উল্লাস: হুঙ্কার আগুয়েরোর। তাঁর ক্লাব কিন্তু জেতেনি। এএফপি
ম্যান সিটি ২ ক্রিস্টাল প্যালেস ২
আর্সেনাল ১ শেফিল্ড ১
ওয়াটফোর্ড ০ টটেনহ্যাম ০
ইপিএলে শনিবারটা আক্ষরিক অর্থেই ড্রয়ের দিন। তিন বড় ক্লাব পয়েন্ট নষ্ট করল। ম্যাঞ্চেস্টার সিটি, আর্সেনাল ও টটেনহ্যাম হটস্পার। এখন অন্য দলগুলি যত পয়েন্ট নষ্ট করবে, তত তাদের সঙ্গে লিভারপুলের ব্যবধান বাড়বে। মহম্মদ সালাহ, সাদিয়ো মানেদের ক্লাবের থেকে ম্যান সিটি এখন ১৩ পয়েন্ট পিছনে। আর্সেনালের সঙ্গে লিভারপুলের ব্যবধান ৩২ পয়েন্টের। সালাহরা টটেনহ্যামের থেকে এগিয়ে ৩০ পয়েন্ট। এবং গল্প এখানেই শেষ হচ্ছে না। শনিবার বাইরের মাঠে চেলসি আবার নিউক্যাসলের কাছে ০-১ হেরে গেল। তাও সংযুক্ত সময়ের চার মিনিটে করা আইজ্যাক হেডেনের গোলে। যা দেখে কিংবদন্তি প্রাক্তন ইংরেজ ফুটবলার গ্যারি লিনেকার টুইট করলেন, ‘‘লিগ যে ভাবে এগোচ্ছে, তাতে আমার ধারণা লিভারপুল এ বার রেকর্ড দ্রুততায় খেতাবটা পেয়ে যাচ্ছে।’’
খেতাব জয়ের আশা শনিবার আরও কমে গেল ম্যান সিটির। সেটা হল এতিহাদ স্টেডিয়ামে ফার্নান্দিনহো আত্মঘাতী গোল করে বসায়। তাও খেলার ৯০ মিনিটে। অথচ তখনও সের্খিয়ো আগুয়েরোর জোড়া গোলে ২-১ এগিয়ে ম্যান সিটি! এ দিকে পেপ গুয়ার্দিওলার সহকারী মিকেল আর্তেতাকে এনেও ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে পারছে না আর্সেনাল। শনিবার তারা শেফিল্ড ইউনাইটেডের মতো দলকেও হারাতে পারল না। ৪৫ মিনিটে গ্যাব্রিয়েল মার্তিনিলির গোলে এগিয়ে যায় গানার্স। কিন্তু ৮৩ মিনিটে শেফিল্ডের জন ফ্লেক ১-১ করে দেন।
এ দিকে, ২৩ ম্যাচে টটেনহ্যামের পয়েন্ট ৩১। লেস্টার সিটি, শেফিল্ড ইউনাইটেড, উলভসের মতো ক্লাবও তাদের আগে। তার উপর শনিবার স্পার্স গোলশূন্য ড্র করল ওয়াটফোর্ডের মতো ক্লাবের বিরুদ্ধে। যারা এ বারই মূল লিগে খেলছে। এবং লিগ টেবলে রয়েছে ১৭ নম্বরে।
জোসে মোরিনহোকে ম্যানেজার করে আনলেও টটেনহ্যামের খেলায় বিরাট কিছু পরিবর্তন হয়নি। তার উপর তাদের সেরা স্ট্রাইকার হ্যারি কেন চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছেন। হতাশ পর্তুগিজ ম্যানেজার বলে ফেললেন, ‘‘নতুন ভাবে ভাবতে হবে। জানি না প্রথম চারে লিগ শেষ করতে
পারব কি না।’’ ফুটবল মহল বলছে, কপাল জোরে টটেনহ্যাম ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট তুলল। ৭০ মিনিটে ওয়াটফোর্ডের ট্রয় ডিনে পেনাল্টি নষ্ট না করলে হয়তো হেরেই যেত টটেনহ্যাম। পেনাল্টি বাঁচানোর সঙ্গে সঙ্গে অসাধারণ গোলরক্ষা করেন স্পার্সের পাবলো গাজ়ানিঙ্গা। পর্তুগিজ ম্যানেজার তাঁর প্রশংসা করলেও যোগ করলেন, ‘‘একটা দল পেনাল্টি পাবে, কেউ তা বাঁচিয়ে দেবে, সেটা তো হয়েই থাকে। তাই বিপক্ষের পেনাল্টি পাওয়াকে বড় করে দেখানোর কোনও দরকার নেই।’’ টটেনহ্যাম অবশ্য খেলার সংযুক্ত সময়ে আর একটু হলে গোল করে দিচ্ছিল। সার্জে আউরেরার একটা ক্রশে ঝাঁপিয়ে পড়ে হেড করেন এরিক লামেলা। বল নিশ্চিত ভাবেই গোলে ঢুকছিল। কিন্তু অসাধারণ দক্ষতায় কার্যত গোল-লাইন থেকে সে বল বার করে দেন ওয়াটফোর্ডের হয়ে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা ইগনাসিয়ো পুসেত্তো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy