মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল যোগ নিলেও সে বার দু’টি ক্লাবকে মুখোমুখি হতে হয়নি। এ বার প্রতিযোগিতার জলপাইগুড়ির বাসিন্দারা আশা করছেন, দু’টি দলের মুখোমুখি লড়াই তাঁরা দেখতে পাবেন।
প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে রায়কতপাড়া ইয়ং অ্যাসোশিয়েশন। জলপাইগুড়ি টাউন ক্লাবের মাঠে আটটি দল নিয়ে আমন্ত্রণী নকআউট ফুটবল প্রতিযোগিতা ২১ তারিখ থেকে শুরু হবে। চলবে ২৮ তারিখ পর্যন্ত। ক্লাবের সম্পাদক সমীর চক্রবর্তী বলেন, “এ বারের প্রতিযোগিতার বিশেষত্ব হচ্ছে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের অনূর্ধ্ব ১৯ দলের যোগদান। প্রতিযোগিতা সাত বছরে পড়ল।”
প্রতিযোগিতায় দু’টি গ্রুপে চারটি করে দল আছে। মোহনবাগানের গ্রুপে আছে বাংলাদেশের বসুন্ধরা, মিলন সংঘ এবং উল্কা। ইস্টবেঙ্গলের গ্রুপে আছে কাঞ্চনজঙ্ঘা ফুটবল কোচিং সেন্টার, সরোজিনী সঙ্ঘ এবং শেয়ার ক্লাব। মোহনবাগান ফ্যান ক্লাবের সম্পাদক শাম্তনু বসু বলেন, “আমরা আমাদের দলকে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে মোটরসাইকেল র্যালি করে আনব। শহরেও শোভাযাত্রার উদ্যোগ হচ্ছে। সদস্যদের তৈরি থাকার জন্য জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
ইস্টবেঙ্গলের রাজগঞ্জ অ্যাকাডেমির অনূর্ধ্ব ১৬ দলটি জলপাইগুড়ি ঘরোয়া লিগে ইতিমধ্যে খেলেছে। জলপাইগুড়ির প্রথম ডিভিশন লিগে তারা শীর্ষ স্থানে আছে। অনূর্ধ্ব ১৯ দলটি কলকাতা থেকে আসছে। ইস্টবেঙ্গল ফ্যান ক্লাবের সম্পাদক রাহুল হোড় বলেন, “আমাদের দলকে কী ভাবে সংবর্ধনা জানানো হবে, সে বিষয় নিয়ে আমরা সদস্যদের সঙ্গে আলোচনায় বসে সিদ্ধান্ত নেব।”
উন্মাদনা ছড়িয়েছে দু’টি দলের কর্মকর্তাদের মধ্যেও। রাজগঞ্জের ইস্টবেঙ্গল কোচিং সেন্টারের ম্যানেজার শমীক মজুমদার বলেন, “ইস্টবেঙ্গল জলপাইগুড়ি ঘরের টিম। ঘরোয়া লিগে আমরা অংশ নিই। এই প্রতিযোগিতায় আমাদের অনূর্ধ্ব ১৯ দল জিতবেই।” দুর্গাপুরের মোহনবাগান সেল অ্যাকাডেমির সচিব তপন রায় বলেন, “জাতীয় ক্লাব মোহনবাগানের ফুটবল অ্যাকাডেমি দেশের অন্যতম সেরা ফুটবল অ্যাকাডেমি। আমাদের ছেলেরা ফুটবলের ঔৎকর্ষ দেখানোর জন্য জলপাইগুড়িতে প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। লক্ষ্য বিজয়ী হওয়া।”
১৯৯৭ সালে একবারই চারদলীয় ফুটবল প্রতিযোগিতায় দুটি দল যোগ দেয়। সেই প্রতিযোগিতায় সংগঠকদের অন্যতম জলপাইগুড়ি ভেটারেন্স ক্লাবের সম্পাদক সন্তু চট্টোপাধ্যায় জানান, পিয়ারলেস আয়োজিত সে বারের প্রতিযোগিতায় ইস্টবেঙ্গল বিজয়ী হয়েছিল। রানার্স আপ হয় পিয়ারলেস দল। দুই প্রধান সেই প্রতিযোগিতায় মুখোমুখি হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy