ইডেনে বাংলার নেট। বোলার প্রজ্ঞান ওঝাকে দেখে নিচ্ছেন মনোজ তিওয়ারি। -শঙ্কর নাগ দাস
নেটে ঢুকে ব্যাট করলেন। নেট থেকে বেরিয়ে নকিংও করলেন বেশ খানিকক্ষণ। তবু মনোজ তিওয়ারি নিশ্চিত নন, আগামী সপ্তাহে মুম্বইয়ে রঞ্জি কোয়ার্টার ফাইনালে আদৌ নামবেন কি না!
বুধবার ইডেনে বাংলার রঞ্জি কোয়ার্টার ফাইনাল প্রস্তুতির প্রথম দিন সম্ভাব্য দলের জনা বারো ক্রিকেটার। বাকিরা স্থানীয় লিগ ম্যাচে খেললেন। তাতে কোচ সাইরাজ বাহুতুলে রীতিমতো খুশি। বললেন, ‘‘এরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে দলের ছেলেরা যে ম্যাচ খেলছে, এটাই বড় কথা। ম্যাচ প্র্যাকটিসের চেয়ে বড় আর কী হতে পারে?’’ বিকেলে লিগ ম্যাচে অভিমন্যু ঈশ্বরনের সেঞ্চুরি ও কুড়ি জনের দলে থাকা পেসার অমিত কুইল্যার সাত উইকেট নেওয়ার খবর পেয়ে আরও খুশি কোচ বললেন, ‘‘এর চেয়ে ভাল আর কী হতে পারে বলুন? ছেলেরা সবাই ফর্মে থাকুক, এটাই তো চাই।’’ গত চার দিনে ঋদ্ধিমান সাহা স্থানীয় ক্রিকেটে বড় রান পাওয়ার পর এ বার এঁদেরও ভাল পারফরম্যান্সে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন তিনি।
কিন্তু মনোজ নিয়ে দুশ্চিন্তাটা রয়েই যাচ্ছে বাংলা শিবিরে। পায়ের পেশিতে চোটটা যে এখনও পুরোপুরি সেরে উঠেছে, তা এখনও বলা যাচ্ছে না। বুধবার নেটে তাঁর ব্যাটিং দেখে অবশ্য মনে হল না তাঁর চোট রয়েছে। সাবলীল ভাবেই ব্যাট করলেন। চোট কতটা সেরেছে, এক সপ্তাহের মধ্যে তা পুরোপুরি ঠিক হয়ে যাবে কি না, তা এই এমআরআই রিপোর্টের উপর অনেকটা নির্ভর করছে। বৃহস্পতিবার সকালেই তিনি মুম্বই উড়ে যাচ্ছেন বোর্ডের ডাক্তার ডা. ডিন শ-কে দেখাতে। সঙ্গে থাকবে এমআরআই রিপোর্ট। তার পরেই অনেকটা বোঝা যাবে, তিনি আদৌ মধ্য প্রদেশের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে পারবেন কি না। এ দিন প্র্যাকটিস শেষে বললেন, ‘‘ম্যাচের দু’তিন দিন আগে আশা করি সিদ্ধান্ত নিতে পারব খেলব কি না। এমনি ব্যাটিং করতে বা হালকা দৌড়তে অসুবিধা হচ্ছে না। কিন্তু জোরে দৌড়লে বা ইনটেন্সড মুভমেন্ট হলে কী হবে জানি না।’’ তবে সাপোর্ট স্টাফরা বলছেন, তাঁর খেলার সম্ভাবনা ভালই। কোচ সাইরাজ বাহুতুলেও আশায় রয়েছেন, মনোজকে পাবেন।
তাঁর নিজের শহরে দল নিয়ে যাচ্ছেন সাইরাজ। ব্রেবোর্ন স্টেডিয়ামের উইকেট ছোটবেলা থেকে দেখে আসছেন। বললেন, ‘‘ওখানকার উইকেট সাধারণত ব্যাটিং সহায়ক হয়। তবে বছরের এই সময়ে পেসারদেরও সাহায্য করে। এই ধারণা নিয়েই প্রস্তুতি নিচ্ছি। বাকিটা ওখানে গিয়ে হবে।’’ বিপক্ষ মধ্যপ্রদেশকে নিয়ে হোমওয়ার্কও শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানালেন মনোজ। বললেন, ‘‘হোমওয়ার্ক ঠিকঠাকই হচ্ছে। সেই মতো আমাদের প্ল্যানও হচ্ছে। সেই প্ল্যান অনুযায়ী মাঠে খেলতে হবে আমাদের। তার পর দেখা যাক কী হয়।’’
অমিতাভর ডাবল সেঞ্চুরি: স্থানীয় ক্রিকেটে ফর্মে আছেন ঋদ্ধিমান সাহা। এ বার বাংলার রঞ্জি দলের আর এক ব্যাটসম্যানের ব্যাটেও রান দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। ওপেনার অভিমন্যু ঈশ্বরণ এ দিন ১২৫ রানের ইনিংস খেললেন। এই সেঞ্চুরির উপর ভর করে তাঁর ক্লাব ওয়াইএমসিএ লিগ ম্যাচের প্রথম দিন ৩৩৭-৯ তুলল। বাংলার সম্ভাব্য দলে থাকা পেস বোলার ঐক্য সম্মিলনীর অমিত কুইল্যা এ দিন সাত উইকেট পেলেন ১১৮ রানে। তাঁর দাপট সত্ত্বেও শিবম শর্মার ১৬৭-র সহায়তায় ৩৪১ তুলল বেলগাছিয়া ইউনাইটেড। অন্য এক ম্যাচে রাজস্থান ক্লাবের বিরুদ্ধে এ দিন টালিগঞ্জ অগ্রগামীর অমিতাভ চক্রবর্তী ডাবল সেঞ্চুরি (২৩১) করলেন। টালিগঞ্জ তুলল ৫২২। মোহনবাগান শ্যামবাজারের বিরুদ্ধে সব উইকেট হারিয়ে তুলল ২৬৪।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy