স্টেনম্যান, পিলকিংটনের গোলে মশাল জ্বলল লাল-হলুদে। ছবি টুইটার
শেষ মুহূর্তের গা ছাড়া ফুটবল, জামশেদপুরের একের পর এক আক্রমণ, সুব্রত পালের দুটি দুরন্ত সেভ। সব পেরিয়ে আইএসএলের তৃতীয় জয় তুলে নিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। ১৬ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট হল তাদের। কেরল ব্লাস্টার্সকে টপকে দশ থেকে নয়ে উঠে এল তারা। ১৬ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে জামশেদপুর থেকে গেল সাতেই।
নির্বাসনের কারণে ডাগ-আউটে ছিলেন না লাল-হলুদ কোচ রবি ফাওলার। কিন্তু তার আগেই কাজের কাজটা করে গিয়েছিলেন তিনি। প্রথম একাদশে সুযোগ দিয়েছিলেন সুব্রত, সৌরভ দাস এবং সার্থক গোলুইকে। পারফরম্যান্সের নিরিখে তিনজনেই চূড়ান্ত সফল। এতদিন পর্যন্ত মাঝমাঠে সঠিক কোনও ব্লকার পাচ্ছিল না লাল-হলুদ। যে কারণে চাপে পড়ে যাচ্ছিলেন ড্যানি ফক্স, স্কট নেভিলরা। এদিন নেভিলকে নামতেই হল না। গোলুই, মাঘোমা এবং সৌরভ মিলে জামশেদপুরকে মাঝমাঠের রাস্তা পেরোতে দিলেন না।
নারায়ণ দাসের নাম আলাদা করে বলতেই হবে। দূর থেকে শট নেওয়ার বদলে কাছে গেলে গোল পেতে পারতেন। প্রথম গোলের ক্ষেত্রেও কৃতিত্ব তাঁর। মাপা কর্নার রেখেছিলেন বক্সে। লাফিয়ে পিছনদিকে হেড করে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন মাঠি স্টেনম্যান।
দ্বিতীয় গোল আসে দ্বিতীয়ার্ধে। সৌরভ বিপক্ষের মাঝমাঠ থেকে বল কেড়ে পাস করেন স্টেনম্যানকে। জার্মান ফুটবলার বাড়িয়ে দেন সামনে থাকা অ্যান্টনি পিলকিংটনকে। ডিফেন্ডার ঘাড়ে নিয়েও পিলকিংটন বল জালে জড়াতে ভুল করেননি।
এই জয় টিমটিম করে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল ফাওলারের দলের। তবে সবথেকে বড় ব্যাপার, আত্মবিশ্বাস বাড়ল। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি ডার্বির আগে এই ছন্দ কাজে লাগতে পারে ফাওলারের দলের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy