প্রস্তুতি: ইংল্যান্ডের অনুশীলনে আর্চার। ইসিবি
চেন্নাইয়ের বাইশ গজ তিনি এখনও দেখেননি। কিন্তু পিচ মন্থরই হোক বা গতিশীল, নিজের আক্রমণের রাস্তা ঠিক করে নিয়েছেন জফ্রা আর্চার। জুটি ভাঙার জন্য তিনি ব্যাটসম্যানদের বিরুদ্ধে শর্ট বল কাজে লাগাতে তৈরি।
করোনামুক্ত ইংল্যান্ড দল মঙ্গলবারই চেন্নাইয়ে পুরোদস্তুর অনুশীলনে নেমে পড়ে। সেই অনুশীলন শেষে সন্ধ্যায় ভিডিয়ো কলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন আর্চার। যেখানে প্রশ্ন করা হয়, চেন্নাইয়ের পিচে হয়তো তেমন গতি থাকবে না, বাউন্স থাকবে না। সে ক্ষেত্রে কি ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের জুটি ভাঙার জন্য আপনি শর্ট বল কাজে লাগাবেন? ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতির উপরে যিনি বল করে থাকেন, সেই ফাস্ট বোলারের উত্তর, ‘‘পিচটা কী রকম হবে, সেটা ব্যাপার নয়। আমাদের বোলারদের একটা বৈঠক হয়েছে। হ্যাঁ, শর্ট বল অস্ত্র হতেই পারে।’’
এ দিন চেন্নাইয়ে অনুশীলন করলেও পিচ দেখতে যাননি ইংল্যান্ডের এই ফাস্ট বোলার। কেন? আর্চারের মন্তব্য, ‘‘পিচ এখন দেখে কী হবে। খেলা তো সেই শুক্রবার। এখন পিচ দেখার কোনও মানেই নেই।’’
অস্ট্রেলিয়া সফরে দুরন্ত জয় পেয়েছে ভারত। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজে আবার দলে চলে এসেছেন বিরাট কোহালি। ভারতীয় ব্যাটিং লাইনে কাকে সব চেয়ে বিপজ্জনক বলে মনে হয় আপনার? আর্চার আলাদা করে কোনও নাম করছেন না। তিনি বলছেন, ‘‘ভারতীয় দলে সবাই ভাল ক্রিকেটার। ওদের এক থেকে ছ’নম্বর পর্যন্ত ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি করার ক্ষমতা আছে। সবাইকেই সমান গুরুত্ব দিচ্ছি।’’ ভারতীয় বোলারদের মধ্যে যশপ্রীত বুমরাকে কি আপনার পছন্দ? একটু ভেবে ক্যারিবিয়ান বংশোদ্ভূত ফাস্ট বোলারের সংক্ষিপ্ত জবাব, ‘‘হ্যাঁ।’’ কেন ভাল লাগে আপনার? এ বার বেশ কিছুটা সময় চুপ করে থাকলেন আর্চার। তার পরে বললেন, ‘‘কী বলব, এখন তো কিছুই মাথায় আসছে না।’’ একটু থেমে, ‘‘ওর ধারাবাহিকতা খুব ভাল।’’
ভারতের মাটিতে আইপিএল খেলার সুবাদে সাদা বলে বল করার অভিজ্ঞতা আছে আর্চারের। কিন্তু লাল বল তো সম্পূর্ণ অন্য ধরনের খেলা। আপনি কি দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেছেন? ‘‘আমাদের বোলারদের নিয়ে দুটো বৈঠক হয়েছে। আর একটা হবে। তার পরে পরিবেশ, পরিস্থিতি দেখে কৌশল চূড়ান্ত হবে,’’
বলেন আর্চার।
প্রায় ছ’সপ্তাহ মতো ক্রিকেট থেকে দুরে ছিলেন। ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজে। ফিরে এসে ঢুকে গিয়েছেন জৈব সুরক্ষা বলয়ে। যেখানে আরও অনেক দিন থাকতে হবে তাঁকে। কী মনে হচ্ছে? আর্চার বলেন, ‘‘এ ছাড়া আমার সামনে কি আর কোনও রাস্তা আছে? তবে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড যে ভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দিচ্ছে,
সেটা ভাল।’’
কিন্তু এই নীতির তো সমালোচনাও হচ্ছে। আর্চারের বাউন্সার, ‘‘যারা এ সব কথা বলছে, তারা কোনও দিন জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকেনি। দিনের শেষে মানুষ হল সামাজিক প্রাণী। বিশেষ করে মাঠে যদি দিনটা খারাপ যায়, তা হলে কারও কাছে যাওয়ার রাস্তা নেই। ইসিবি খুব ভাল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশ্রাম নিয়ে তাজা হয়ে মাঠে ফেরার সুযোগ থাকছে।’’
চেন্নাইয়ে দ্বিতীয় টেস্টেই মাঠে ৫০ শতাংশ দর্শক ফিরে আসার কথা। এই নিয়ে মঙ্গলবার দু’দেশের বোর্ডের মধ্যে কথাও শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, তামিলনাড়ু ক্রিকেট সংস্থা নাকি এ ব্যাপারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাছ থেকে সবুজ সঙ্কেতও পেয়ে গিয়েছে। সে কথাই সংস্থার এক কর্তা জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে। তবে এই ব্যাপারে ইংল্যান্ড ক্রিকেটারদের সঙ্গেও ইসিবি কথা বলবে বলে জানা গিয়েছে। আর্চার এখনই বিশ্বাস করতে রাজি নন যে মাঠে দর্শক দেখা যাবে। তিনি বলেছেন, ‘‘যখন সেটা হবে, তখনই মেনে নেব। শেষ আটটা মাস অদ্ভুত গিয়েছে। আগে এ রকম বলেও কথা রাখা হয়নি। তাই মাঠে দর্শক আসার পরেই আমি ব্যাপারটা বিশ্বাস করব।’’ এ দিকে ইংল্যান্ডের প্রাক্তন উইকেটকিপার ম্যাট প্রায়র বলেছেন, ‘‘ভারতে গরম এবং আপেক্ষিক আর্দ্রতা এত বেশি যে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ক্রিকেটাররা ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারে। সেটা নিয়ে অনেক সতর্ক থাকতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy