সফল: জাতীয় শুটিংয়ে সোনা জয়ের হ্যাটট্রিক মেহুলির। ফাইল চিত্র
সোনা জয়ের হ্যাটট্রিকের দিনেও আফসোস থেকে গেল মেহুলি ঘোষের।
বাংলার এই শুটার জাতীয় জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে এই নিয়ে পরপর তিন বার সোনা জিতলেন। হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি সোমবার মেহুলির ঝুলিতে এল চারটে সোনা। কিন্তু তাও আফসোসের কারণ ঘটেছে।
তিরুঅনন্তপুরম থেকে ফোনে মেহুলির প্রশিক্ষক জয়দীপ কর্মকার বলছিলেন, ‘‘অবিশ্বাস্য স্কোর করেছে মেহুলি। এক চুলের জন্য বিশ্বরেকর্ড করা হল না ওর।’’ এ দিন যুব ফাইনালে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের ব্যক্তিগত ইভেন্টে ২৫৩ পয়েন্ট স্কোর করেন এই শুটার। উত্তেজিত জয়দীপ বলছিলেন, ‘‘মাত্র ০.৩ পয়েন্টের জন্য সিনিয়র বিশ্বরেকর্ড ফস্কে গেল মেহুলির। দুর্দান্ত স্কোর করেছে ও। যুব ইভেন্টে নামলেও সিনিয়র ইভেন্টে ভারতীয় রেকর্ড করেছে। আর ভারতীয় রেকর্ড বলি কেন, এশিয়াতেও এত ভাল স্কোর কারও নেই।’’ এ দিনের চারটে সোনা মেহুলি জিতেছেন জুনিয়র এবং যুব ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের ব্যক্তিগত এবং দলগত ইভেন্টে।
একটুর জন্য বিশ্বরেকর্ড ফস্কানো নিয়ে কিছুটা হলেও আফসোস আছে মেহুলির। তাঁর মন্তব্য, ‘‘কোনও রেকর্ডের কথা মাথায় রেখে প্রতিযোগিতায় নামি না। সেরাটা দেওয়ার জন্যই নামি। শুনেছি, অল্পের জন্য বিশ্বরেকর্ড হয়নি। হলে অবশ্যই ভাল লাগত।’’
জাতীয় পর্যায়ের শুটিং শেষ করে এই মাসের শেষ দিকেই জার্মানি চলে যাবেন মেহুলি। বুন্দেসলিগা শুটিংয়ে অংশ নিতে। যে শুটিংয়ের নিয়ম অবশ্য অলিম্পিক্স শুটিংয়ের চেয়ে আলাদা। জয়দীপের মন্তব্য, ‘‘অনেকটা টেস্ট ক্রিকেট আর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মতো। বুন্দেসলিগা শুটিং খুব দ্রুতগতির হয়। খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়। কিন্তু প্রচণ্ড উত্তেজনা থাকে। দর্শকদের চাপ সামলে খেলতে হয়।’’
বুন্দেসলিগা শুটিংয়ে নামলে মানসিক ভাবে মেহুলি আরও শক্তপোক্ত হবেন বলে মনে করছেন তাঁর প্রশিক্ষকেরা। আন্তর্জাতিক শুটিংয়ে সফল হতে গেলে এই কঠিন মানসিকতার খুবই প্রয়োজন বলে মনে করেন জয়দীপ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy