Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
2011 World Cup Final

সেই ধোনির মুখোমুখি এই ধোনি, বিশ্বকাপের দশকপূর্তিতে ভিডিয়ো ভাইরাল

ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের ১০ বছর পূর্তিতে স্মৃতিচারণ করতে দেখা গিয়েছে অনেককেই। তবে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি যে ভাবে করলেন, তা কেউই ভাবেননি।

সেই ধোনি, এই ধোনি।

সেই ধোনি, এই ধোনি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২১ ২০:৪৫
Share: Save:

ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের ১০ বছর পূর্তিতে স্মৃতিচারণ করতে দেখা গিয়েছে অনেককেই। তবে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি যে ভাবে করলেন, তা কেউই ভাবেননি। শুক্রবার সিএসকে-র তরফে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে ‘তরুণ’ ধোনির সঙ্গে কথা বলছেন ‘প্রবীণ’ ধোনি। এক তেল সংস্থার তরফে আয়োজিত এই সাক্ষাৎকারের ভিডিয়ো প্রকাশ পেতেই তুমুল জনপ্রিয় হয়েছে।

ভিডিয়োয় তরুণ ধোনি ২০০৫ সালে সবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছেন। আর প্রবীণ ধোনি হলেন ক্রিকেটের সায়াহ্নে এসে দাঁড়ানো প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক। তরুণ ধোনিকে উপদেশের স্বরে প্রবীণ বললেন, “প্রতিনিয়ত খেলার উন্নতি করতে হবে। আজ হয়তো তুমি তিন নম্বরে ব্যাটিং করছ। কিন্তু দলের প্রয়োজনে তোমাকে নিচের দিকেও ব্যাটিং করতে হতে পারে।” উল্লেখ্য, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পরামর্শে ক্রিকেটজীবনের শুরুর দিকে ধোনি তিন নম্বরে নামলেও পরে নিচের দিকে নামতে শুরু করেন।

এখানেই না থেমে প্রবীণ ধোনি বলে চললেন, “মানসিক ভাবে তৈরি থাকা খুব দরকার। অনুশীলন চালিয়ে যাও। তাহলে পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজের ব্যাটিং কৌশলে বদল আনতে পারবে। বাকিদের থেকে এগিয়ে থাকবে। একইসঙ্গে, খেলাটা উপভোগ করতে হবে। সামনে অনেক বাধা আসবে। কিন্তু সেটাকে নিজের উন্নতির স্বার্থে কাজে লাগাতে হবে। দলের প্রয়োজনই তোমার কাছে অগ্রাধিকার।”

২০১১-র সেই ফাইনালে অপরাজিত ৯১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ধোনি। সেই প্রসঙ্গেই ভিডিয়োয় ‘তরুণ’ ধোনি প্রশ্ন করলেন, “আচ্ছা, আপনি তো অনেক একদিনের ম্যাচ এবং টেস্ট খেলেছেন। যদি একটা প্রিয় ইনিংস বেছে নিতে বলি তাহলে কোনটা বাছবেন?”

প্রবীণ ধোনির উত্তর রাখা ছিল ঠোঁটের গোড়ায়। কালক্ষেপ না করে বললেন, “অবশ্যই বিশ্বকাপের ফাইনাল। ওই ম্যাচ শেষ করে আসার অনুভূতি বাকি সবকিছুর থেকে আলাদা।”

তরুণ ধোনি এ বার কিছুটা অবাক। জানতে চাইলেন, কী এমন বিশেষত্ব রয়েছে ২০১১-র বিশ্বকাপ জয়ে। প্রবীণ ধোনির উত্তর, “কঠোর পরিশ্রমে কারণেই ওই ইনিংস খেলা সম্ভব হয়েছিল। আর একটা আত্মত্যাগও করতে হবে। বাটার চিকেন, নরম পানীয়, মিল্কশেকের মতো প্রিয় খাবারগুলি ত্যাগ করতে হবে। আস্তে আস্তে ছেড়ে দিতে হবে।”

ভিডিয়োয় তরুণ ধোনির প্রশংসাও করেছেন প্রবীণ ধোনি। বলেছেন, “প্রথম বছরেই ম্যাচ এবং সিরিজের সেরার খেতাব পাওয়া মুখের কথা নয়। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ওই ১৮৩, মানে ৫০ ওভার কিপিং করে ৪৬ ওভার ব্যাট করা অসাধারণ কৃতিত্ব।”

অন্য বিষয়গুলি:

mahendra singh dhoni 2011 World Cup Final
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE