নজরে: পাকিস্তানে নিরাপত্তা নিয়ে নিশ্চয়তা চান মহেশ। ফাইল চিত্র
দুই পড়শি দেশের মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা রয়েছে। তাই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ডেভিস কাপ টাই ইসলামাবাদ থেকে সরিয়ে নিতে মরিয়া ভারতীয় টেনিস সংস্থা (এআইটিএ)। কিন্তু আন্তর্জাতিক টেনিস সংস্থাকে (আইটিএফ) সে ব্যাপারে রাজি করানোই এখন সব চেয়ে বড় কাজ এআইটিএ-র। সোমবার এই নিয়ে আইটিএফ-এর কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা ভারতীয় টেনিস সংস্থার। যেখানে অন্যতম প্রধান ভূমিকা নিতে পারেন উপস্থিত থাকা ভারতীয় ডেভিস কাপ দলের নন-প্লেয়িং ক্যাপ্টেন মহেশ ভূপতি।
জম্মু-কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করার পরে ভারতের সঙ্গে যখন পাকিস্তান কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে শুরু করে তখন থেকেই এই টাই নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছিল। ১৪-১৫ সেপ্টেম্বর হওয়ার কথা থাকা এই টাইয়ের জন্য ভারত পূর্ণ শক্তির দল ঘোষণা করেছে। দু’দেশের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়লেও ডেভিস কাপ টাই নিয়ে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক কোনও কথা বলেনি। ক্রীড়ামন্ত্রক পরিষ্কার করে দিয়েছিল, যেহেতু এটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নয়, আন্তর্জাতিক টেনিস সংস্থা আয়োজিত, তাই ক্রীড়ামন্ত্রকের কিছু বলার নেই। ভারতীয় দল পাকিস্তানে যাবে কি না সেটা এআইটিএ-র ব্যাপার।
আন্তর্জাতিক টেনিস সংস্থা আবার মনে করে, টাই সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তাই এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় টেনিস সংস্থার পাকিস্তান থেকে নিরপেক্ষ কেন্দ্রে টাই সরিয়ে নিয়ে যেতে রাজি করানোর কাজটা কঠিন। ‘‘আইটিএফ নিরাপত্তা এবং সুরক্ষাকে সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়। আমরা আয়োজক দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছি। সঙ্গে স্বাধীন ভাবে কাজ করা নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গেও যোগাযোগ রয়েছে আমাদের। আয়োজক দেশ এই টাইয়ের নিরাপত্তা নিয়ে যা ব্যবস্থা নিয়েছে তাতে আইটিএফ সন্তুষ্ট,’’ সংবাদ সংস্থাকে বিবৃতিতে জানিয়েছে আইটিএফ।
যদিও এআইটিএ-র সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হয়েছে আইটিএফ। সঙ্গে নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গেও আলোচনা করার নিশ্চয়তা দিয়েছে তারা। যে আলোচনায় ভূপতিও থাকবেন।
ডেভিস কাপের নিয়ম অনুযায়ী কয়েকটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্র (যার মধ্যে যুদ্ধ, রাজনৈতিক অস্থিরতা, সন্ত্রাসবাদ বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ রয়েছে) ছাড়া একটি কেন্দ্র থেকে টাই সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় না। কিন্তু এই টাইয়ের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। ভারতীয় খেলোয়াড়েরাও পাকিস্তানে টাই খেলতে যাওয়া নিয়ে চাপে আছেন। পাশাপাশি এই টাই থেকে যদি ভারত সরে দাঁড়ায় তা হলে সরাসরি প্রভাব পড়বে এআইটিএ-র উপর।
সেক্ষেত্রে ভারতীয় দল এশিয়া-ওসেনিয়া দ্বিতীয় গ্রুপে নেমে যাবে। যার অর্থ ২০২২ ছাড়া ভারতীয় দল বিশ্ব গ্রুপ কোয়ালিফায়ারে খেলতে পারবে না। দু’বছরের জন্য পিছিয়ে যাবে ভারত। কারণ সেক্ষেত্রে ভারতীয় দলকে প্রথমে ২০২০ সালে দ্বিতীয় গ্রুপ থেকে প্রথম গ্রুপে উঠে আসতে হবে। তার পরে ২০২১ সালে প্রথম গ্রুপে থাকতে হবে ২০২২ সালে কোয়ালিফায়ারে খেলতে গেলে। কিন্তু এই টাইয়ে নেমে পাকিস্তানকে হারাতে পারলে ২০২০ কোয়ালিফায়ার খেলতে পারবে ভারতীয় দল। মহেশ ভূপতি বলেছেন, ‘‘আমরা টাই থেকে সরে দাঁড়াতে চাই না। আমরা আইটিএফের সঙ্গে কথা বলে এমন একটা সমাধানসূত্র চাইছি, যাতে সব খেলোয়াড়দের সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy