প্রথম দেখায় পঞ্জাবি মিলখার সঙ্গে ভাষা সমস্যা হয় কেরলের ঊষার। —ফাইল চিত্র
মিলখা দৌড় শুরু করতেই স্টার্টিং ব্লকটা পড়ে গেল। রুদ্র দৃষ্টি দিলেন যিনি ব্লকটা সেট করেছিলেন তাঁর দিকে। তত ক্ষনে বাকি প্রতিযোগীরা এগিয়ে গিয়েছেন। তবুও সেই রেস জিতেছিলেন মিলখা। ঊষা এই কাহিনি শুনেছিলেন তাঁর প্রশিক্ষক ও এম নাম্বিয়ার কাছে।
ছোটবেলা থেকেই এমন কাহিনি শুনেছেন মিলখার সম্বন্ধে। ঊষা বলেন, “এত গল্প শুনেছি ওঁর, যে দেখা করার জন্য উদগ্রীব ছিলাম।” তবে যখন দেখা হল, তখন অন্য বিপত্তি। পঞ্জাবি মিলখার সঙ্গে ভাষা সমস্যা হল কেরলের ঊষার। ১৯৮৬ সালের এশিয়ান গেমসে ৪টি সোনাজয়ী ঊষা বলেন, “১৯৮২ সালে জুনিয়র মিটে যোগ দিতে কোরিয়া গিয়েছিলাম আমরা। মিলখা ছিলেন শেফ দ্য মিশন আর আমি ছিলাম প্রতিযোগী। হিন্দি জানি না বলে ওঁর কথাই বুঝতে পারিনি।”
পরে অবশ্য সেই সমস্যা মিটে যায়। ২ জনের মধ্যে ভাল সম্পর্ক তৈরি হয়। স্মৃতিচারণ করতে বসে ঊষা বলেন, “এখন দৌড়লে অলিম্পিক্স, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে পদক জিততেন মিলখা। প্রচণ্ড প্রতিভাবান ছিলেন উনি। ১৯৬০ সালে যে জাতীয় রেকর্ড গড়েছিলেন, তা ভাঙতে প্রায় চার যুগ কেটে যায়।”
ঊষা বলেন, “আমার কাছে মিলখার সেরা দৌড় ১৯৬০ সালে অলিম্পিক্সেরটাই। পরবর্তী সময় হয়তো অনেকেই ওঁকে ছাপিয়ে গিয়েছে, তবে এখনকার দৌড়বিদরা অনেক বেশি সু্যোগ-সুবিধা পায়।” মেলবোর্নে প্রথম বার অলিম্পিক্সে নেমেছিলেন মিলখা। ঊষাকে সেই জায়গাটা নিয়ে গিয়ে দেখিয়েছিলেন।
তিন বছর আগেই নাকি বাঁচার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলেছিলেন মিলখা সিংহ। এমনটাই বলেছিলেন পি টি ঊষাকে। যাদুঘরে সমস্ত পদক, জুতো দান করে ঊষাকে বলেছিলেন, “আমি মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত। বিদায় জানাতে চাই।” চমকে উঠেছিলেন ঊষা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy