ফাইল চিত্র।
দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ দু’পয়েন্ট সংগ্রহ করার পরের দিন, নাইট শিবিরে আয়োজন করা হয় ‘বিচ ভলিবল’ প্রতিযোগিতা। আবু ধাবির সমুদ্র সৈকতেই ‘রিকভারি সেশন’ হিসেবে বেছে নেওয়া হয় এই খেলাকে।
দলের প্রত্যেক সদস্য সেই সেশনে উপস্থিত থাকলেও দেখা যায়নি আন্দ্রে রাসেলকে। ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার এখনও বিশ্রামে। শুক্রবার পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ম্যাচেও তিনি অনিশ্চিত। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, পায়ে এখনও ব্যথা অনুভব করছেন রাসেল। ব্যথা না কমলে ফিজ়িয়োথেরাপিও শুরু করা যাচ্ছে না। পায়ে কতটা জোর পাচ্ছেন, তা বুঝে নিয়েই নির্দিষ্ট ব্যায়াম দেওয়া হবে ক্যারিবিয়ান তারকাকে। পায়ের পেশির জোর কমে গেল কি না, সেই পরীক্ষাও হবে। কত দিন পরে রাসেল সুস্থ হতে পারবেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
তবে মঙ্গলবার তাঁকে ছাড়া নাইটরা দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ দুই পয়েন্ট ঘরে তুলল। দলের এই জয়ে খুশি রাসেলও। ইনস্টাগ্রামে লিগ তালিকার একটি ছবি তুলে ধরে রাসেল লিখেছেন, ‘‘সতীর্থদের প্রয়াসে আমি সত্যি খুশি। নাইটরা এগিয়ে চলেছে।’’
শাহরুখ খানের দলের এই এগিয়ে চলার নেপথ্যে রয়েছেন সুনীল নারাইন। দীর্ঘদিন পরে অ্যাকশন পরিবর্তন করে আগের মতো ঘূর্ণি পেতে শুরু করেছেন তিনি। সি ভি বরুণ রান আটকানোর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। অধিনায়ক অইন মর্গ্যান ব্যর্থ হলেও উইকেট আঁকড়ে পড়ে থাকছেন নীতীশ রানা। আর রাসেলের মতো ফিনিশারের কাজ করে দিচ্ছেন নারাইন। দ্বিতীয় দফায় ইতিমধ্যেই নাইটরা হারিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও দিল্লি ক্যাপিটালসকে। প্লে-অফের দৌড়ে হারিয়ে যাওয়া নাইটরা এখন আগামী পর্বে ওঠার অন্যতম দাবিদার।
নাইটদের ঘুরে দাঁড়ানোর অভিযানে সাহায্য করতে পেরে খুশি নারাইন। এক সময় অবৈধ অ্যাকশনের জন্য তাঁকে বহু ম্যাচের বাইরে থাকতে হত। অ্যাকশন পরিবর্তন করার পরে আগের মতো ঘূর্ণি পেতেন না। শেষ বারের ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ থেকে আবারও বলে আগের মতো ধার পেতে শুরু করেছেন। যা নাইটদের কাছে আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে। কেকেআরের শেষ তিনটি জয়ের দু’টিতেই ম্যাচের সেরা নারাইন। তিনি বলেছেন, ‘‘অনেক সমস্যার মধ্যে পড়েছিলাম। তবে আরও এক বার এই জায়গায় পৌঁছনোর জন্য আমার ব্যক্তিগত বোলিং কোচকে ধন্যবাদ দিতে চাইব। নাইট পরিবারের কাছেও আমি কৃতজ্ঞ। ওরা পাশে না থাকলে কোচকে দলের সঙ্গে রাখতে পারতাম না। আমার এই উন্নতির নেপথ্যে কোচের সব চেয়ে বেশি অবদান রয়েছে।’’ যোগ করেন, ‘‘আগের মতো বল করতে পারার কৃতিত্ব আমি নিতে চাই না। এটাই বলব, এই পর্যায়ে ফিরে আসতে অনেক সময় লেগেছে। আশা করি, আগামী ম্যাচগুলোয় এ ভাবেই খেলে যেতে পারব।’’
নারাইনের ঘূর্ণিতেই ২০১২ ও ২০১৪ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কেকেআর। ২০২১ সালে আরও এক বার ঘুরতে শুরু করেছে নারাইনের বেশির ভাগ ডেলিভারি। তাই তৃতীয় ট্রফি জয়ের স্বপ্ন এখন থেকেই দেখতে শুরু করেছেন সমর্থকেরা। তবে নারাইন এত দ্রুত এ বিষয়ে ভাবতে চান না। তাঁর কথায়, ‘‘প্রত্যেক ম্যাচ আলাদা ভাবে দেখছি। প্রত্যেকটি ম্যাচই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তবে প্লে-অফে ওঠার বিশ্বাস তৈরি হয়েছে দলের মধ্যে।’’
নাইট অধিনায়ক অইন মর্গ্যান নিজে রান না পেলেও দলের জয়ে আপ্লুত। বলেছেন, ‘‘আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর মানসিকতা তৈরি করেছে ব্রেন্ডন ম্যাকালাম। কোচের আগ্রাসী মনোভাব দলের প্রত্যেকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy