লক্ষ্য সেন এবং কিদাম্বি শ্রীকান্ত।
দুর্দান্ত লড়েও বিশ্ব ব্যাডমিন্টনের ফাইনালে উঠতে পারলেন না বঙ্গসন্তান লক্ষ্য সেন। সেমিফাইনালে হারলেন ভারতেরই কিদাম্বি শ্রীকান্তের কাছে। ২৮ বছরের শ্রীকান্তের অভিজ্ঞতার কাছে হার মানেন উত্তরাখণ্ডের আলমোরায় জন্ম হওয়া ২০ বছরের লক্ষ্য। প্রথম ভারতীয় পুরুষ হিসেবে বিশ্ব ব্যাডমিন্টনের ফাইনালে উঠে ইতিহাস সৃষ্টি করলেন শ্রীকান্ত।
প্রথম গেম ২১-১৭ পয়েন্টে জেতেন লক্ষ্য। একটা সময় পর্যন্ত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। শ্রীকান্ত ৬-৪ পয়েন্টে এগিয়ে যাওয়ার পর লক্ষ্য ৬-৬ করেন। তারপর ৮-৮ হয়। এরপর লক্ষ্য এগিয়ে যান ১৩-১০ পয়েন্টে। সেখান থেকে ১৬-১৬ হয়। কিন্তু মোক্ষম সময়ে মাথা ঠান্ডা রেখে ২১-১৭ পয়েন্টে প্রথম গেম জিতে নেন লক্ষ্য।
দ্বিতীয় গেমে মাঝখান থেকে ম্যাচে ফেরেন শ্রীকান্ত। প্রথম গেম জেতার আত্মবিশ্বাস ধরে রেখে লক্ষ্য প্রথমে ৫-৩, তারপর ৮-৪ পয়েন্টে এগিয়ে যান। এরপর দু’টি পয়েন্ট জিতে শ্রীকান্ত ব্যবধান কমিয়ে ৬-৮ করেন। তাঁর অভিজ্ঞতার কাছে পিছোতে থাকেন লক্ষ্য। শ্রীকান্ত ব্যবধান বাড়াতে থাকেন। প্রথমে ১১-৯, তারপর ১৬-১২ পয়েন্টে লিড নেন। লক্ষ্য পরপর দু’টি পয়েন্ট জিতে ব্যবধান কমিয়ে ১৪-১৬ করেন। কিন্তু পরপর পাঁচটি পয়েন্ট জিতে শ্রীকান্ত দ্বিতীয় গেম জিতে নেন ২১-১৪ পয়েন্টে। ৪-৮ পয়েন্টে পিছিয়ে থেকে ২১-১৪ পয়েন্টে গেম জেতা নিঃসন্দেহে কৃতিত্বের।
তৃতীয় গেমে লক্ষ্যকে ক্লান্ত দেখায়। পঞ্চাশ শটের একটি গেমের পর তিনি আরও ক্লান্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু তা সত্ত্বেও দারুণ ভাবে ম্যাচে ফেরেন তিনি। ২-৪ গেম পিছিয়ে থাকার পর ৫-৪, ৭-৬ এবং ১১-৮ পয়েন্টে লিড নেন লক্ষ্য। শ্রীকান্ত এরপর জোড়া পয়েন্ট জিতে ব্যবধান কমিয়ে ১০-১১ করে ফেলেন। তারপর লক্ষ্য জোড়া পয়েন্ট জিতে ১৩-১০ করেন। লড়াই ক্রমশ জমে ওঠে। শ্রীকান্ত ১৩-১৩ করে ফেলেন। সেখান থেকে ১৫-১৫ হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞতার জোরে ম্যাচ বার করেন শ্রীকান্ত। ১৯-১৬ পয়েন্টে এগিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত জেতেন ২১-১৭ পয়েন্টে।
হারলেও গোটা ম্যাচে লক্ষ্য যে ভাবে বেশ কয়েক বার ডাইভ দিয়ে শ্রীকান্তকে বেকায়দায় ফেলেছেন, তা অবশ্যই প্রশংসনীয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy