হ্যাটট্রিক: তৃতীয় গোলের পরে উৎসব আগুয়েরোর। রবিবার। ছবি: রয়টার্স।
ম্যান সিটি ৬ • হাডার্সফিল্ড ১
পেপ গুয়ার্দিওলার ম্যাঞ্চেস্টার সিটি নতুন মরসুমেও অপ্রতিরোধ্য মেজাজে এগোতে শুরু করল। এতিহাদে রবিবার তারা ৬-১ গোলে হারাল হাডার্সফিল্ড টাউনকে। অসাধারণ হ্যাটট্রিক করলেন সের্খিয়ো আগুয়েরো। উল্লেখ্য এ বার ইপিএলের প্রথম ম্যাচে আর্সেনালকে ২-০ হারিয়ে যাত্রা শুরু করেছে ম্যান সিটি। তাঁদের অন্যতম সেরা তারকা কেভিন দি ব্রুইন চোট পেয়ে তিন মাসের জন্য ছিটকে গিয়েছেন আগেই। কিন্তু দলের অন্যরা রবিবার অন্তত তাঁর অভাব বুঝতে দেননি। লিভারপুল ম্যানেজার য়ুর্গেন ক্লপ মন্তব্য করেছেন, ‘‘যাঁরা ভাবছেন ব্রুইন না থাকায় সিটি বিশেষ কিছু করতে পারবে না তাঁরা আসলে নির্বোধ।’’ রবিবার অন্তত মনে হয়েছে ক্লপ ভুল কিছু বলেননি।
গত মরসুমে এই হাডার্সফিল্ড কিন্তু সিটিকে দু’টি ম্যাচে বেশ কঠিন লড়াইয়ের সামনে ফেলে দিয়েছিল। এ বার প্রথম ম্যাচে হল ঠিক উল্টোটা। সিটির বিরুদ্ধে এ দিন সারাক্ষণ তাদের অসহায় দেখিয়েছে। আরও মজার ব্যাপার হচ্ছে পেপ তাঁদের বিরুদ্ধে খেলাননি কাইল ওয়াকার, লেরয় সানে, রিয়াদ মাহারেজ ও রাহিম স্টার্লিংকে। সিটির খেলায় তাই চির পরিচিত গতির সেই ঔজ্বল্য দেখা যায়নি। উল্টে সিটির ফুটবলাররা বেশির বাগ সময় নিজেদের মধ্যে বল দেওয়া-নেওয়া করে খেলাটাকে মন্থরই করে দিচ্ছিল। যা নিয়ে রিয়ো ফার্দিনান টুইট করেছেন, ‘‘এটাই এক জন বড় কোচের গুণ। পরিস্থিতি অনুযায়ী দলের খেলার ধরনটাই বদলে দেওয়া।’’
এ দিন ম্যান সিটির হাফ ডজনে আগুয়েরোর হ্যাটট্রিক ছাড়া গোল করলেন গ্যাব্রিয়েল জেসুস, দাভিদ সিলভা, টেরেন্স কনগোলো। আগুয়েরোর ক্লাবের হয়ে নিজের তেরো নম্বর হ্যাটট্রিকের প্রথম গোলটি এক কথায় অসাধারণ। দারুণ গোল করেছেন দাভিদ সিলভাও। তবে সিটির প্রথম গোলটি হতে ৩৫ মিনিট কেন লাগল, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করলেন ফুটবল বিশ্লেষকরা। কারণ অপেক্ষাকৃত মন্থর ফুটবল খেললেও সিংহভাগ বল পজেশন আগুয়েরোদেরই ছিল। একদিন আগেই সিটিকে বিদ্রুপ করে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ম্যানেজার জোসে মোরিনহো মন্তব্য করেন, ‘‘আপনার কাছে টাকা থাকলে সেরা ফুটবলারদের কিনতেই পারেন। কিন্তু আভিজাত্য বস্তুটি টাকা দিয়ে কেনা যায় না।’’ রবিবার এতিহাদে সিটির খেলা ছিল আক্ষরিক শিল্পসম্মত এবং তা যেন মোরিনহোর বিদ্রুপের জবাবও। এডারসনের লম্বা পাস ধরে আগুয়েরোর দৃষ্টিনন্দন লবে গোল, পাঁচ মিনিট পরেই জেসুসের ঠিকানা লেখা শট— এ সবই যেন মোরিনহোকে ‘উপহার’ সিটির ফুটবলারদের। এমনিতে প্রথমার্ধেই তিন গোলে এগিয়ে যায় গুয়ার্দিওলার ছেলেরা। আর দ্বিতীয়ার্ধে যেন সিটি নিজেদের মধ্যেই খেলতে ব্যস্ত ছিল। অনেকটা চোর-পুলিশ খেলার মতো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy