ম্যাচে ফেরাল যে জুটি। ছবি: রয়টার্স।
দ্বিতীয় টেস্ট (প্রথম দিন)
ভারত ৩১৭/৪ (৯০ ওভার)
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন ভাল জায়গায় শেষ করল ভারত। বিরাট কোহালি আগের দিনই বলেছিলেন, টস জেতাটাই আসল। রাজকোটে টস হারাটাই বিপদে ফেলে দিয়েছিল ভারতকে। কিন্তু বিশাখাপত্তনমের দিনটি ভালই শুরু হল ভারতের। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক। যদিও ব্যাটিংয়ের শুরুটা মোটেও ভাল হয়নি। দুই ওপেনার মুরলী বিজয় ও লোকেশ রাহুল দলকে ভরসা দিতে পারেননি ব্যাট হাতে। মুরলী বিজয় ২১ বল খেলে ২০ রানে প্যাভেলিয়নে ফেরেল অ্যান্ডারসনের বলে স্টোকসকে ক্যাচ দিয়ে। অন্যদিকে, গৌতম গম্ভীরের ব্যর্থতার জন্য তড়িঘড়ি ডেকে নেওয়া হয়েছিল লোকেশ রাহুলকে। কিন্তু তিনি হতাশ করলেন। কোনও রান না করেই ফিরলেন প্যাভেলিয়নে।
একেবারে রঞ্জি ম্যাচের মাঝখান থেকে তাঁকে নিয়ে আসা হয়েছিল বিশাখাপত্তনমে। দলের সঙ্গে একেবারে শেষ লগ্নে যুক্ত হয়েছিলেন লোকেশ রাহুল। কিন্তু তাঁর উপর যে ভরসা রেখেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট, সেই ভরসার মান রাখতে পারলেন না তিনি। তাঁর প্রত্যাবর্তনের ইনিংস টিকল মাত্র ৫ বল। স্কোরারদের কিছুমাত্র বিরক্ত না করে ব্রডের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে আউট হলেন কর্নাটকের ওপেনার। লোকেশের ব্যর্থতার দিনে রান পেলেন না অপর ওপেনার বিজয়ও। অ্যান্ডারসনের বলে গালিতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে দলের ত্রাতা হয়ে এলেন সেই কোহালি। চেতেশ্বর পূজারার সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য তৃতীয় উইকেটে ইতিমধ্যেই ২০০-এর উপর রান যোগ করে ফেলেছেন তিনি। সেঞ্চুরি করলেন দু’জনেই। ছক্কা মেরে শতরান করেন পূজারা।
২২ রানে দু’উইকেট হারিয়ে ভারতকে ঘুরে দাঁড়ানোর রাস্তা দেখান চেতেশ্বর পূজারা ও বিরাট কোহালি। ২২ রানে দু’উইকেট থেকে ২৪৮এ ভারতকে নিয়ে যান এই দু’জন। চেতেশ্বর পূজারা আউট হন ১১৯ রানে। তাঁর এই ইনিংস সাজানো ছিল ১২টি বাউন্ডারি ও দু’টি ওভার বাউন্ডারিতে। অন্যদিকে ১৫১ রান করে ডবল সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছেন অধিনায়ক। তাঁ ইনিংসে ছিল ১৫টি বাউন্ডারি। অপরাজিত থেকেই প্রথম দিন শেষ করলেন বিরাট। শুক্রবার ভারতের বড় রানের পাশাপাশি গোটা দেশ তাকিয়ে থাকবে কোহালির বড় রানের দিকেও। পূজারা আউট হওয়ার ব্যাট করতে এসে ২৩ রান করে ফিরে যান অজিঙ্ক রাহানে। এই মুহূর্তে বিরাট কোহালির সঙ্গে ক্রিজে রয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তাঁর রান এক। ইংল্যান্ডের হয়ে তিনটি উইকেটই নেন জেমস অ্যান্ডারসন। ১৬ ওভারে মাত্র ৪৪ রানের মধ্যে তিনটি মেডেন। একটি উইকেট স্টুয়ার্ট ব্রডের।
সকালের পিচ রিপোর্টে অবশ্য প্রত্যাশা মতোই পিচকে রাজকোটের চেয়ে অনেক নরম বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন নাসের হুসেন সুনীল গাওস্কররা। পিচ পরের দিকে ভাঙবে বলেও পূর্বাভাস দেন তাঁরা। অ্যান্ডারসন, ব্রডদের বোলিং দেখে আপাতত তেমন কোনও ইঙ্গিত মেলেনি অবশ্য। গম্ভীরের বাদ পড়াটা প্রত্যাশিত থাকলেও অমিত মিশ্রকে বাদ দিয়ে এ দিন সবাইকেই চমকে দিল ভারত। দেল এলেন জয়ন্ত যাদব। ইংল্যান্ডে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের আধিক্য থাকায় তাঁকে নেওয়া হয়েছে বলে জানান কোহালি। ক্রিস ওকসকে সরিয়ে ইংল্যান্ডে ফিরলেন জেমস অ্যান্ডারসন।
বিশাখাপত্তনম অবশ্য চিরকালই কোহালির পছন্দের মাঠ। তিন ধরনের ফর্ম্যাটে প্রায় ১০০ গড় রয়েছে তাঁর। সেই পরিসংখ্যানকে আরও একটু ভাল করার লক্ষ্যেই যেন এ দিন নেমেছিলেন কোহালি। সঙ্গে পেলেন চেতেশ্বর পূজারাকে। ধীরে ধীরে কেমন যেন তিন নম্বরে দ্রাবিড়ের মতোই ভরসাযোগ্য হয়ে উঠছেন পূজারা। প্রথম টেস্টের মতো এই টেস্টেও সেঞ্চুরি করলেন তিনি।
আরও পড়ুন:
ডিজাইনার পিচেও স্বস্তি নেই বিরাটদের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy