১৬তম আইপিএল খেলতে নেমে ঋদ্ধি জানালেন তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ার শেষের পথে। —ফাইল চিত্র
উইকেটের পিছনে ঋদ্ধিমান সাহা এখনও ফিট। ৩৮ বছরের ঋদ্ধি যে ভাবে লাফিয়ে ক্যাচ নিচ্ছেন তাতে তরুণদের লজ্জায় ফেলে দিতে পারেন। কিন্তু ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিকতা দেখাতে না পেরে মাঝেমধ্যেই দল থেকে বাদ পড়তে হয়েছে। কখনও চোটের কারণে বসতে হয়েছে সাজঘরে। ১৬তম আইপিএল খেলতে নেমে ঋদ্ধি জানালেন তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ার শেষের পথে। এখন আর ভারতীয় দলে খেলার কথা ভাবেন না তিনি।
লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে ৮১ রানের ইনিংস খেলেন ঋদ্ধি। যে ইনিংসের পরেই জোরালো দাবি ওঠে ভারতের টেস্ট দলে ঋদ্ধিকে ফেরানোর। কিন্তু চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়া লোকেশ রাহুলের জায়গায় দলে নেওয়া হয় স্ট্যান্ডবাই থাকা ঈশান কিশনকে। মঙ্গলবার ঋদ্ধি বলেন, “আমি গুজরাত টাইটান্সের হয়ে আইপিএল খেলছি। অন্য কোনও দলে সুযোগ পাওয়া আমার হাতে নেই, তাই আমি সেটা নিয়ে ভাবি না। আইপিএল এবং গুজরাত নিয়েই ভাবছি শুধু।”
গুজরাতের সাজঘরে ঋদ্ধিদের ‘তরুণ ক্রিকেটার’ বলে ডাকা হয়। কিন্তু ১৪ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে ফেলা ঋদ্ধি জানেন বয়স বাড়ছে। আর বেশি দিন খেলার সম্ভাবনা নেই। ঋদ্ধি বলেন, “জানি আমার যা বয়স, তাতে ক্রিকেট কেরিয়ারের শেষ পর্ব চলছে। ক্রিকেট খেলতে শুরু করেছিলাম আনন্দ পেতাম বলে। সেই আনন্দ যত দিন পাব, তত দিন ক্রিকেট খেলব। দলের কাজে যদি লাগতে পারি, তা হলে খেলব। কোনও দল আমাকে নেবে কি না সেটা তো আমার হাতে নেই। কিন্তু নিলে আমি নিজের ১০০ শতাংশই দেব।”
ভারতের হয়ে একাধিক বিদেশ সফরে গিয়েছেন ঋদ্ধি। ইংল্যান্ডে ভারতের হয়ে না খেললেও ভারত ‘এ’ দলের হয়ে খেলেছেন। সেই অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের দলে থাকা শ্রীকর ভরত এখন গুজরাত টাইটান্স দলেও রয়েছেন। সিনিয়র হিসাবে ঋদ্ধি তাঁর পাশে সব রকম ভাবে থাকার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, “আমি ছোটবেলা থেকেই যে ভাল কিপিং করি তা নয়। অনুশীলন করে রপ্ত করেছি। সেটাই আমি তরুণ ক্রিকেটারদের বলি। এখনও ভুল করি। হয়তো পরের ম্যাচেই করব। কিন্তু চেষ্টা করি মাঠে নেমে দ্রুত উইকেটের বাউন্স, স্পিন বুঝতে।”
দীর্ঘ দিন বাংলার হয়ে খেলেছেন ঋদ্ধি। গত মরসুমে বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরায় চলে যান। কিন্তু বাংলার ক্রিকেটের ধারাবাহিকতা নিয়ে খুশি। ঋদ্ধি বলেন, “বাংলা দল প্রচণ্ড ধারাবাহিক ক্রিকেট খেলছে। বেশ কয়েক বছর ধরেই ওরা ধারাবাহিক। যদিও সবাই সমান ভাবে খেলতে পারছে না। কিছু ব্যাটার, কিছু বোলার ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলছে। সেই কারণেই শাহবাজ় আহমেদ, আকাশ দীপ, মুকেশ কুমাররা সুযোগ পাচ্ছে। অভিমন্যু ঈশ্বরনও সুযোগ পাচ্ছে।”
তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য উপদেশও দিয়েছেন ঋদ্ধি। তিনি বলেন, “সব রাজ্যেই প্রতিভাবান ক্রিকেটার রয়েছে। কিন্তু অনেক ক্রিকেটারই আগে আইপিএলে সুযোগ পাওয়ার কথা ভাবে, তার পর রাজ্য বা দেশের কথা ভাবে, এটা হওয়া উচিত নয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy