Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Milkha Singh

Milkha Singh Death: মিলখার মৃত্যুতে শুধু ভারত নয়, শোকের ছায়া ওয়াঘার ও পারেও

মিলখার সব থেকে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন পাকিস্তানের আব্দুল খালিক।

মিলখা সিংহ

মিলখা সিংহ ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০২১ ১৬:৪৬
Share: Save:

মিলখা সিংহের প্রয়াণে শুধু ভারত নয়, পাকিস্তানেও শোকের ছায়া। মিলখা জন্মেছিলেন অবিভক্ত ভারতের গোবিন্দপুরায় (এখন পাকিস্তানে)। মিলখার সব থেকে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন পাকিস্তানের আব্দুল খালিক। তাঁর ছেলে মহম্মদ এজাজ জানিয়ে দিলেন, মিলখার মৃত্যু ভারত নয়, পাকিস্তানেরও বড় ক্ষতি।

এক সংবাদপত্রে কলামে তিনি লিখেছেন “মিলখার মতো আমার বাবাও দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। তিনিও সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার পর দৌড়নো শুরু করেন। এমনকি, মিলখার মতো আমার বাবাকেও চতুর্থ হওয়ার যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়েছে। ১৯৫৬-র মেলবোর্ন গেমসে ১০০ এবং ২০০ মিটারের সেমিফাইনালে তিনি চতুর্থ হয়েছিলেন।”

এজাজ জানিয়েছেন, ২০০৯-এ ‘ভাগ মিলখা ভাগ’ সিনেমায় তাঁর বাবাকে দেখানোর জন্য স্বত্ত্ব গ্রহণের সময় প্রথম মিলখার সঙ্গে তাঁর কথা হয়। কী কথা হয়েছিল তখন? এজাজ লিখেছেন, “মিলখাকে আমি বলেছিলাম, উনি দারুণ দৌড়বিদ। মিলখা আমাকে উত্তরে যা বলেছিলেন তা এখনও কানে লেগে রয়েছে। উনি বলেছিলেন, ‘তোমার বাবা অনেক বড় ক্রীড়াবিদ ছিলেন। আমি ফ্লাইং শিখ নামটা পেয়েছি ওকে হারিয়েই। আমার খ্যাতির পিছনে ওর অনেক অবদান রয়েছে’।” এজাজের সংযোজন, “সোনার মতো হৃদয় থাকলে তবেই কোনও মানুষ এ রকম কথা বলতে পারেন।”

এজাজ জানিয়েছেন, ১৯৬০ লাহৌরে সেই দৌড়ে মিলখার কাছে হেরে গিয়ে চুপ হয়ে গিয়েছিলেন খালিক। পরের দিন ৪*১০০ মিটার রিলে রেস ছিল, যেখানে খালিক এবং মিলখা দু’জনেই শেষ লেগে দৌড়বেন বলে ঠিক ছিল। এজাজ লিখেছেন, “অনেকে বলে আমার বাবা মিলখার আগে সতীর্থের থেকে ব্যাটন পেয়েছিলেন। কিন্তু আমার কাকা বলেছেন যে, ব্যাটন পেয়েও বাবা নাকি মিলখার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তিনি কাছাকাছি আসতেই আমার বাবা বলেন, ‘মিলখা সাহিব, এ বার জোরে দৌড়োও’। সেই দৌড়ে জিতেছিলেন আমার বাবাই, যা তাঁর খ্যাতি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করেছিল।”

অন্য বিষয়গুলি:

India pakistan Athletics Milkha Singh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE