লক্ষ্য: সুযোগ পেলে তা কাজে লাগাতে চান কুলদীপ। ফাইল চিত্র
গত দু’বছরের আইপিএলে নজর কাড়তে ব্যর্থ তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও গত এক বছরে বড় পারফরম্যান্স নেই। অস্ট্রেলীয় সফরে ক্যানবেরায় মাত্র একটি ওয়ান ডে খেলার সুযোগ পেয়েছেন কুলদীপ যাদব। তবে আসন্ন ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজে আর অশ্বিনের সঙ্গে স্পিন বিভাগ সামলাতে দেখা যেতে পারে তাঁকে। কারণ, বাঁ-হাতি স্পিনার রবীন্দ্র জাডেজা চোটের জন্য দলের বাইরে।
গত এক বছরের পারফরম্যান্সে নিজেও খুশি নন কুলদীপ। এ ধরনের খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে পেরোনোর সময় কুলদীপ চেষ্টা করেন নিজের ভুল শুধরে ছন্দে ফেরার। ভারতের হয়ে ছ’টি টেস্ট খেলা কুলদীপের কাছে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাঠে ফেরার বড় সুযোগ। রবিবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের ওয়েবসাইট কেকেআর ডট ইনে কুলদীপ বলেছেন, ‘‘কখনও খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে পেরোতে হতেই পারে। তখনই কিন্তু ভুল শুধরে এগিয়ে যেতে হয়। ভুল থেকেই মানুষ শেখে। যাতে পরবর্তী সময়ে একই সমস্যা না হয়।’’
কুলদীপের সমস্যা যদিও গত এক বছরেও মেটেনি। আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ২০১৯ সালে ৯ ম্যাচ খেলে মাত্র চার উইকেট পেয়েছিলেন। ২০২০-র আইপিএলে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে মাত্র চার ম্যাচে তাঁর প্রাপ্তি এক উইকেট। তবুও তাঁর উপরে ভরসা রেখেছে কেকেআর। এ বারও কুলদীপকে রেখে দেওয়া হয়েছে নাইট শিবিরে। ভারতীয় চায়নাম্যানও কৃতজ্ঞ তাঁর দলের কাছে। বলেছেন, ‘‘গত সাত বছর ধরে কেকেআর-এর হয়ে খেলছি। দলের সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে আমার দায়িত্ব প্রত্যেক ম্যাচে নিজের সেরাটা দেওয়া।’’ যোগ করেন, ‘‘প্রত্যেক ম্যাচে ভাল পারফর্ম করা সত্যি বড় পরীক্ষা। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে সফল হওয়ার জন্য সময়ের সঙ্গে নিজেকে পরিবর্তন করতে হয়। সমর্থকদের উন্মাদনা যাতে কমে না যায়, তা খেয়াল রাখতে হয়।’’
কুলদীপ জানিয়েছেন, সমর্থকদের চাহিদা তাঁর স্নায়ুর চাপ বাড়িয়ে দেয়। ‘‘চাপ বাড়তে বাধ্য। কারণ, আমি তো চাই ভাল খেলতে। কখনও ভাল হয়, কখনও হয় না। এ ধরনের পরিস্থিতিতে অনেকেরই স্নায়ুর চাপ বেড়ে যায়,’’ বলেছেন কুলদীপ। তাঁর সংযোজন, ‘‘জীবনে এ ধরনের পরিস্থিতি অনেক শিক্ষাও দেয়। ক্রিকেট এমন একটা খেলা, যেখানে সব সময় ভাল পারফর্ম করা সম্ভব নয়। খারাপ খেলার পরে একজন ক্রিকেটারের মনোভাব কী রকম থাকে তার উপরে অনেক কিছু নির্ভর করে।’’
নাইটদের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ছোটবেলার কাহিনিও শোনালেন কুলদীপ। বাঁ-হাতি পেসার হিসেবে ক্রিকেটজীবন শুরু করেন তিনি। তাঁর কোচই কুলদীপকে লেগস্পিন করার পরামর্শ দেন। চায়নাম্যান বোলারের কথায়, ‘‘ছোটবেলায় মনে হত, আমি ভালই পেস বোলিং করতাম। যখন আমার ১০-১১ বছর বয়স, তখন থেকেই দু’দিকে সুইং করাতে পারতাম। কোচও বুঝতেন, আমার কব্জির ব্যবহার ভাল। কিন্তু বয়সের সঙ্গে চেহারার দিক থেকে সে রকম বৃদ্ধি হয়নি। একজন পেসারের উচ্চতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যা একেবারে আমার ছিল না। তাই কোচ বলেন লেগস্পিন করতে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy