এ বারের রঞ্জি ট্রফিতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় তিনি ছিলেন তৃতীয় স্থানে। ১৫টি ইনিংস খেলে ৮৬৭ রান করেছিলেন অনুষ্টুপ মজুমদার। তিনটি শতরান এবং চারটি অর্ধশতরান করেছিলেন। বাংলার মিডল অর্ডারের ভরসা অনুষ্টুপ। তিনি জুড়লেন আইপিএলের সঙ্গে। মাঝপথেই আইপিএলে অনুষ্টুপ। তবে খেলোয়াড় হিসাবে নয়, ধারাভাষ্যকার হিসাবে।

খেলতে খেলতে ধারাভাষ্য দেওয়া এখন নতুন নয়। দীনেশ কার্তিক ধারাভাষ্য দিচ্ছিলেন এক সময়। পরে আইপিএল এবং ভারতের হয়ে খেলেন। অনুষ্টুপ আইপিএলে বাংলায় ধারাভাষ্য দিচ্ছেন। বাংলার অভিজ্ঞ ব্যাটার বললেন, “আইপিএলের মাঝপথেই ডাক পাই ধারাভাষ্য দেওয়ার জন্য। রাজিও হয়ে যাই। একটা নতুন অভিজ্ঞতা। অনেক কিছু শিখতে পারছি। ক্রিকেটটা নতুন ভাবে দেখছি। এটা থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজের খেলায় উন্নতি করতে পারব।”

ধারাভাষ্য দিতে গিয়ে নিজেকেও নতুন ভাবে আবিষ্কার করেছেন অনুষ্টুপ। তিনি বললেন, “ধারাভাষ্য দিতে এসে বুঝতে পারছি যে, আমি একাধিক কাজ একসঙ্গে করতে পারি। বেশ ভাল লাগছে এই বিষয়টা। উপভোগ করছি।”

৩৯ বছরের অনুষ্টুপ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলছেন ২০০৪ সাল থেকে। প্রায় ২০ বছর বাংলার হয়ে ব্যাট করছেন তিনি। আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্স দলে দু’বছর ছিলেন তিনি। ২০০৮ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে নাইট সংসারে থাকলেও ম্যাচ খেলা হয়নি। ২০১২ সালে পুণে ওয়ারিয়র্সের হয়ে চারটি ম্যাচ খেলেছিলেন। সেই সময় পুণে দলটির অধিনায়ক ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।