ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে পঞ্চাশ সূর্যকুমারের। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া
আবু ধাবির মাঠে বুধবার টস জিতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে আগে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক কায়রন পোলার্ড। শুরুটা ভালই করেছিল ব্যাঙ্গালোর। দুই ওপেনার মিলে যে ভাবে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তাতে বড় রানের দিকেই এগোচ্ছিল তারা। ২০ ওভারে তাদের রান ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৪। রান তাড়া করতে নেমে মুম্বই পাঁচ উইকেটে ১৬৬ করে ম্যাচ জিতে নেয়। এ দিনের জয়ের ফলে আইপিএলের প্লে অফে যাওয়ার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল চার বারের চ্যাম্পিয়নরা। ব্যাঙ্গালোরকে অপেক্ষা করে থাকতে হবে পরের ম্যাচের জন্য। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক বিরাট কোহালি বলেন, ‘‘কঠিন ম্যাচ ছিল। মাঝের দিকে আমরা যাই মারছিলাম ফিল্ডারের হাতে জমা পড়ছিল। যার জন্য ২০ রান কম হয় আমাদের। ভেবেছিলাম বল সুইং করবে তাই স্টেন এবং মরিসকে শুরুর দিকে ব্যবহার করেছিলাম। মুম্বই ভাল ব্যাট করে ওই সময়।’’
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই মুম্বই ইন্ডিয়ান্স হারিয়েছিল কুইন্টন ডি’ককের (১৮) উইকেট। সদ্য ভারতের অস্ট্রলিয়াগামী টেস্ট দলে সুযোগ পাওয়া মহম্মদ সিরাজ ফেরান তাঁকে। অন্য ওপেনার তরুণ ব্যাটসম্যান ঈশান কিষাণকে ফেরান অভিজ্ঞ স্পিনার যুজবেন্দ্র চহাল। ১৯ বলে ২৫ রান করে ক্রিস মরিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। তার আগে যদিও আইপিএলে হাজার রান পূর্ণ করেন তিনি। সৌরভ তিওয়ারিকেও ফেরান সিরাজ। মাত্র ৫ রান করে ফেরেন সৌরভ।
সিরাজ, চহাল যখন চেপে বসছে মুম্বই ব্যাটসম্যানদের ওপর, তখন নিজের কাঁধে দায়িত্ব তুলে নেন অভিজ্ঞ সূর্যকুমার যাদব। ২৯ বলে ৫০ পূর্ণ করেন তিনি। তাঁকে সঙ্গ দেন হার্দিক পাণ্ড্য (১৭)। দলের জয় নিশ্চিত করেন তাঁরাই। যদিও ম্যাচ শেষ করে ফিরতে পারেননি পাণ্ড্য। তাঁকে ফেরান ক্রিস মরিস। পাণ্ড্য ফিরলেও শেষ অবধি থেকে দলকে জয়ের সরণীতে পৌঁছে দেন সূর্যকুমার। জয়সূচক রান আসে তাঁর ব্যাট থেকেই। তিনি বুধবার অপরাজিত থাকেন ৪৩ বলে ৭৯ রান করে। ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ম্যাচ শেষ করার ইচ্ছে ছিল অনেকদিন, আজ সেই সুযোগ পেলাম। লকডাউনে নিজের খেলার অনেক উন্নতি করতে পেরেছি। আগে শুধু লেগ সাইডেই খেলতে পারতাম। তিন নম্বরে খেলতে ভাল লাগে কিন্তু ম্যাচ শেষ করার ইচ্ছেটা আজ পূর্ণ হল।’’
পাঁচ বল বাকি থাকতেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় মুম্বই। ব্যাঙ্গালোরকে পাঁচ উইকেটে হারাল মুম্বই। এ দিনের জয়ের পর লিগ শীর্ষেই রইল মুম্বই। ১২ ম্যাচে তাঁদের পয়েন্ট ১৬। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে ব্যাঙ্গালোরের পয়েন্ট ১৪। তারা রইল দুই নম্বরে।
আরও পড়ুন: দিল্লির বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতানো ৮৭, ‘বিশ্বের সেরা উইকেটকিপার’কে অভিনন্দন রবি শাস্ত্রীর
অ্যারন ফিঞ্চের বদলে বুধবার জস ফিলিপকে নামিয়েছিল ব্যাঙ্গালোর। রাহুল চহারের বলে আউট হয়ে তিনি যখন ফিরলেন দল তখন বেশ শক্ত জমির ওপর দাঁড়িয়ে। ২৪ বলে তিনি করেন ৩৩ রান। ইনিংসে রয়েছে চারটি ৪ এবং একটি ৬।
অন্য ওপেনার দেবদত্ত পাড়িকল ৪৫ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন। তিনি অর্ধশতরান পূর্ণ করেন ৩০ বলে। এ বারের আইপিএলে তাঁর চতুর্থ পঞ্চাশ। একদিকে তিনি যখন দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, অন্যদিক থেকে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে ব্যাঙ্গালোর। দুই ওপেনার ছাড়া কেউই বড় রান পাননি।
আরও পড়ুন: নিজেকে প্রমাণ করতে করতেই কেরিয়ারের অর্ধেক শেষ ঋদ্ধিমানের
বুধবার ক্রিকেটপ্রেমীরা মুখিয়ে ছিলেন বিরাট কোহালি বনাম যশপ্রীত বুমরার লড়াই দেখার জন্য। কিন্তু সেই লড়াই শুরুর আগেই শেষ করে দেন বুমরা। তাঁর শর্ট পিচ বলে সৌরভ তিওয়ারির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ব্যাঙ্গালোর অধিনায়ক। ফিলিপ ফেরার পর পাড়িকলকে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ অধিনায়ক বিরাট কোহালি (৯)। আইপিএলে ১০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁলেন বুমরা। এ দিনের ম্যাচে তিনি ছিলেন দুরন্ত ফর্মে। ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। একটি ওভার মেডেনও পান তিনি।
এবি ডি’ভিলিয়ার্সকে ফেরান মুম্বই অধিনায়ক কায়রন পোলার্ড। এবি করেন মাত্র ১৫ রান। দ্রুত রান তুলতে গিয়ে উইকেট ছুড়ে দিলেন তিনি। এবি ফেরার পরে ব্যাঙ্গালোর লড়াই করার মতো রান তুলতে পারবে কিনা সেই নিয়েই সন্দেহ দেখা দেয়। একের পর এক ফিরতে থাকেন শিবম দুবে (২), ক্রিস মরিসরা (৪)। ট্রেন্ট বোল্টের শেষ দুই ওভারে ২৫ রান নিয়ে দলকে লড়াই করার মতো রানে পৌঁছে দেন গুরকিরাত সিংহ (১৪) এবং ওয়াশিংটন সুন্দর (১০)। যদিও শেষ রক্ষা হল না। সূর্যকুমারের ব্যাটে ভর করে জয় তুলে নেয় মুম্বই।
এবি ডি’ভিলিয়ার্সকে ফেরান মুম্বই অধিনায়ক কায়রন পোলার্ড। এবি করেন মাত্র ১৫ রান। দ্রুত রান তুলতে গিয়ে উইকেট ছুড়ে দিলেন তিনি। এবি ফেরার পরে ব্যাঙ্গালোর লড়াই করার মতো রান তুলতে পারবে কিনা সেই নিয়েই সন্দেহ দেখা দেয়। একের পর এক ফিরতে থাকেন শিবম দুবে (২), ক্রিস মরিসরা (৪)। ট্রেন্ট বোল্টের শেষ দুই ওভারে ২৫ রান নিয়ে দলকে লড়াই করার মতো রানে পৌঁছে দেন গুরকিরাত সিংহ (১৪) এবং ওয়াশিংটন সুন্দর (১০)। যদিও শেষ রক্ষা হল না। সূর্যকুমারের ব্যাটে ভর করে জয় তুলে নেয় মুম্বই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy