সিদ্ধান্ত: জল্পনার অবসান। পুরনো জার্সিতে দেখা যাবে মেসিকে। ফাইল চিত্র
যাবতীয় জল্পনার অবসান। বার্সেলোনাতে আরও এক মরসুম থাকার সিদ্ধান্ত নিলেন লিয়োনেল মেসি। বলেছেন, ‘‘আমার প্রিয় ক্লাবের বিরুদ্ধে কখনওই আদালতে যাব না।’’
অবশেষে বার্সেলোনা বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলে সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি বলেছেন, ‘‘আমি যখন বার্সা ছাড়ার ইচ্ছার কথা জানাই, আমার পুরো পরিবার কাঁদতে শুরু করে। আমার সন্তানরা বার্সেলোনা ছাড়তে চায় না। তা হলে স্কুলও বদলাতে হবে। যা ওদের একেবারেই পছন্দ নয়।’’ তিনি যোগ করেছেন, ‘‘মাতেয়ো খুবই ছোট। ওর এখনও বোঝার ক্ষমতা হয়নি। তবে থিয়াগো একটু বড় হয়েছে। টিভিতে সব দেখে বার বার প্রশ্ন করেছে। কাঁদতে কাঁদতে বলেছে, বার্সেলোনা ছেড়ে অন্য কোথাও যাব না। তা ছাড়া আমি কখনও চাই না, জোর করে ওদের স্কুল থেকে ছাড়িয়ে আনতে। তাই আমার পক্ষে বার্সা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়াটা খুব কঠিন হয়ে পড়েছিল।’’
বার্সেলোনায় থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আরও একটা কারণ যে করোনা অতিমারির জেরে বিশ্ব জুড়ে তৈরি হওয়া আর্থিক মন্দা, তাও স্বীকার করেছেন মেসি। বলেছেন, ‘‘ভেবেছিলাম, বার্সা আমাকে ফ্রি প্লেয়ার হিসেবে ছেড়ে দেবে। কারণ, প্রেসিডেন্ট সব সময়ই বলতেন, মরসুম শেষ হওয়ার পরে আমার সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আছে, আমি বার্সায় থাকব কি না। এখন বলা হচ্ছে, আমি ১০ জুনের মধ্যে ক্লাব ছাড়ার কথা বলিনি। তার অন্যতম কারণ হল, তখন আমরা লা লিগা খেতাবের জন্য লড়াই করছিলাম।’’ তিনি যোগ করেছেন, ‘‘বার্সা ছাড়ার জন্য ৭০০ মিলিয়ন ইউরো দিতেই হত। কিন্তু অতিমারির জেরে যা পরিস্থিতি, তাতে এই বিপুল অঙ্কের অর্থ দেওয়া অসম্ভব। তাই বার্সাতেই থাকার সিদ্ধান্ত নিলাম।’’
আরও পড়ুন: মু্ম্বই ইন্ডিয়ান্সের নেটে ঝড় তুললেন হিটম্যান, দেখুন ভিডিয়ো
আদালতে দ্বারস্থ কেন হননি তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মেসি। বলেছেন, ‘‘আইনি লড়াই আমি করতেই পারতাম। কিন্তু বার্সার বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এই ক্লাব আমাকে সব কিছু দিয়েছে। বার্সাকে আমি ভালবাসি। আমার জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে বার্সা।’’ তবে যোগ করেছেন, ‘‘বার্সা যেমন আমাকে সব কিছু দিয়েছে, তেমন আমিও নিজেকে উজাড় করে দিয়েছি এই ক্লাবের জন্য।’’
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে ২-৮ হারের পরেই বার্সার সঙ্গে মেসির সংঘাত তীব্র আকার নেয়। গত সপ্তাহে বার্তা পাঠিয়ে বার্সার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা জানিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু ক্লাব কর্তারা তাঁকে ‘ফ্রি প্লেয়ার’ হিসেবে ছাড়তে রাজি নন। জানিয়ে দেন, চুক্তির ‘বাইআউট ক্লজ’ অনুযায়ী ৭০০ মিলিয়ন ইউরো (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬১৪৪ কোটি) দিতেই হবে মেসিকে। ক্ষোভে প্রাক-মরসুম প্রস্তুতি শুরু হওয়ার আগে করোনা পরীক্ষা করাতে যাননি তিনি। যোগ দেননি রোনাল্ড কোমানের প্রথম দিনের অনুশীলনেও। ক্লাব প্রেসিডেন্ট জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউয়ের সঙ্গে আলোচনাতেও বসেননি। সংবাদমাধ্যম দাবি করেছিল, ম্যাঞ্চেস্টার সিটিতে প্রাক্তন গুরু পেপ গুয়ার্দিওলার অধীনেই তাঁকে দেখা যাবে।
শুক্রবার দুপুরেও আর্জেন্টিনীয় কিংবদন্তির বাবা হর্ঘে মেসি (তিনিই পুত্রের এজেন্টের কাজ করেন) দাবি করেছিলেন, ‘ফ্রি প্লেয়ার’ হিসেবেই বার্সা ছাড়তে পারেন মেসি। শুধু তাই নয়, লা লিগা প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের তেবাসকে চিঠি দিয়ে ক্ষোভও উগরে দিয়েছিলেন। কারণ লা লিগা সমর্থন জানিয়েছিল বার্সাকেই। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মেসি জানিয়ে দিলেন, বার্সাতেই থাকছেন। শনিবার থেকেই প্রস্তুতিতে নেমে পড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। বলেছেন, ‘‘বার্সেলোনাকে আমি ভালবাসি। এর চেয়ে ভাল জায়গা আর পাব না। নতুন চ্যালেঞ্জের খোঁজে বেরোতে চেয়েছিলাম। কালই প্র্যাক্টিসে ফিরতে পারি। কারণ, বার্সেলোনাই আমার সব কিছু।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy