শিরোনামে: মেসি যাচ্ছেন কোন ক্লাবে? সেই চর্চা চলছেই। ফাইল চিত্র
ক্লাবে করোনা পরীক্ষা করাননি। নতুন ম্যানেজার রোনাল্ড কোমানের অনুশীলনেও যাননি। বুরোফ্যাক্সে ক্লাব ছাড়তে চাওয়ার ইচ্ছে জানানোর পরে লিয়োনেল মেসি বুঝিয়ে দিচ্ছেন, কোনও অবস্থাতেই আর তিনি বার্সেলোনায় থাকবেন না। বার্সা ছাড়লে কোন ক্লাব তাঁকে পাবে, তা নিয়েও জল্পনা অব্যাহত। স্পেনের প্রচারমাধ্যম জানাচ্ছে, আর্জেন্টিনীয় কিংবদন্তির সঙ্গে কথা বলতে ইতিমধ্যেই বার্সেলোনায় পৌঁছে গিয়েছেন ম্যাঞ্চেস্টার সিটির ‘ডিরেক্টর অব ফুটবল’ চিকি বেগিরিস্তাই। মেসি যে তাঁদের ক্লাবে যেতে পারেন, তা স্বীকার করেছেন ম্যান সিটির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী টোনি ফ্রেইক্সাও। এই খবরে, ইপিএলজয়ী লিভারপুল ম্যানেজার য়ুর্গেন ক্লপের প্রতিক্রিয়া, ‘‘মেসি এলে সিটিকে হারানো আরও কঠিন হয়ে যাবে।’’ লিভারপুলের কি বার্সা অধিনায়ককে নেওয়ার ব্যাপারে কোনও আগ্রহই নেই? ক্লপের জবাব, ‘‘অবশ্যই আগ্রহ আছে। কে মেসিকে দলে চায় না? কিন্তু ঘটনা হচ্ছে, অত খরচ করে ওকে নেওয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই।’’
মেসি ও বার্সেলোনা এখন আক্ষরিক অর্থে যুযুধান দুই প্রতিপক্ষ। প্রাক-মরসুম অনুশীলনে না আসার জন্য তাঁর ১.১ মিলিয়ন পাউন্ড (প্রায় ১১ কোটি টাকা) জরিমানা হতে পারে। নির্বাসন হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু মেসি যেন সে সব কিছুই পরোয়া করছেন না। তাই ইংল্যান্ড, ইটালি ও ফ্রান্সের সংবাদপত্রে তাঁর সম্ভাব্য নতুন ক্লাব নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই নানা খবর বেরোচ্ছে। ইটালিতে যেমন লেখা হয়েছে,৭০০ মিলিয়ন ইউরো (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬১৪৪ কোটি) ট্রান্সফার ফি দিয়েও তাঁকে নিতে পারে জুভন্টাস বা ইন্টার মিলানের মতো কোনও ক্লাব। তবে এই ক্লাবগুলি নাকি আশা করছে, সে ক্ষেত্রে মেসি নিজে কিছুটা কম পারিশ্রমিক নেবেন। কেউ কেউ এমনও লিখেছে, মেসির বাবা মিলানে একটা ফ্ল্যাটও কিনে ফেলেছেন! তাদের আরও বক্তব্য, মেসির চেয়ে বয়সে বড় ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। তাঁকে নিতে পেরেছে জুভেন্টাস, তা হলে কেন আর্জেন্টিনীয় মহাতারকাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা যাবে না!
স্পেনে অবশ্য এখন মেসির প্রাক-মসরুম অনুশীলন বয়কট নিয়েই কথা হচ্ছে বেশি। লা লিগার নতুন মরসুম শুরু হচ্ছে ১২ সেপ্টেম্বর। শোনা যাচ্ছে, মেসি তার আগেই দল ছাড়ার পথ পরিষ্কার করে নিতে চান। কিন্তু অনুশীলন শুরু করলে কী সমস্যাটা হত? মেসির আইনজীবীরা মনে করেন, তা হলে যে যুক্তিতে তাঁদের মক্কেল ক্লাব ছাড়তে চান, তারই উল্টো পথে হাঁটা হয়ে যেত। ২০২১ পর্যন্ত মেসির সঙ্গে বার্সার যে চুক্তি রয়েছে, সেখানে পরিষ্কার বলা আছে, ক্লাব ছাড়ার কথা জানাতে হবে চালু মরসুমে ১০ জুনের মধ্যে। বার্সা অধিনায়ক অবশ্য তার অনেক পরে সেই ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। মেসির যুক্তি, মারণ-ভাইরাস সংক্রমণের জন্য এ বার খেলা গড়িয়েছে অতিরিক্ত অনেক দিন। মরসুমও শেষ হয়েছে দেরিতে। তাই এ বার অন্তত ১০ জুনের মধ্যে দল ছাড়ার ইচ্ছের কথা জানানোর শর্তটা খাটে না।
বার্সা কিন্তু নিজেদের সিদ্ধান্তে এখনও অনড়। একমাত্র ৭০০ মিলিয়ন ইউরো পেলেই তারা মেসিকে ছাড়বে। অবশ্য ক্লাব প্রেসিডেন্ট জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ-ই এটা নিয়ে গোঁ ধরে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে। মেসি নন, তিনি নাকি বেশি আগ্রহী তাঁর বাবার সঙ্গে আলোচনায় বসতে। স্পেনের নামী এক পত্রিকায় দাবি করা হয়েছে, বার্সার বোর্ডের কেউ কেউ কিন্তু প্রেসিডেন্টের মতের বিরোধী। তাঁদের বক্তব্য, আর্জেন্টিনীয় কিংবদন্তিকে বিক্রি করার জন্য অযৌক্তিক এবং কাণ্ডজ্ঞানহীন মূল্য ধার্য করাটা ঠিক নয়। বিশেষ করে তিনি যখন নিজেই ক্লাব ছাড়তে চেয়েছেন। তাঁদের আরও বক্তব্য, এখন যা পরিস্থিতি তাতে মেসির চুক্তির মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ার পরে আর কোনও ভাবেই তাঁকে ক্লাবে আটকে রাখা যাবে না। সব মিলিয়ে অবস্থা এখনও জটিল! আপাতত কেউ নিজেদের অবস্থান থেকে সরবেন বলেও মনে হচ্ছে না। তবে ফুটবল মহলের ধারণা, ৭০০ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে মেসিকে নিতে পারে একমাত্র ম্যান সিটিই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy