আমদাবাদে নজর কাড়লেন বাংলার মুকেশ। ছবি: আইপিএল।
আমদাবাদের চেনা ২২ গজে ব্যাটিং বিপর্যয় গুজরাত টাইটান্সের। প্রথমে ব্যাট করার সুবিধা কাজেই লাগাতে পারল না শুভমন গিলের দল। শুরু থেকে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে ৮৯ রানে শেষ হয়ে গেল গত দু’বারের ফাইনালিস্টদের ইনিংস। ১৬ বল বাকি থাকতেই শেষ হল গুজরাতের ইনিংস। জয়ের জন্য ঋষভ পন্থের দিল্লি ক্যাপিটালসের লক্ষ্য ৯০ রান। ১৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে নজর কাড়লেন বাংলার মুকেশ কুমার। তিনিই দিল্লির সফলতম বোলার।
বলার মতো রান করতে পারলেন না এক জন ব্যাটারও। বুধবার শুভমনদের দেখে ক্রিকেট শিক্ষার্থী মনে হল। প্রথমেই ইশান্ত শর্মার বলে আউট হন শুভমন (৬ বলে ৮ রান)। অপর ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা ২ রান করলেন ১০ বল খেলে। তিন নম্বরে নামা সাই সুদর্শন করলেন ৯ বলে ১২। ডেভিড মিলারের অবদান ৬ বলে ২ রান। অভিনব মনোহরের ব্যাট থেকে এল ১৪ বলে ৮ রান। রাহুল তেওতিয়া ১০ রান করলেন ১৫ বল খেলে। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নামা শাহরুখ খান আউট হলেন প্রথম বলেই। গুজরাত ব্যাটারদের রান এবং বলের হিসাব দেখলে মনে হতেই পারে তাঁরা টেস্ট ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন।
৪৮ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় গুজরাত। সেই চাপ সামলাতে পারেননি নীচের দিকের ব্যাটারেরা। গুজরাতের ইনিংসে ধস নামার নেপথ্যে দিল্লির বোলারদের কৃতিত্ব থাকলেও বেশি ছিল শুভমনদের জঘন্য ব্যাটিং। ভুল শট নির্বাচন করে আউট হলেন একাধিক ব্যাটার। ইশান্ত, খলিল আহমেদ, মুকেশ, কুলদীপ যাদব, অক্ষর পটেলদের বল খেলতেই পারলেন না তাঁরা। শেষ দিকে কিছুটা লড়াইয়ের চেষ্টা করেন রশিদ খান। আফগান অলরাউন্ডারের ইনিংস দলকে ভরাডুবি থেকে বাঁচাতে পারেনি। রশিদ করলেন ২৪ বলে ৩১। ২টি চার এবং ১টি ছয় এল তাঁর ব্যাট থেকে। গুজরাতের পক্ষে এ দিন এক মাত্র ছক্কাটি রশিদই মারলেন । এ ছাড়া করলেন মোহিত শর্মা ১৪ বলে ৪ রান। নুর আহমেদ করলেন ৭ বলে ১ রান। স্পেনসার জনসন অপরাজিত থাকলেন ১ রান করে।
দিল্লির বোলারদের মধ্যে ইশান্ত ৮ রানে ২ উইকেট নিলেন। ১১ রানে ২ উইকেট ট্রিস্টান স্টাবসের। অক্ষর ১৭ রানে ১ উইকেট নিলেন। কুলদীপ উইকেট না পেলেও খরচ করলেন ১৬ রান। খলিল ১ উইকেট নিলেন ১৮ রানে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy