সেরা: ৫২ বলে ৮০ রান করলেন রাহুল। শুক্রবার রাজকোটে। এপি
কখনও তিনি ওপেনে। কখনও চার নম্বরে। কখনও আবার পাঁচে নেমে ফিনিশারের ভূমিকায়। তার উপরে উইকেটকিপিংয়ের দায়িত্ব তো আছেই। কে এল রাহুল এই মুহূর্তে ঠিক জলের মতো! যে পাত্রে রাখা হবে, তারই আকার নেবে। রাহুলের এই বহুমুখী দক্ষতা মুগ্ধ করেছে অস্ট্রেলিয়ার এক প্রাক্তন ব্যাটসম্যানকেও। তিনি মাইকেল স্লেটার।
ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের ধারাভাষ্যকার হিসেবে এখন রাজকোটে আছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন এই ক্রিকেটার। শুক্রবার ইনিংসের মাঝপথে কমেন্ট্রি বক্সের বাইরে দাঁড়িয়ে বলছিলেন, ‘‘রাহুল সত্যিই খুব ভাল ক্রিকেটার। বহুমুখী দক্ষতা আছে ওর। আজ ওর ব্যাটিংটা দারুণ উপভোগ করলাম।’’
প্রথম ম্যাচে রাহুল নেমেছিলেন তিন নম্বরে। বিরাট কোহালি নেমে এসেছিলেন চার নম্বরে। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। কোহালি এ দিন প্রত্যাশিত ভাবেই তিন নম্বরে নামলেন। কিন্তু রাহুল চারের বদলে নামলেন পাঁচে। শ্রেয়স আইয়ারেরও পরে। কিন্তু তাঁর ৫২ বলে ৮০ রান ভারতকে বড় স্কোরে পৌঁছে দেয়।
কোহালির যে তিন নম্বরেই নামা উচিত, সে বিষয়ে নিশ্চিত স্লেটার। তাঁর মন্তব্য, ‘‘তিন নম্বরটাই কোহালির আদর্শ জায়গা। ওখানেই ওর নামা উচিত।’’ পাঁচ নম্বরে নামা রাহুলের ব্যাটিং আপনার কেমন লাগল? মুগ্ধ স্লেটার বলছিলেন, ‘‘অসাধারণ ব্যাট করল রাহুল। ছেলেটার হাতে খুব ভাল শট আছে। কপিবুক ব্যাট করেও দ্রুত রান তুলতে পারে।’’
কিন্তু রাহুলের উপরে যে ভাবে পরীক্ষা চালানো হচ্ছে, সেটা কি ঠিক? এই ওপেন করছে তো এই তিন নম্বরে। এ দিন তো একেবারে পাঁচে। এতে কি রাহুলের সমস্যা হবে না? স্লেটার মনে করছেন, রাহুল এতে সমস্যায় পড়বেন না। স্লেটার নিজেও একটা সময় যেমন আন্তর্জাতিক ম্যাচে ওপেন করেছেন, সে রকম মিডল অর্ডারেও খেলেছেন। হয়তো সেই অভিজ্ঞতা থেকেই বলছেন, ‘‘রাহুলের ব্যাটিং দেখে মনে হল, ও যে কোনও জায়গায় খেলতে পারে। হাতে প্রচুর শট আছে। তাই সমস্যায় পড়বে না।’’
রাজকোটে রাহুলের বিধ্বংসী ইনিংস যে অস্ট্রেলিয়ার কাজটা কঠিন করে দিয়েছে, তা মানছেন স্লেটার। বলছেন, ‘‘এ দিন তো হাতে কম ওভার ছিল। কিন্তু কী সুন্দর মানিয়ে নিয়ে ব্যাট করল। রাহুলের ব্যাটিং দেখে এটা পরিষ্কার, ওর মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা আছে। ভারত ওকে যে কোনও জায়গায় খেলাতে পারে।’’ পাশাপাশি কিপিংটাও তো করতে হচ্ছে রাহুলকে। এতে কি এই তরুণ ব্যাটসম্যানের ওপর বাড়তি চাপ পড়বে না? স্লেটার মানছেন না। বলছেন, ‘‘আমার তো মনে হয় রাহুল সব দায়িত্ব খুব ভাল করে সামলাতে পারবে। ওর সেই ক্ষমতাটা আছে।’’ প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানের ভরসার মর্যাদা দিতেই কি না কে জানে, এর পরে রবীন্দ্র জাডেজার বলে দুরন্ত স্টাম্পিং করে অ্যারন ফিঞ্চকে ফিরিয়ে দেন রাহুল।
স্লেটারের মুখে শোনা গিয়েছে আর এক তরুণের প্রশংসাও। তিনি অস্ট্রেলিয়ার মার্নাস লাবুশেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাড়া ফেলে দেওয়া এই ব্যাটসম্যানকে নিয়ে স্লেটারের মন্তব্য, ‘‘সবাই জানে, মার্নাস কতটা প্রতিভাবান। টেস্ট ক্রিকেটে নিজেকে প্রমাণ করেছে ও। ওয়ান ডে ক্রিকেটেও নিশ্চয়ই সফল হবে।’’
লাবুশেন সম্পর্কে বলা হয়, তিনি যেন ঠিক স্টিভ স্মিথের ছায়া। স্লেটার যা নিয়ে বলে গেলেন, ‘‘সেটা ঠিক। এমনিতে ওরা দু’জন খুব ভাল বন্ধুও। একসঙ্গে সময়ও কাটায়। লাবুশেন তো আবার স্মিথকে ওর মেন্টরও মনে করে।’’
যাঁরা লাবুশেনের মধ্যে স্মিথের ছায়া দেখছেন, তাঁরা যে খুব একটা ভুল বলছেন, তা নয়। শুক্রবারের রাজকোটে দু’জনকে একসঙ্গে ব্যাট করতে দেখে বোঝা কঠিন হয়ে পড়ছিল, কে মেন্টর আর কে ছাত্র!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy