উইকেট পেয়ে দৌড় শাহবাজের। ছবি আইপিএল
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ইনিংসের ১৬ ওভার পর্যন্তও মনে হচ্ছিল ম্যাচটা বেরিয়ে গিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হাত থেকে। একটা ওভারই ঘুরিয়ে দিল খেলার গতিপ্রকৃতি। সেই ওভার ছিল বাংলার ক্রিকেটার শাহবাজ আহমেদের। এক ওভারে তিনি তুলে নিলেন জনি বেয়ারস্টো, মণীশ পান্ডে-সহ তিনটি উইকেট। হারতে হারতেও জিতে গেলেন বিরাট কোহলীরা। মঙ্গলবার জেতা ম্যাচ ফেলে আসতে দেখা গিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। ২৪ ঘণ্টা বাদে সেই একই জিনিস দেখা গেল হায়দরাবাদের ক্ষেত্রেও। দুয়ে দুই করে লিগ তালিকার শীর্ষে চলে গেল আরসিবি।
টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে চাপে পড়ে গিয়েছিল আরসিবি। করোনা সারিয়ে দলে ফেরা দেবদত্ত পাড়িক্কল ফিরে যান ১১ রান করেই। পরবর্তী ব্যাটসম্যান শাহবাজ চালিয়ে শুরু করলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। এই অবস্থায় হাল ধরার কথা ছিল বিরাট কোহলী এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের। আইপিএলে ‘ব্যর্থ’ তকমা পাওয়া ম্যাক্সওয়েল এই ম্যাচেও চোখে আঙুল দিয়ে সমালোচকদের জবাব দিলেন। একদিক তিনি ধরে রাখায় উল্টোদিকে মারার চেষ্টা করছিলেন কোহলী।
সেটা করতে গিয়েই ডেকে আনলেন বিপদ। জেসন হোল্ডারের বলে বিজয় শঙ্করের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন। আগের ম্যাচে জ্বলে ওঠা এবি ডিভিলিয়ার্স বুধবার ব্যর্থ। পাঁচ বলে মাত্র এক রান করে ফেরার পর পুরো দায়িত্বটাই গিয়ে পড়েছিল ম্যাক্সওয়েলের ঘাড়ে। তিনি সেই দায়িত্ব ভাল ভাবেই সামলালেন। উল্টোদিকে সঙ্গী হিসেবে কাউকে না পেলেও মাথা ঠান্ডা রেখে ৪১ বলে ৫৯ রানের ইনিংস খেলে গেলেন। তবু দেড়শোর গন্ডি পেরোতে পারল না আরসিবি। ১৪৯/৮-এ শেষ হল ইনিংস।
#SRH in all sorts of trouble as they lose the wicket of Vijay Shankar.
— IndianPremierLeague (@IPL) April 14, 2021
Harshal Patel picks his first https://t.co/kDrqkM24yz #SRHvRCB #VIVOIPL pic.twitter.com/mooBLQaRss
হায়দরাবাদের হয়ে বুধবারও ওপেন করতে নেমে হতাশ করলেন ঋদ্ধিমান সাহা। গত বারের ফর্মের ধারেকাছে এ বার নেই তিনি। ১ রানের মাথায় তিনি ফেরার পর কমলা-বাহিনীর হাল ধরেন সেই ডেভিড ওয়ার্নার। সঙ্গী হিসেবে পান মণীশ পান্ডেকে। দ্বিতীয় উইকেটে দু’জনে মিলে যোগ করেন ৮৩ রান। কিন্তু ওয়ার্নার ৫৪ রানে ফিরতেই হায়দরাবাদের ধসের শুরু। মণীশও বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না।
ম্যাচ ঘুরল ১৭তম ওভারে। ওই ওভারের প্রথম, দ্বিতীয় এবং ষষ্ঠ বলে যথাক্রমে বেয়ারস্টো, মণীশ এবং আবদুল সামাদকে ফিরিয়ে দেন শাহবাজ। ম্যাচ ওখানেই শেষ হয়ে যায়। শেষ ভরসা হিসেবে পড়ে থাকা বিজয় শঙ্কর এবং হোল্ডারও চূড়ান্ত ব্যর্থ।
ফল, বাঙালি ঋদ্ধিমানের ব্যর্থতার দিনে উজ্জ্বল হয়ে গেলেন বাংলার শাহবাজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy