ইউএস ওপেনের ফাইনালে জেসিকা পেগুলা এবং এরিনা সাবালেঙ্কা। ছবি: রয়টার্স।
ইউএস ওপেনের ফাইনালে জেসিকা পেগুলা। বিপক্ষে এরিনা সাবালেঙ্কা। ফাইনালে গ্যালারি যে পেগুলার পক্ষে থাকবে তা বলাই যায়। আমেরিকার মেয়ের জন্যই চিৎকার করবে গ্যালারি। তবে বিশ্বের দু’নম্বর সাবালেঙ্কা সহজে ছেড়ে দেবে না তা বলাই যায়।
সেমিফাইনালে পেগুলা হারিয়ে দেন ক্যারোলিনা মুচোভাকে। ১-৬, ৬-৪, ৬-২ গেমে জিতে নেন আমেরিকার মেয়ে। অন্য সেমিফাইনালে সাবালেঙ্কা হারিয়ে দেন এমা নাভারোকে। সেই ম্যাচের ফল সাবালেঙ্কার পক্ষে ৬-৩, ৭-৬ (৭-২)। গত বছরও ইউএস ওপেনের ফাইনালে খেলেছিলেন তিনি। কিন্তু সে বার আমেরিকার কোকো গফের বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল সাবালেঙ্কাকে। এ বার তাঁর সামনে আরও এক আমেরিকার টেনিস খেলোয়াড়। তবে ২০১৯ সালের পর এই প্রথম মহিলাদের ইউএস ওপেনের ফাইনালে পর পর দু’বার কোনও খেলোয়াড় উঠলেন। শেষ বার এই কৃতিত্ব ছিল আমেরিকার সেরেনা উইলিয়ামসের। এ বার সেই নজির গড়লেন বেলারুশের সাবালেঙ্কা।
ফাইনালে সাবালেঙ্কাকে শুধু পেগুলার বিরুদ্ধে খেললেই হবে না, সামলাতে হবে গ্যালারির চিৎকারও। পেগুলার জন্ম নিউ ইয়র্কে। তবে সাবালেঙ্কা তৈরি। সেমিফাইনালে আমেরিকার নাভারোর বিরুদ্ধে খেলতে হয়েছিল তাঁকে। সেই ম্যাচেও গ্যালারি চিৎকার করছিল ঘরের মেয়ের জন্য। সেমিফাইনাল জিতে দর্শকদের উদ্দেশে সাবালেঙ্কা বলেন, “এখন আপনারা আমার জন্য চিৎকার করছেন, কিন্তু খুব দেরি করে ফেলেছেন। তবে ভাল লাগছে। এখন আপনাদের চিৎকারে আমার গায়ে কাঁটা দিচ্ছে।”
পেগুলা এই প্রথম বার কোনও গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে উঠেছেন। কোয়ার্টার ফাইনালে তিনি হারিয়ে দিয়েছিলেন বিশ্বের এক নম্বর ইগা শিয়নটেককে। সেমিফাইনালে হারিয়ে দেন মুচোভাকে। প্রথম সেটে ১-৬ হেরে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে পরের দু’টি সেট জিতে নেন পেগুলা। তিনি বলেন, “আমি জিতেছি ঠিকই তবে মুচোভা দুর্দান্ত খেলছিল। আমার খেলা দেখে মনে হচ্ছিল সবে খেলতে শিখেছি। লজ্জা লাগছিল। কান্না পেয়ে গিয়েছিল। সত্যি বলছি জানি না কী ভাবে ঘুরে দাঁড়ালাম।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy