মেহুলি ঘোষ।
অভিষেকেই একেবারে চারশো!
বুন্দেশলিগা শুটিংয়ে প্রথম নেমেই চমকে দিলেন মেহুলি ঘোষ। বাংলার এই শুটার ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে শনিবার জার্মানির ভিসেন শহরে ব্রনশোয়েগার দলের হয়ে নেমে চারশোয় চারশো পয়েন্ট স্কোর করে চমকে দেন সবাইকে। মেহুলির এই পারফরম্যান্সের পরে রীতিমতো সাড়া পড়ে গিয়েছে সেখানে। বুন্দেশলিগা শুটিংয়ের ‘ফেসবুক পেজ’-এ মেহুলির ছবি দিয়ে খবর করা হয়েছে।
ভেবেছিলেন চারশোয় চারশো পয়েন্ট স্কোর করতে পারবেন? ভিসেন থেকে ফোনে মেহুলি বলছিলেন, ‘‘অত কিছু ভাবিনি। চেয়েছিলাম সেরাটা দিতে। আমি জানতামও না একটা দারুণ ব্যাপার করে ফেলেছি। পরে শুনলাম, এর আগে নাকি মাত্র দু’জন শুটার এই কৃতিত্ব দেখিয়েছেন।’’ মেহুলির সঙ্গেই জার্মানিতে থাকা তাঁর প্রশিক্ষক জয়দীপ কর্মকার বলেন, ‘‘এর আগে আর কোনও ভারতীয় শুটারের বোধহয় এই কৃতিত্ব নেই।’’
জার্মানির এই শুটিং লিগ বিশ্বের অন্যতম কঠিন প্রতিযোগিতা। কারণ এখানকার পরিবেশ। যে পরিবেশ শুটারদের মানসিকতার পরীক্ষা নেয় সব সময়। ভিসেন শহরের ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এই প্রতিযোগিতা নিয়ে মেহুলি বলছিলেন, ‘‘এখানকার পরিবেশটাই যে কোনও শুটারের কাছে সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। যখন টার্গেটের সামনে দাঁড়িয়েছি, পিছন থেকে দর্শকেরা ক্রমাগত মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করে গিয়েছে। ওরা ড্রাম পর্যন্ত বাজাচ্ছিল সারাক্ষণ। এই অবস্থায় মনঃসংযোগ ধরে রাখা সব চেয়ে কঠিন কাজ।’’
একই কথা জয়দীপের মুখেও। ‘‘আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় কিন্তু শুটারদের এই চ্যালেঞ্জটার মুখে পড়তে হয় না। এখানে শুটারদের মানসিকতার চরম পরীক্ষা হয়।’’ রবিবারও দুরন্ত পারফর্ম করে দলকে জিতিয়েছেন মেহুলি। কিন্তু এর আগে লিগ পর্যায়ের অন্য ম্যাচগুলোয় ভাল কিছু করতে না পারার জন্য তাঁর দল ফাইনালে উঠতে পারল না।
কী শিখলেন জার্মানির লিগে অংশ নিয়ে? মেহুলির মন্তব্য, ‘‘কী ভাবে এ রকম পরিবেশের মধ্যেও মনঃসংযোগ ধরে রাখতে হয়, সেটাই শিখলাম। শুটিংয়ের ক্ষেত্রে মনঃসংযোগটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। এর মধ্যেও যে ঠিক মতো গুলি ছুড়তে পেরেছি, এটাই অনেক। আশা করব, এই অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে অনেক সাহায্য করবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy