অর্ধশতরানের পর ট্রেভিসের উল্লাস। ছবি: আইপিএল
কোনও দল যদি প্রথম ছ’ওভারেই স্কোরবোর্ডে বিনা উইকেটে ১২৫ রান তুলে ফেলে থাকে, তা হলে সেই ম্যাচের আর কী পড়ে থাকে? শনিবার দিল্লির বিরুদ্ধে এ ভাবেই ফিরোজ শা কোটলায় তাণ্ডব দেখাল হায়দরাবাদ। ঘরের মাঠে প্রথম বার খেলতে নেমেছিল দিল্লি। মাঝে দু’টি ‘হোম ম্যাচ’ খেলতে হয়েছিল বিশাখাপত্তনমে। তবে ঘরের মাঠে ফেরার অভিজ্ঞতা ভাল হল না ঋষভ পন্থের দলের। আগে ব্যাট করে ২৬৬/৭ তুলল হায়দরাবাদ। ট্রেভিস হেডের ঝড়ে উড়ে গেল দিল্লি। এত রানের বোঝা নিয়ে তারা জিততে পারবে কি না, সেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে প্রথম ইনিংসেই।
প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ পেলে হায়দরাবাদ কী করতে পারে, তার প্রমাণ পেয়েছে মুম্বই এবং বেঙ্গালুরু। এ বার দিল্লিও দেখল হায়দরাবাদের তাণ্ডব। টসে জিতে কেন হায়দরাবাদকে আগে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন তা ম্যাচের পর ভেবে দেখতে পারেন পন্থ। ভেবেছিলেন পিচের সুবিধা নেবেন। কিন্তু ট্রেভিস হেড বা অভিষেক শর্মা পিচ ব্যাপারটাকেই হিসাবের বাইরে বার করে দিলেন।
প্রথম ওভারেই খলিল আহমেদ দিলেন ১৯। দ্বিতীয় বলেই ছয় মেরে নিজের মনোভাবের কথা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন হেড। আশ্চর্যের হল, দিল্লি বোলারেরা সেটা ধরতে পারলেন না। দ্বিতীয় ওভারেই স্পিনারকে নিয়ে এসেছিলেন পন্থ। সেই ললিত যাদব আরও এক কাঠি উপরে। তাঁর প্রথম দু’বলে দু’টি ছয় হল। সেই ওভারে এল ২১ রান।
নোখিয়াকে এনে স্বাদ বদল করতে চাইলেন পন্থ। প্রথম চারটি চার এবং একটি ছয় মেরে ‘স্বাগত’ জানালেন হেড। পরের ওভারে ললিত এসে আবার ২১ রান দিলেন। সমর্থকদের চোখ তখন ছানাবড়া। বুঝতে পারছেন না খেলাটা মাঠে হচ্ছে না ভিডিয়ো গেমে! হেড এবং অভিষেক শর্মা এর পরেও থামতে রাজি ছিলেন না।
পঞ্চম ওভারে তুরপূণের সেরা অস্ত্র কুলদীপ যাদবকে এনেছিলেন পন্থ। তাঁকে শুরুতেই দু’টি ছক্কা মারলেন অভিষেক। শেষ বলে আবার ছয়। পাঁচ ওভারে ১০০ পেরিয়ে গেল রান। বোঝাই যাচ্ছিল পাওয়ার প্লে-তে কেকেআরের তোলা ১০৫ রান সুরক্ষিত নয়। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলেই সেটা ভাঙল। তাঁকে পর পর চারটি চার মারলেন হেড।
হায়দরাবাদ সেই ছন্দটা ধরে রাখতে পারল না পরের দিকে। সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় বলেই অভিষেককে ফেরালেন কুলদীপ। একই ওভারে ফেরালেন এডেন মার্করামকেও। হায়দরাবাদের দু’টি অস্ত্র একই ওভারে পড়ে গেল। বাকি দুই অস্ত্র, অর্থাৎ হেড এবং ক্লাসেন দু’বলের ব্যবধানে ফিরলেন।
পরের দিকে নীতীশ রেড্ডি এবং শাহবাজ় আহমেদ আক্রমণাত্মক খেললেন বটে। কিন্তু ধার ছিল অনেক কম। পর পর এতগুলি উইকেট পড়ে যাওয়া সাবধানী নীতি নিলেন। তাই এক সময় যে হায়দরাবাদের রান অনায়াসে ৩০০ পেরিয়ে যাবে মনে হচ্ছিল, তারাই এসে থামল ২৬৬ রানে। দিল্লির পক্ষে একটাই সান্ত্বনা অক্ষর পটেলের চার উইকেট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy