Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Lionel Messi

দেশের আক্রান্তদের পাশে মেসি, চোট পরীক্ষা হল ক্লাবে

আর্জেন্টিনায় নতুন করে আবার করোনা সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে গিয়েছে। গত সপ্তাহে তাঁর অ্যাকাডেমির মাধ্যমে পাঠানো হয় অর্থ।

উদ্বেগ: নাপোলি ম্যাচে মেসির এই চোট চিন্তায় রাখছে বার্সাকে। ফাইল চিত্র

উদ্বেগ: নাপোলি ম্যাচে মেসির এই চোট চিন্তায় রাখছে বার্সাকে। ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২০ ০৬:৪৬
Share: Save:

নাপোলির বিরুদ্ধে অবিশ্বাস্য গোল করে বার্সেলোনাকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে তুলে লিয়োনেল মেসি ফের ব্যস্ত হয়ে পড়লেন করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সহায়তা করার কাজে। সোমবারই তাঁর ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে রোসারিয়োর হাসপাতালে ৫০টি ভেন্টিলেটর পাঠিয়েছেন আর্জেন্টিনীয় তারকা।

আর্জেন্টিনায় নতুন করে আবার করোনা সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে গিয়েছে। গত সপ্তাহে তাঁর অ্যাকাডেমির মাধ্যমে পাঠানো হয় অর্থ। এর আগে মে মাসেও ফাউন্ডেশনের তরফে অর্থসাহায্য করা হয়েছিল। সেই সময় রোসারিয়ো হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান, ভেন্টিলেটরের সমস্যা বেড়ে গিয়েছে। বিশেষ করে, করোনা আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার জন্য এই ভেন্টিলেটর খুবই প্রয়োজনীয়। মেসি নিজে উদ্যোগ নিয়ে তা পাঠিয়ে দিয়েছেন।

ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এক বার্তায় মেসি বলেছেন, “করোনায় বাকি বিশ্বের মতো আমার দেশও বিপর্যস্ত। সাধারণ মানুষরা এই ভাইরাসের হাত থেকে নিজেদের বাঁচাতে মরিয়া হয়ে পড়েছেন। এই অবস্থায় আমি মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারি না। যে কোনও ধরনের সাহায্যের প্রয়োজন হলে আমাকে জানাতে অস্বস্তিবোধ করবেন না।” শিশুদের যাতে চিকিৎসায় কোনও ফাঁক না থাকে, তার জন্য মেসি আরও বেশি তৎপর। তিনি বলেছেন, “শিশুদের এই ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচাতেই হবে। তার জন্য যে ধরনের সহায়তার দরকার, তা করতে আমি প্রস্তুত।” রোসারিয়ো হাসপাতালের চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের তরফ থেকেও ধন্যবাদ জানানো হয়েছে মেসিকে।

এ দিকে, আগামী শুক্রবার লিসবনে বায়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে মেসি খেলতে পারবেন কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে চাপা অস্বস্তি। সোমবার ফুটবলারদের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সকালেই মেসি একা চলে আসেন খুয়ান গাম্পার ট্রেনিং সেন্টারে। সেখানে তিনি প্রায় দেড় ঘণ্টা ছিলেন। ক্লাবের মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসকদের সঙ্গে প্রায় ঘণ্টাখানেক কথাবার্তা বলেন তিনি। তার পরে চলে যান ক্লাবের জিমে। সেখানেও ছিলেন প্রায় তিরিশ মিনিট। সেখানেই তাঁর গোড়ালির চোট কেমন রয়েছে, তা পরীক্ষা করে দেখেন চিকিৎসক এবং দলের ফিজিয়ো। মেসির সঙ্গে কথা বলার জন্য সংবাদমাধ্যমের বেশ কিছু প্রতিনিধি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তবে করানোর কারণে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করে তাঁদের ক্লাব চত্বর থেকে ১০০ গজ দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে ক্লাব ছাড়ার সময় বার্সেলোনা তারকা ছিলেন হাসিখুশি। সাংবাদিকদের দিকে তাকিয়ে হাত নাড়েন তিনি। তার চেয়েও বড় ব্যাপার, মেসির হাঁটাচলায় তেমন কোনও অস্বাভাবিকতা চোখে পড়েনি।

আজ, মঙ্গলবার এবং বুধবার সকালে দলের পুরোদস্তুর অনুশীলন হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে মেসিরা উঠবেন লিসবনগামী বিমানে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy