মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ক্যাপ্টেনসি এই দলের একটা বড় প্লাস পয়েন্ট। শনিবারের ম্যাচেই তার পরিচয় দিয়ে রাখল ধোনি। পোলার্ড, বাটলারদের জন্য স্লিপ ও লেগ স্লিপে ফিল্ডার রাখা (এমনকী পাওয়ার প্লে-র পরেও)। মুরুগান অশ্বিনকে রবিচন্দ্রনের আগে বল করতে এনে বিপক্ষকে চমক দেওয়া। ধোনির এই সিদ্ধান্তগুলো ক্লিক করে গিয়েছে। বরাবরই ক্যালকুলেটেড রিস্ক নেওয়ার ব্যাপারে ওস্তাদ ধোনি। এ দিনও ও ঠিক তা-ই করেছে, যা টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে খুবই জরুরি।
বোলারদের সাপোর্ট
যে দলের ব্যাটসম্যানরাই প্রধান শক্তি, সেই দলের বোলারদের একসঙ্গে ভাল বল করাটা টিমের কাছে খুব ভাল একটা খবর। প্রথম ম্যাচ থেকে ধোনি এটাই বুঝে নিল, তার দলের ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হলেও বোলাররা তাদের ব্যর্থতা ঢাকার দায়িত্ব নিতে পারে। ইশান্ত এ দিন যা আক্রমণাত্মক শুরুটা করল, তা ধরে রাখার কাজে সফল ওদের অন্য বোলাররা। মিচ মার্শ, মুরুগান অশ্বিন, রজত ভাটিয়ারাও ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরেছিল। প্রত্যেকের লাইন-লেংথ নিখুঁত। কন্ডিশনকে নিখুঁত ভাবে কাজে লাগিয়ে নিল ওরা। রবি অশ্বিনকে এক ওভারের বেশি বলই করতে হয়নি।
অসাধারণ ব্যাটিং
ব্যাটিং লাইন-আপের দিকে তাকালেই দলটাকে ব্যাটিং হেভি মনে হয়। রাহানে, দু’প্লেসি, কেপি, ধোনি, স্মিথ, একের পর এক ভাল ব্যাটসম্যান ওদের দলে। ওপেনিং জুটিই ইঙ্গিতা দিয়ে রাখল যে পুণের ব্যাটিং বিপক্ষকে ভাবাবে। শনিবার ওয়াংখেড়ের উইকেট দেখে কিন্তু মোটেই ব্যাটিং সহায়ক মনে হয়নি। পাওয়ার প্লে-তে দু-তিনটে উইকেট পড়ে গেলে কিন্তু চাপে পড়ে যেত ওরা। কিন্তু বলের মান অনুযায়ী এত ভাল শট বাছাই করে রাহানে, দুপ্লেসিরা যে, মুম্বইয়ের বোলাররা পাত্তাই পায়নি।
ইশান্ত শর্মার ফর্ম
ইশান্তের এমন আগুনে স্পেল বহু দিন দেখা যায়নি। বিশ্রাম বা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাদ পড়ার রাগ, কোন কারণটা ওকে এতটা আগ্রাসী ভাবে ফিরিয়ে আনল জানি না, তবে ও এই ফর্মে থাকলে ধোনি কিন্তু সারা লিগেই নিশ্চিন্তে থাকতে পারবে। যেমন সুইং, তেমন পেস। দুইয়ে মিলে ইশান্তের হাত থেকে যেন আগুনের গোলা বেরোচ্ছিল এ দিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy