১৯ নভেম্বর, ২০২৩। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এক দিনের বিশ্বকাপের ফাইনালে হেরে বিমর্ষ বিরাট কোহলি ঢুকেছিলেন আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের সাজঘরে।
২২ মে, ২০২৪। আরও এক বার বিমর্ষ কোহলি ঢুকলেন সেই সাজঘরেই। পাল্টে গিয়েছে শুধু জার্সিটা। দলের হারে আরও এক বার হতাশ কোহলি। ট্রফির থেকে দূরত্বটা যে রয়েই গেল।
দু’টি ঘটনার মধ্যে তফাত ১৮৫ দিনের। কিন্তু কোহলির আবেগ একই রকম। দেশের জার্সিতে হোক বা আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর জার্সি, তিনি নিজেকে উজাড় করে দেন। সেই ছবিই ধরা পড়ল বুধবার। আমদাবাদের সাজঘরের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছে আরসিবি। সেখানেই বিমর্ষ কোহলির ছবি প্রকাশ্যে এল।
Unfortunately, sport is not a fairytale and our remarkable run in #IPL2024 came to an end. Virat Kohli, Faf du Plessis and Dinesh Karthik express their emotions and thank fans for their unwavering support.
— Royal Challengers Bengaluru (@RCBTweets) May 23, 2024#PlayBold #ನಮ್ಮRCB pic.twitter.com/FYygVD3UiC
আরও পড়ুন:
আইপিএলের শুরুর দিকে আটটি ম্যাচের মধ্যে সাতটিতেই হেরে যায় আরসিবি। কিন্তু পরের ছ’টিতে জিতে প্লে-অফে জায়গা পাকা করে ফেলেন কোহলিরা। প্লে-অফে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে হেরে আইপিএল থেকে ছিটকে গিয়ে তিনি বলেন, “আইপিএলের প্রথম পর্বটা ভাল খেলতে পারেনি আরসিবি। নিজেদের যোগ্যতা অনুযায়ী খেলতে পারিনি আমরা। কিন্তু দ্বিতীয় পর্বে আমরা নিজেদের আসল রূপ দেখাতে শুরু করি। নিজেদের সম্মানের জন্য খেলতে শুরু করি। আত্মবিশ্বাস ফিরে আসে। প্লে-অফের যোগ্যতা অর্জন করি। এটা খুবই স্পেশ্যাল।” কোহলি ধন্যবাদ জানিয়েছেন আরসিবি-র দর্শকদেরও।
এ বারের আইপিএলে এখনও পর্যন্ত কমলা টুপির মালিক কোহলি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের আর খেলার সুযোগ নেই। তাঁর দল ছিটকে গিয়েছে প্লে-অফ থেকে। লড়াইয়ে আছেন রিয়ান পরাগ। কিন্তু তিনি এখনও ১৭৪ রানে পিছিয়ে। ফলে আরও দু’টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলেও কোহলিকে টপকানো কঠিন। বিশ্বকাপেও সব থেকে বেশি রান ছিল তাঁর। কিন্তু ট্রফি জেতা হয়নি। আরও এক বার একই পরিণতি হল কোহলির।
এক দিনের বিশ্বকাপে ভারত হেরে যাওয়ার পর সাজঘরে গিয়েছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু সেই সময় কোহলির ভেঙে পড়ার ছবি প্রকাশ্যে এসেছিল। দেখে গিয়েছিল, হতাশ মুখ করে মোদীর সামনে রয়েছেন তিনি। কোনওমতে জোর করে হাসছিলেন। মাঝেমধ্যে সেটা মিলিয়েও যাচ্ছিল। বুধবারও কোহলির তেমনই অবস্থা ছিল।