গোলের পর কোলাডো। -ফাইল চিত্র
ইস্টবেঙ্গল ৩ - এরিয়ান ০
(ডিকা ৪১', কোলাডো ৬১', ৮৮')
কলকাতা লিগে দ্বিতীয় জয় তুলে নিল লাল-হলুদ শিবির। ডার্বির আগে নিজেদের মাঠে তিন গোলে তারা হারিয়ে দিল এরিয়ান ফুটবল ক্লাবকে। এই জয় তাদের আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। প্রথমার্ধে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ডিকা। দু’টি গোল স্প্যানিশ মিডিও খাইমে সান্তোস কোলাডোর।
যত দিন যাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল যেন আরও সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে উঠছে। দলের আসল কারিগর সান্তোস কোলাডো। তাঁর পায় বল এলেই যেন জ্বলে উঠছে লাল-হলুদ মশাল। যা বেশি করে দেখা গেল দ্বিতীয়ার্ধে। মুহুর্মুহু আক্রমণ হতে থাকে এরিয়ান গোল লক্ষ্য করে। কিন্তু এরিয়ান গোলরক্ষক কাদিরের হাত বার বার বিপদ রক্ষা করে। না হলে আজ আরও বেশি গোলে জিততে পারত মেনেন্দেজের দল। তিনিই আজকের ম্যাচের সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হন। তাতেই বোঝা যায় কতটা চাপ ছিল ইস্টবেঙ্গলের।
আরও পড়ুন: অধরা জয়ের খোঁজে মরিয়া বেইতিয়ারা
পড়শি ক্লাব এরিয়ান বরাবরই ইস্টবেঙ্গলের বড় গাঁট। এদিন এরিয়ান কোচ রাজদীপ নন্দী আশায় বুক বেঁধে ছিলেন মারাদোনার শিষ্য কুটিকে নিয়ে। কিন্তু আজ তিনি পুরোপুরি ব্যর্থ। ৮০ মিনিটের মাথায় তাঁকে তুলেও নেন রঘু নন্দীর ছেলে। আজ যে ভাবে নিজেদের মেলে ধরল ইস্টবেঙ্গল, তাতে রবিবার যুবভারতীতে তাঁরা চিন্তায় রাখবে কিবু ভিকুনার দলকে।
আরও পড়ুন: মারাদোনার শিষ্যের সঙ্গে দ্বৈরথের অপেক্ষায় মার্কোস
ইস্টবেঙ্গলের দ্বিতীয় গোলের সময় কাসিম, অলিভিয়েরা এবং কোলাডোর বোঝাপড়া চোখে পড়ে। তাঁদের নিজেদের মধ্যে নিখুঁত পাস কলকাতা ময়দানে তুলে ধরল স্প্যানিশ তিকিতাকার নিদর্শন। ৮৮ মিনিটে গোল করে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেন লাল-হলুদের প্রাণ ভোমরা কোলাডো। দারুণ উপভোগ্য ফুটবল উপহার দিলেন আজ আলেয়ান্দ্র মেনেন্দেজের দল। তাঁরা অবশ্যই চাইবে রবিবার এই ফুটবলের ঝলক মোহনবাগানের বিরুদ্ধে তুলে ধরতে। এই জয়ের পরে ইস্টবেঙ্গল উঠে এল লিগ টেবিলে চার নম্বরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy