এই সেই বিতর্কিত মুহূর্ত। ছবি-সোশ্যাল মিডিয়া।
আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তেই কি রবিবার আইপিএলের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ হারতে হল কিংস ইলেভেন পঞ্জাবকে? সুপার ওভারের আগে আম্পায়ার নীতীন মেননের একটি সিদ্ধান্তে? আম্পায়ার মেনন ওয়ান শর্টের (দৌড়ে ১ রান কম) সিদ্ধান্ত দেওয়ায় পঞ্জাবের মোট স্কোর থেকে কেটে নেওয়া হয় ১টি রান। কিন্তু টিভি রিপ্লেতে দেখা গিয়েছে, রানটি বৈধই ছিল। আম্পায়ারের ওই সিদ্ধান্তের জন্য ম্যাচের ভরকেন্দ্রই বদলে যায়। সুপার ওভারে কাগিসো রাবাদার দুরন্ত স্পেলে প্রায় হারতে বসা ম্যাচ জিতে নেয় দিল্লি ক্যাপিটালস।
কিন্তু খেলার শেষে দিল্লি-পঞ্জাব ম্যাচ চলে গিয়েছে পিছনের সারিতে। সামনের সারিতে এসে পড়েছে আম্পায়ারিং বিতর্ক। ম্যাচের মোক্ষম সময়ে মেনন ওয়ান শর্টের সিদ্ধান্ত না দিলে হয়তো রবিবারের ম্যাচ টাই হয়ে সুপার ওভারে গড়াতই না। বড়সড় কোনও অঘটন না ঘটলে তার আগেই ম্যাচ জিতে নিত পঞ্জাব। আম্পায়ার মেননের ওই সিদ্ধান্তে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
পঞ্জাব দলের মালকিন প্রীতি জিন্টা প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। বীরেন্দ্র সহবাগের মতো পঞ্জাব দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা প্রাক্তন মেন্টরও কটাক্ষ করেছেন আম্পায়ারিং নিয়ে। সব মিলিয়ে টুর্নামেন্টের শুরুতেই বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি, টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচ আম্পায়ারদের বড় পরীক্ষার মুখে ঠেলে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: অশ্বিনের কাঁধের চোট নিয়ে দিল্লি শিবিরে আশঙ্কা
দিল্লির ১৫৭ রান তাড়া করতে নেমে একসময় একের পর এক উইকেট হারিয়ে প্রায় খাদের কিনারায় পৌঁছে গিয়েছিল পঞ্জাব। ময়ঙ্ক আগরওয়ালের মরিয়া লড়াইয়ে ম্যাচে ফিরে আসে তারা। ১৮.৫ ওভারে ময়ঙ্ক লং অনে বল ঠেলে ২ রানের জন্য দৌড়োন। ১ রান পূর্ণ করার সময়ে ময়ঙ্কের সতীর্থ ক্রিস জর্ডনের ব্যাট ক্রিজের ভিতরে ছিল না— সেই কারণে স্কোয়ার লেগ আম্পায়ার মেনন পঞ্জাবকে ২-এর বদলে ১ রান দেন। অথচ টিভি রিপ্লে-তে দেখা যায়, জর্ডনের বাড়ানো ব্যাট ক্রিজ ছুঁয়েছিল। অর্থাৎ, রানটি বৈধ। আম্পায়ারের দৃষ্টিপথে কোনও বাধা ছিল না। তবুও মেনন ঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি বলেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিশেষত, এমন একটি ম্যাচে, যেখানে জয়-পরাজয়ের নিষ্পত্তি হয়েছে প্রথমে টাই হয়ে এবং তার পর সুপার ওভারে। ওই উত্তেজনার মধ্যে ভুল হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু আম্পায়ারের এই ধরনের ভুলের ফল সুদূরপ্রসারী হতে পারে। সবে শুরু হয়েছে আইপিএল।
I don’t agree with the man of the match choice . The umpire who gave this short run should have been man of the match.
— Virender Sehwag (@virendersehwag) September 20, 2020
Short Run nahin tha. And that was the difference. #DCvKXIP pic.twitter.com/7u7KKJXCLb
টুর্নামেন্ট যত গড়াতে থাকবে, নক-আউট পর্বে প্রবেশের লড়াই যত কঠিন হবে। এই ধরনের ম্যাচ হারার প্রভাব তত পড়বে। সম্ভবত সে কারণেই বিস্মিত সহবাগ টুইট করেছেন, “ম্যান অফ দ্য ম্যাচের সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমি সহমত নই। আমার মনে হয় ওই আম্পায়ারকেই ম্যাচ সেরার পুরস্কার দেওয়া উচিত ছিল। ওটা ওয়ান শর্ট ছিল না। সেটাই ম্যাচের ফলাফলে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।”
আরও পড়ুন: জার্সিতে তৃতীয় তারা দেখতে মরিয়া কামিন্স
প্রশ্ন উঠছে প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়েও। সন্দেহ থাকলে প্রযুক্তির ব্যবহারই প্রত্যাশিত। মেনন সেই রাস্তায় কেন হাঁটলেন না, তা নিয়ে সরব হয়েছেন প্রীতি। তাঁর ক্ষুব্ধ টুইট, “অতিমারি পরিস্থিতিতে উৎসাহ নিয়ে আমি এখানে এসেছি। ৬ দিন কোয়রান্টিনে থেকেছি। হাসি মুখে ৫ বার কোভিড পরীক্ষা করেছি। কিন্তু এই ওয়ান শর্টের সিদ্ধান্ত আমাকে খুব আঘাত করেছে। হাতের কাছে প্রযুক্তি থাকলেও তা কেন ব্যবহার করা হচ্ছে না? বিসিসিআই-এর নতুন নিয়ম চালু করার সময় এসেছে। প্রতিবছর এমন জিনিস কখনও হতে পারে না।”
I travelled enthusiastically during a pandemic,did 6 days of Quarantine & 5covid tests with a smile but that one Short Run hit me hard. What’s the point of technology if it cannot be used? It’s time @BCCI introduces new rules.This cannot happen every year. #DCvKXIP @lionsdenkxip https://t.co/uNMXFJYfpe
— Preity G Zinta (@realpreityzinta) September 21, 2020
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy