চর্চায়: পাঁচ শিকারের স্মারক। বল হাতে কাইল জেমিসন। রয়টার্স
পিচকে কোনও দোষ দিতে চান না। বিপক্ষ দারুণ বল করেছে, এমনটাও বলছেন না তিনি। তা হলে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে প্রথম দিনে ভারতের ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণ কী? ভারতের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হনুমা বিহারী মনে করেন, ব্যাটসম্যানদের ভুলের জন্যই প্রথম ইনিংসে ২৪২ রানে শেষ হয়ে গিয়েছে দল। যার মধ্যে বিহারীর সংগ্রহ ৭০ বলে ৫৫।
শনিবার খেলার শেষে সাংবাদিক বৈঠকে এসে বিহারী বলেন, ‘‘যে রকম মনে করেছিলাম, পিচ কিন্তু বোলারদের সে রকম সাহায্য করেনি। ওরা ঠিক জায়গায় বলটা রেখে গিয়েছে। জানত, পিচ থেকে কতটা কী সাহায্য পাওয়া যাবে।’’ দলের ব্যাটিং নিয়ে বিহারী বলেছেন, ‘‘পৃথ্বী রাস্তাটা তৈরি করে দিয়েছিল। পুজারা উইকেটে অনেকটা সময় ছিল। তবে আমাদের সব ক’টা আউটই খুব খারাপ সময়ে হল। কোনও উইকেটই কিন্তু পিচের জন্য যায়নি। ব্যাটসম্যানদের ভুলেই উইকেটগুলো গিয়েছে। পিচ মোটেই খারাপ ছিল না।’’
নিউজ়িল্যান্ডের হয়ে কাইল জেমিসন পাঁচ উইকেট নিয়েছেন। তাঁকে কৃতিত্ব দিয়ে বিহারী বলেছেন, ‘‘ওর উচ্চতার জন্য অন্যান্য বোলারের চেয়ে বেশি বাউন্স পাচ্ছে জেমিসন। এই ধরনের উইকেটে যা খুব কার্যকর। ওকে ফ্রন্টফুটে খেলাটা রীতিমতো বিপজ্জনক। এই পাঁচ উইকেট জেমিসনের প্রাপ্য।’’
নিউজ়িল্যান্ড বোলিংয়ের নায়ক জেমিসন দিনের শেষে বলেছেন, ‘‘ওয়েলিংটনের চেয়ে ভারতীয়রা এখানে বেশি শট খেলেছে। এতে আমাদেরও কিছুটা সুবিধে হয়েছে। বল এখানে সুইং করছিল।’’ জেমিসন মনে করেন, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দিন ব্যাটিংয়ের জন্য পিচ আরও ভাল হবে।
বিহারী এ দিন গুটিয়ে না থেকে শট খেলেছেন। শর্ট বলও ছাড়েননি। এর কারণ হিসেবে এই ব্যাটসম্যান জানিয়েছেন, তিনি চাননি পুজারার উপরে বাড়তি চাপ তৈরি হয়ে যাক। বিহারী বলেছেন, ‘‘আমি একটা দিক থেকে রান তুলতে চাইছিলাম, যাতে পুজারার উপরে কোনও চাপ তৈরি না হয়। পুজারা লম্বা সময় উইকেটে থাকতে ভালবাসে। কিন্তু দু’জনেই আটকে গেলে রান ওঠার গতি একেবারে কমে যেত। ঠিক যেমন প্রথম টেস্টে হয়েছিল। তাই ঠিক করেছিলাম, ইতিবাচক ক্রিকেট খেলব এবং পাল্টা আক্রমণের রাস্তায় যাব।’’
ঠিক চা বিরতির আগে আউট হয়ে যান বিহারী। যা নিয়ে আফসোস যাচ্ছে না তাঁর। বলছেন, ‘‘চা বিরতির আগে পর্যন্ত আমাদের জুটিটা ভালই খেলছিল। ওই দু’ঘণ্টায় আমরা ১১০ রান যোগ করি মাত্র এক উইকেট হারিয়ে। আমি ইতিবাচক খেলছিলাম, কিন্তু একটু বেশি শট খেলার খেসারত দিলাম।’’ শর্ট বল এলে যে পুল বা হুক মারবেন, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত ছিল বলেই জানিয়েছেন বিহারী। বলেছেন, ‘‘উইকেট ভালই ছিল। ওরা শর্ট বল করলে আমিও মারার রাস্তায় যাব, এটা ঠিক করে রেখেছিলাম। মানছি, কয়েকটা ক্ষেত্রে আমাদের পরিরল্পনা অনুযায়ী ব্যাপারটা যায়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy