Advertisement
২০ নভেম্বর ২০২৪

ম্যান সিটি চ্যাম্পিয়ন এক পয়েন্টে, ছ’নম্বরে ম্যান ইউ

অ্যাওয়ে ম্যাচে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা সামলে ম্যান সিটির ফুটবলারেরা শুধু ঘুরে দাঁড়াননি, ব্রাইটনকে চূর্ণ করে টানা দ্বিতীয়বার ইপিএল জিতলেন।

স্বপ্নপূরণ: রবিবার ব্রাইটনকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় বার ইপিএল ম্যাঞ্চেস্টার সিটির। ট্রফি নিয়ে উৎসব ফের্নান্দিনহো, সানে, ফডেনদের। রয়টার্স

স্বপ্নপূরণ: রবিবার ব্রাইটনকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় বার ইপিএল ম্যাঞ্চেস্টার সিটির। ট্রফি নিয়ে উৎসব ফের্নান্দিনহো, সানে, ফডেনদের। রয়টার্স

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৯ ০৪:১৩
Share: Save:

ব্রাইটন ১ • ম্যান সিটি ৪
লিভারপুল ২ • উলভস ০

ম্যাঞ্চেস্টার সিটিতে উৎসবের রাতে অন্ধকার লিভারপুলে।

রবিবার অ্যানফিল্ডে উলভসের বিরুদ্ধে ম্যাচের ১৭ মিনিটে সাদিয়ো মানে গোল করে লিভারপুলকে এগিয়ে দেওয়া সত্ত্বেও আশ্চর্যরকম ভাবে উচ্ছ্বাসহীন ছিলেন সমর্থকেরা। কিন্তু ২৭ মিনিটে ম্যান সিটির বিরুদ্ধে ব্রাইটনের গ্লেন মারে গোল করতেই ছবিটা বদলে যায়। যদিও লিভারপুল সমর্থকদের সেই উচ্ছ্বাস এক মিনিটের মধ্যেই থামিয়ে দেন সের্খিয়ো আগুয়েরো। ৩৮ মিনিটে ফের ধাক্কা। এ বার এমরিক ল্যাপঁথ-র গোলে এগিয়ে যায় ম্যান সিটি। যার অর্থ, ২৯ বছর পরে ইপিএল জেতার যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, তা ধ্বংস হতে চলেছে। গ্যারি লিনেকার টুইট করেন, ‘‘ল্যাপঁথ ঝড়ে খেতাবের আরও কাছে ম্যান সিটি।’’

ব্রাইটনের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগের দিন পেপ গুয়ার্দিওলা সাংবাদিক বৈঠকে বলেছিলেন, ‘‘ইপিএল জিততে না পারলে ধ্বংস হয়ে যাবে ম্যান সিটি।’’ ম্যানেজারের মতো আগুয়েরো-দেরও সম্ভবত একই আশঙ্কা ছিল। অ্যাওয়ে ম্যাচে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা সামলে ম্যান সিটির ফুটবলারেরা শুধু ঘুরে দাঁড়াননি, ব্রাইটনকে চূর্ণ করে টানা দ্বিতীয়বার ইপিএল জিতলেন। কিন্তু এ বারের লড়াই আরও কঠিন ছিল। একেবারে সাপ-লুডোর খেলা। কখনও শীর্ষ স্থান দখল করছে লিভারপুল। কখনও আবার ম্যান সিটি। শেষ ম্যাচ পর্যন্ত রুদ্ধশ্বাস লড়াই। গত মরসুমে ম্যান সিটি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ১০০ পয়েন্ট নিয়ে। এ বার ৯৮ পয়েন্টে শেষ করল তারা। সেই সঙ্গে স্পর্শ করল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের নজিরও। দশ বছর আগে স্যর আলেক্স ফার্গুসনের কোচিংয়ে টানা তিন বার ইপিএল জিতেছিল ম্যান ইউ। তার পরে কোনও ক্লাবই পরপর দু’মরসুমও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি।

তবে ম্যান সিটি ২-১ এগিয়ে যাওয়ার পরেও গুয়ার্দিওলার মধ্যে উচ্ছ্বাসের বহিঃপ্রকাশ সে ভাবে দেখা যায়নি। তাঁর হয়তো আশঙ্কা ছিল, ঘরের মাঠে ফের গোল করে দিতে পারে ব্রাইটন। কিন্তু ৬৮ মিনিটে ম্যান সিটির হয়ে রিয়াদ মাহেজ় তৃতীয় গোল করার সঙ্গে সঙ্গেই দু’হাত মুঠো করে লাফিয়ে ওঠেন গুয়ার্দিওলা। ইপিএলের ইতিহাসে তৃতীয় ম্যানেজার হিসেবে টানা দু’বার চ্যাম্পিয়ন করার কীর্তি গড়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। ৭২ মিনিটে ইলখাই গুন্দোয়ান চতুর্থ গোল করার পরে আরও এক বার উল্লাস লাফিয়ে উঠেলেন গুয়ার্দিওলা।

ইংল্যান্ড ফুটবলের আর এক কিংবদন্তি অ্যালেন শিয়েরার ম্যান সিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেছেন, ‘‘ম্যান সিটি দুর্দান্ত। টানা দু’বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য অভিনন্দন। খেতাব ধরে রাখার অসাধারণ প্রয়াসকে আমার কুর্নিশ।’’ শিয়েরার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন লিভারপুলেরও। তিনি লিখেছেন, ‘‘অসাধারণ খেলেছে লিভারপুলও। সব এখনও শেষ হয়ে যায়নি। সামনেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল।’’ ইংল্যান্ডের আর এক প্রাক্তন তারকা ইয়ান রাইট বলেছেন, ‘‘ইপিএলে আমার দেখা অন্যতম সেরা দল এই ম্যান সিটি।’’

৩৮ ম্যাচে ৯৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করল লিভারপুল। ঘরের মাঠে উলভসের হয়ে দ্বিতীয় গোলও করেন মানে। কিন্তু তত ক্ষণে খেতাবের ভাগ্য চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। মাত্র এক পয়েন্টর জন্য লিগ হাতছাড়া করার যন্ত্রণা নিয়েই মাঠ ছাড়লেন সালাহরা।

ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের হার: ইপিএলের শেষ ম্যাচেও ছবিটা বদলাল না ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড শিবিরে। রবিবার ঘরের মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে অবনমন নিশ্চিত করে ফেলা কার্ডিফ সিটির বিরুদ্ধে ০-২ হারলেন পল গোগবারা। লিগ টেবলে নেমে গেল ছয় নম্বরে। ম্যাচের পরে ফরাসি তারকাকে সমর্থকদের তোপের মুখেও পড়তে হল।

চেলসির ড্র: লেস্টার সিটির বিরুদ্ধে জিততে না পারলেও হতাশ নন চেলসি ম্যানেজার মাউরিসিয়ো সাররি। রবিবার ০-০ ড্র করলেন এডেন অ্যাজ়ারেরা। তৃতীয় স্থানে শেষ করল চেলসি।

জয়ে ফিরল আর্সেনাল: ইপিএলে চার ম্যাচ পরে জয়ের সরণিতে প্রত্যাবর্তন আর্সেনালের। রবিবার বার্নলিকে ৩-১ উড়িয়ে দেয় তারা। এই ম্যাচেও জোড়া গোল করে নায়ক সেই পিয়ের এমরিক আবুমেয়ং। একটি গোল করেন এডি নিকেতিয়া। লিগ টেবলে পঞ্চম স্থানে থাকল আর্সেনাল।

চতুর্থ স্থানে টটেনহ্যাম: এভার্টনের বিরুদ্ধে এগিয়ে গিয়েও জিততে পারল না টটেনহ্যাম হটস্পার। রবিবার ঘরের মাঠে তিন মিনিটে গোল করে টটেনহ্যামকে এগিয়ে দেন এরিক ডায়ার। ৬৯ মিনিটে থিয়ো ওয়ালকট সমতা ফেরান। ৭২ মিনিটে এভার্টনকে এগিয়ে দেন জেঙ্ক তোসুন। ৭৫ মিনিটে গোল করে টটেনহ্যামের হার বাঁচান ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন। ড্রয়ের ফলে চার নম্বরে থাকল টটেনহ্যাম।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy